কিছু সমস্যার সমাধান কার্যতই আমাদের নাগালের বাইরে, অন্তত মানুষের ক্ষমতার দৌড়ের কথা বিবেচনা করলে তো বটেই। সন্দেহ নেই, বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের সবকিছুই আল্লাহর হাতে, তিনি যেকোনো কিছু করতেই পারঙ্গম, সব সমস্যার সমাধানও তাঁরই ইচ্ছার অধীন। তারপরও উট বেঁধে রাখার ব্যবহারিক অর্থের দিকে নজর দিলে কিছু সমস্যা মানুষের সীমিত দৃষ্টিভঙ্গির প্রেক্ষিতে সমাধা করা আসলেই দুঃসাধ্য হয়ে পড়ে।

আপনি কীই বা বলতে পারেন যখন একজন মুসলিম মা আপনার কাছে এসে তার মুরতাদ ছেলের সাথে কথা বলার আকুতি জানায়, তাকে ইসলামে ফিরিয়ে আনার অনুরোধ করতে গিয়ে ঝরঝর করে কেঁদে ফেলে আপনার সামনে? আপনি হয়তো বলতে পারেন যে, চেষ্টা করে দেখবেন। যদিও উত্তরটা দেয়ার সময় আপনি খুব ভালো করেই জানেন, একটামাত্র কথোপকথনে কিছুই যাবে আসবে না। কোনো কিছুরই পরিবর্তন হবে না যদি আপনার কাছে সবচেয়ে নির্ভুল যুক্তি, শ্রেষ্ঠ প্রমাণ, এমনকি সচরাচর ইসলামকে চ্যালেঞ্জ করা বিষয়গুলোর বিপরীতে সমুচিত জবাবও তৈরি থাকে। আপনি কঠিন কঠিন তর্ক না জুড়ে নম্রভাবে এগোন কি বন্ধুসুলভ কথাবার্তা বলে আস্থা অর্জনের চেষ্টা করুন- কোনোটাতেই কোনো লাভ নেই। আপনি যে পথ ধরেই এগোবার চেষ্টা করুন না কেন, নিরানব্বই ভাগ ক্ষেত্রেই একটা কথোপকথন কোনোই ফল বয়ে আনতে পারেনা।

IIRT Arabic Intensive

আমার এমন বহু অভিজ্ঞতাই হয়েছে, দুর্ভাগ্যবশত – এখনকার মতো যখন আমি বিভিন্ন জায়গায়- বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মানুষের কাছে গিয়েছি, মুসলিম অভিভাবকেরা তাদের সন্তানদের স্বধর্মত্যাগের ব্যাপারে আমার হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। সব জায়গাতেই সেইসব ক্রমবর্ধমান অভিভাবকদের আমি দেখেছি, যাদের সন্তানেরা কোনো না কোনোভাবে ইসলাম থেকে ‘বেরিয়ে এসেছে’। এই পরিস্থিতিতে, কী বলা যায় তাদেরকে? এমন কোনো ‘চটজলদি উপদেশ’ কিংবা, ধরুন, কোনো ‘কার্যক্রম’ কি আছে – যা তাদের কষ্ট করে বড় করে তোলা এইসব অতি আদরের, আচারনিষ্ঠ মুসলিম ছেলেমেয়েদেরকে তাদের দ্বীনের পথে ফিরিয়ে আনতে পারবে?

উত্তরটা হলো, “না”। এগুলো কোনো বুদ্ধিবৃত্তিক সমস্যা নয়। আজকের দিনে- এ যুগে দাঁড়িয়ে, আপনি সাধারণত কোনো ত্রুটিযুক্ত যুক্তি কিংবা অপব্যাখ্যা পাবেন না, যা একজনকে ইসলাম থেকে বের করে নাস্তিকতার দিকে নিয়ে যায়। তাই নাস্তিক্যবাদের ত্রুটিপূর্ণ যুক্তিগুলো দেখিয়ে দেয়া কোনো বুদ্ধিবৃত্তিক আলোচনাও এক্ষেত্রে খুব একটা কাজে আসবে না। [নাস্তিকতাবাদ কিংবা আধুনিকতাবাদের যৌক্তিক বিশ্লেষণে বিশেষজ্ঞ একজন হিসেবে আমি আমার এই বক্তব্যের বিদ্রুপটুকুর তারিফ না করে পারছি না]

