রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের শিশুতোষ গান "আমরা সবাই রাজা"কে গণতন্ত্রের বন্দনা হিসেবেও পাঠ করা যায়। এই লেখায় আমি এই গানটির একটি ধর্মতাত্ত্বিক পাঠ দেবার চেষ্টা করবো।
বাংলাদেশের নাস্তিকতাবিরোধী বই বিপ্লবে ডাবল স্ট্যান্ডার্ড সম্ভবত দ্বিতীয় সংযোজন। লেখক ইসলামী বিধানগুলোর ‘যৌক্তিকতা’র চেয়ে ‘কল্যাণময়তা’র আলোচনাকে প্রাধান্য দেন।
স্বাধীনতার আগে ও পরে বাংলাদেশের বুদ্ধিজীবী সমাজের সুবিধাজীবী আচরণের প্রতি উষ্মা প্রকাশ করে ১৯৭২ সালে "বুদ্ধিবৃত্তির নতুন বিন্যাস" বইটি প্রকাশ করেন আহমদ ছফা। পাঠক চাহিদা ও সমসাময়িক প্রাসঙ্গিকতা বিবেচনায় মূল বইটির প্রায় সমান আকৃতির ভূমিকা সহ পরিবর্ধিত সংস্করণ প্রকাশিত হয় ১৯৯৭ সালে। লেখক দেখাতে চেয়েছেন যে, বাংলাদেশের বুদ্ধিজীবী সমাজ নিজে থেকে জনগণের চিন্তনজগতে কোনো আলোড়ন সৃষ্টি করতে অক্ষম।
পশ্চিমা সাহিত্যের প্রাচীনতম নিদর্শন বলে ধারণা করা হয় মহাকাব্য "ইলিয়াড"কে। তবে এর কাহিনী বর্ণনা করা এই লেখার উদ্দেশ্য নয়। "ইলিয়াড" এর মাধ্যমে কীভাবে আজকের নিরীশ্বরবাদী সেক্যুলার চিন্তাকাঠামোকে ব্যাখ্যা করা যায়, এ নিয়েই আজকের আলোচনা।
১৫৮৪ খ্রিস্টাব্দের ১০ই মার্চ বা ১১ই মার্চ থেকে বাংলা সন গণনা শুরু হয়। তবে এই গণনা পদ্ধতি কার্যকর করা হয় আকবরের সিংহাসন আরোহণের সময় (৫ই নভেম্বর, ১৫৫৬) থেকে। আধুনিক নববর্ষ উদযাপনের খবর প্রথম পাওয়া যায় ১৯১৭ সালে। তবে পরবর্তীকালে ১৯৬৭ সনের পূর্বে ঘটা করে পহেলা বৈশাখ পালনের রীতি তেমন একটা জনপ্রিয় হয়নি।
সম্প্রতি আমরা নাস্তিকতার বিরুদ্ধে বিভিন্ন আর্টিকেল বা গ্রন্থ লিখছি। কিন্তু তাদের উত্থাপিত প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে আমাদেরই কিছু ভাই ইসলামকে বিকৃতভাবে উপস্থাপন করেছেন। আমি মনে করি তাঁরা জিনিসটি ইচ্ছাকৃতভাবে করেননি। কিন্তু যেই ফিতনা চালু হয়েছে, সেটা বন্ধ করতে তাঁদেরই এক ভাই হিসেবে আমার দায়িত্ব তাঁদের সঠিক দ্বীন বুঝানো।
গাছ’ জিনিসটা আপনাকে আমি কতরকমে বোঝাতে পারবো? মুখে ‘গাছ’ উচ্চারণ করে, কাগজে লিখে অথবা গাছের ছবি এঁকে। কোনো ক্ষেত্রেই কিন্তু ‘গাছ’ শব্দটা বা এর ছবিটা সেই সত্যিকারের গাছটা নয়। আপনার-আমার মাঝে ভাবের আদান-প্রদান হওয়ার জন্য আবিষ্কৃত এসকল লিখিত চিহ্ন ও মুখঃনিসৃত আওয়াজের প্যাটার্নগুলোর সমষ্টিই হলো ‘ভাষা’।
ইসলামের একটি গুরুত্বপূর্ণ বিধান হলো হিসবাহ। সেক্যুলার ধর্মের একটি বহুল পঠিত মন্ত্র হলো, “অন্যের ক্ষতি না করে যার যা ইচ্ছা, তা-ই করার অধিকার রয়েছে। অন্য কেউ এতে বাধা দিতে পারবে না।” কার্যত সেক্যুলার ধর্মের কর্তৃত্ব মেনে নেওয়ায় আমাদের মাঝ থেকে হিসবাহ ও ইহতিসাবের ধারণাগুলো হারিয়ে গেছে। মৃত্যু হয়েছে মুহতাসিবের।
প্রাচীনকালে খ্রিষ্টান ধর্মের জন্য নিহত হওয়া একাধিক ব্যক্তির নাম ছিলো ভ্যালেন্টাইন। কিন্তু একটি বিতর্কিত বর্ণনার উপর ভিত্তি করে ১৪ই ফেব্রুয়ারি তারিখটি...