তাই বলে একে আত্মিক সমস্যা বলাটাও কিন্তু ঠিক হবে না। মানতে কষ্ট হলেও সত্যি যে, এইসব ইসলাম ছেড়ে যাওয়া ছেলেমেয়েদের অনেকেই কোনো না কোনো ধর্মানুরাগী পরিবারে বড় হয়েছে এমন সব অভিভাবকদের সাথে – যারা নিজেরাও ধার্মিক, এমনকি তারা যা বলে বেড়াতো তা পালনও করতো। মসজিদে যেতে যেতেই এইসব ছেলেমেয়েরা বড় হয়েছে, কমবেশি কুরআন মুখস্থ করেছে (অর্থসহই!), সেইসাথে এমন সব কাজই তারা করেছে যা একটা ভালো মুসলিম পরিবারের সন্তানেরা করে থাকে। এতসবকিছুর পরেও ফলাফলটা কিন্তু ভয়াবহই।

একজন বাবা হিসেবে ব্যাপারটা আমার কাছে নিঃসন্দেহে আতঙ্কজনক। আমি কী করে এমন একটা ঝুঁকির বিরুদ্ধে সতর্কতামূলক পদক্ষেপ নিতে পারি, যেটা একই সাথে অনিশ্চিত এবং ধ্বংসাত্মক? কেমন করেই বা আমি আমার সন্তানদের (অথবা নিজেকে) এর থেকে রক্ষা করবো, আর যদি বিপর্যয়টা ঘটেই যায়- কী হতে পারে এর সমাধান?

আধুনিক চিকিৎসাশাস্ত্র কিংবা জ্ঞানবিজ্ঞানের কল্যাণে আমরা অনেকেই এ ধারণার সাথে কমবেশি একমত যে- “চিকিৎসায় বুঝি সবকিছুরই নিরাময় সম্ভব। সব রোগেরই বুঝি প্রতিবিধান আছে”। কিন্তু কারো হাত যদি কোনো উডচিপার বা কাঠ কুচোনোর যন্ত্রের পেটে চলে যায়, তবে কোনো চিকিৎসাপদ্ধতি কি সেই খন্ড বিখন্ড হয়ে যাওয়া হাতটাকে সারিয়ে তুলতে পারে? ক্রুর বাস্তবতা হচ্ছে, একবার টুকরো টুকরো হয়ে যাওয়া হাতকে আবার আগের মতো সারিয়ে তোলার কোনো উপায় নেই। কাটা পড়া হাতকে অস্ত্রোপচার করে জোড়া লাগিয়ে দেয়া যায়, ভাঙা হাড়ও ধীরে ধীরে সারিয়ে তোলা সম্ভব। কিন্তু কাঠ কুচোনোর যন্ত্র  কোনো চিহ্নই রাখে না।

দুঃখের বিষয় হলো, আধুনিকতা নামক কাঠ কুচোনোর যন্ত্রটি আমাদের সম্প্রদায়ের ইমানকে ঠিক এভাবেই খন্ড বিখন্ড করে দিচ্ছে। আমাদের অন্তরগুলো আধুনিকতা নামক কারখানার মরচে ধরা তীব্র – তীক্ষ্ণ – ভয়ঙ্কর যন্ত্রপাতিগুলোর উদরে গিয়ে চূর্ণ বিচূর্ণ হয়ে যাচ্ছে। হতাশাজনক হলেও, প্রকৃত পরিস্থিতি এমনটাই।

আপনার যদি সন্দেহ থাকে, তবে সারাজীবন ধরে ইসলাম পালন করে আসা কোনো তরুণ মুরতাদের সঙ্গে আলোচনায় বসুন, যে কিনা কলেজে গিয়ে দর্শন কিংবা সমাজবিজ্ঞানের দু’একটা ক্লাস করেই স্বতঃস্ফূর্তভাবে রায় দিয়ে দিয়েছে যে – ইসলাম হলো এক মানবসৃষ্ট উপকথা আর স্রষ্টা সেটার কল্পনাপ্রসূত ফল। আপনি সেই তরুণের সাথে এক ঘন্টা কথা বলুন, দুই ঘন্টা বলুন কী দশ ঘন্টা, সেটা কোনো ব্যাপার না। দিনশেষে আপনি এই আয়াতটারই কোনো গভীরতর উপলব্ধিতে পৌঁছবেন-

” তুমি কি লক্ষ্য করেছ তাকে, যে তার খেয়ালখুশিকে নিজের উপাস্য করে নিয়েছে? আল্লাহ জেনেশুনেই তাকে পথভ্রষ্ট করেছেন আর তার কানে ও দিলে মোহর মেরে দিয়েছেন আর তার চোখের উপর টেনে দিয়েছেন পর্দা। অতঃপর আল্লাহর পর আর কে (আছে যে) তাকে সঠিক পথ দেখাবে? এরপরও কি তোমরা শিক্ষাগ্রহণ করবে না?”[সূরা জাসিয়া (৪৫): ২৩]

আর আপনি যদি শুধুমাত্র বুদ্ধিবৃত্তিক বিষয়ে বিতর্ক না করে, সেই তরুণের সাথে দীর্ঘ সময়ের জন্য সম্পর্ক গড়ে তুলে ইয়ুথ কাউন্সিলিং এর সেরাটাও তাকে দেন, তারপরও, আপনার আলোচনা – আপনার উপদেশ, ইত্যাদি কীভাবে তার জীবনের অন্য সকল প্রভাবকের সাথে পাল্লা দিবে? ঘুম ভাঙার পর থেকে প্রতিটি মুহূর্তেই নাস্তিকতার উৎস্যগুলো তাকে ঘিরে রাখে। এর মাঝেই সে শ্বাস নিচ্ছে প্রতিনিয়ত। তার পারিপার্শ্বিকতার প্রত্যেকটি অংশ – বন্ধু, শিক্ষক, ক্লাস, গান, সিনেমা, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম থেকে শুরু করে আজকের এই আধুনিক পরিবেশের প্রতিটি উপাদানই তাকে তার ইচ্ছেগুলোকে, তার প্রবৃত্তিকে তুষ্ট করার সবক দিয়ে যাচ্ছে।বলছে যে, দুনিয়ার জীবনই তো সব – জীবন তো একটাই, তাকে উপভোগ করে নাও। আর যদি ইশ্বর বলে কিছু থেকেও থাকে, তাতে কী বা আসে যায়! তা কী আদৌ কোনো পার্থক্য তৈরি করে?- ইত্যাদি, ইত্যাদি।

আপনি কীভাবে এর সাথে পাল্লা দিবেন? মাথায় রাখুন যে, এইসব আবর্জনার ভিতরেই আমরা দিনের চব্বিশটা ঘন্টা পার করছি। আশ্চর্যের বিষয় তো এটাই যে, এখনকার দিনেও ইমান ঠিক রাখা সম্ভব! একমাত্র আল্লাহর ইচ্ছাতেই কেউ তার বিশ্বাস ঠিক রাখতে পারে। আর শুধু আল্লাহর ইচ্ছাতেই একবার বিশ্বাস হারিয়েও তা ফিরে পাওয়া সম্ভব।

আর এ কারণেই আমরা প্রার্থনা করি –

“হে আমাদের পালনকর্তা! সরল পথ প্রদর্শনের পর তুমি আমাদের অন্তরকে সত্য লঙ্ঘনে প্রবৃত্ত করোনা এবং তোমার নিকট থেকে আমাদিগকে অনুগ্রহ দান কর। তুমিই সবকিছুর দাতা।” [সূরা ইমরান (৩): ৮]

যাই হোক, এখানে একটি বিষয় মাথায় রাখা জরুরী। এক সহীহ হাদিসও বিষয়টির প্রতি ইঙ্গিত করে-

“এক লোক নিরানব্বই জন মানুষকে হত্যা করার পর তার মাঝে অনুশোচনাবোধ জাগ্রত হলো। তো, সেই লোক পৃথিবীর সবচাইতে জ্ঞানী ব্যক্তির খোঁজ করে, তার কাছে গিয়ে জানতে চাইল- “আমি নিরানব্বই জন মানুষকে হত্যা করেছি। আমি কি অনুতপ্ত হতে পারি?”

জ্ঞানী লোকটি বললো, “নিরানব্বই জনকে মারার পর?” একথা শুনে লোকটি তার তলোয়ার বের করে তাকে হত্যা করে মানবহত্যার শতকটিও পূর্ণ করে ফেলল। এ কাজের পর সে পুনরায় অনুকম্পাবোধ করতে লাগল। তখন সে আবারো পৃথিবীর সবচেয়ে জ্ঞানী লোককে খুঁজে তার কাছে গিয়ে বললো- “আমি একশত মানুষকে হত্যা করেছি। আমি কি অনুতপ্ত হতে পারি?”

জ্ঞানী লোকটি বললো- “দোহাই তোমার! কীসে তোমাকে অনুতপ্ত হতে বাধা দিচ্ছে? যেই মন্দ শহরে তুমি বাস করছো, সেখান থেকে দূরে ভালো কোনো শহরে চলে যাও আর তোমার রবের ইবাদত করতে থাকো।”

একথা শুনে সে ভালো কোনো এক শহরের উদ্দেশ্যে বেরিয়ে পড়লো, কিন্তু সেই ভালো শহরে পৌঁছবার আগে – পথিমধ্যেই তার মৃত্যু হয়ে গেল। রহমতের ফেরেশতা আর আযাবের ফেরেশতারা তাকে নিয়ে তর্কে জড়িয়ে গেলো। শয়তান বললো- “তার ওপর আমার অধিকারই বেশি, যেহেতু সে জীবদ্দশায় কখনোই আমার কথা অমান্য করেনি।”

কিন্তু রহমতের ফেরেশতারা বললো- “সে তাওবার উদ্দেশ্যে যাত্রা করেছিল।” এ অবস্থায় আল্লাহ রব্বুল আলামীন সমস্যাটি মীমাংসার জন্যে তাদের নিকট আরেকজন ফেরেশতা পাঠালেন।

তিনি এসে বললেন, “তবে দেখা যাক, কোন শহরের কাছে লোকটির মৃত্যু হয়েছে, যে শহরের নিকট সে মৃত্যুবরণ করেছে, সে শহরের লোকদের সঙ্গেই তাকে রাখা হোক।”

দেখা গেল, মৃত্যুর সময় লোকটি ঢলে পড়ে গিয়ে ভালো শহরটির কাছে চলে এসেছে, খারাপ শহরটি থেকে সরে গিয়েছে দূরে; অতঃপর তারা তাকে ভালো শহরটির লোকেদের সঙ্গে রেখে দিলো।” [মুসলিম]

এখানে আমরা হিজরত অথবা আল্লাহর জন্য দেশান্তরের নমুনা পাই। তবে কি আগামী প্রজন্মকে নিয়ে চিন্তিত মুসলিমদের নিকট ‘হিজরত’ কোনো সমাধান হতে পারে? এটা কি পারবে বিপথগামী একটা আত্মাকে তার প্রকৃত ঠিকানায় ফিরিয়ে আনতে?

আল্লাহই ভালো জানেন। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে,  দেশান্তর করে যাব কোথায়?

আধুনিকতা কার্যত পৃথিবীর কোনো স্থানকেই কলঙ্কিত করতে বাকি রাখেনি। বাস্তবতা হচ্ছে, যোগাযোগ প্রযুক্তি কিংবা মুক্তবাজার অর্থনীতির প্রসারের কারণে পৃথিবীর সবচেয়ে প্রত্যন্ত অঞ্চলে গিয়েও ব্যক্তি তার স্বেচ্ছাচারী অন্তরকে তৃপ্ত করার সকল উপাদানই হাতের নাগালে পেয়ে যাবে। আধুনিকতার এই সর্বগ্রাসী বৈশিষ্ট্য যা কিনা সব মানুষ, সব জায়গার ওপরই ছড়ি ঘোরাতে চায়- তার কারণে কোনো স্থানই এখন আর দুর্ভেদ্য নয়। আমরা সবাই নিশ্চয়ই দেখেছি সাম্প্রতিককালে একটি অপেক্ষাকৃত ছোট রাষ্ট্র শরীয়াহ চালু করতে চাওয়ায় কী হয়েছিল। পশ্চিমা প্রতিক্রিয়া ছিল কোনো এক শাস্তিযোগ্য অপরাধ নির্মূলের মতোই তীব্র ও অনমনীয়।

কিন্তু প্রশ্নটা সাদাকালোর নয় যে, কিছু কিছু জায়গার অবস্থা অন্যান্য জায়গার চেয়ে ভালো হবে। তবুও, এই বিষাক্ততার কথা যদি ধরি, নিউ ইয়র্কে কি তা দোহার চেয়ে বেশি পরিমাণে আছে? কিংবা, কুয়ালালামপুরের থেকে? অথবা, মুসলিম অধ্যুষিত অন্য যেকোনো শহরের থেকে? নিশ্চয়ই। এটা প্রত্যেক পরিবারের ওপর নির্ভর করে যে, পারিপার্শ্বিকতার বিবেচনায় তারা কী সিদ্ধান্ত নিবে। দুঃখজনক যে, এই শহরগুলোও কিন্তু পুরোপুরি নিরাপদ নয়, সর্বোপরি সবকিছুই সেই একমাত্র সত্ত্বা আল্লাহর হাতে- আমরা যাঁর ইবাদত করি ও যাঁর কাছেই আমরা সাহায্য প্রার্থনা করি।

এত কিছু পড়ার পর আমি কেবল মানুষের একটাই প্রতিক্রিয়া অনুমান করতে পারছি – “তো ভাই, সমাধানটা কী?”

আবারো, আমার কথা ঠিক এটাই। কখনো কখনো, কোনো সহজ উত্তর, কোনো তড়িৎ- কার্যকর সমাধান আমাদের হাতে থাকে না। কখনো কখনো সমস্যাটা এতটাই বড়,  এতটাই অতল হয় যে, প্রকৃত অবস্থাটাকে মেনে নেয়াটাই একমাত্র বাস্তবসম্মত কাজ যা আমরা করতে পারি। কেননা এটা আমাদের উপলব্ধি করায়- আল্লাহর দিকে ফেরাটাই একমাত্র সমাধান। কখনো কখনো, আমাদের পরিস্থিতির তাৎপর্য অনুধাবন করাটা জরুরী, হতাশাজনক যদি হয়- তবুও, নতুবা জীবিত অবস্থায় বেরিয়ে আসার সম্ভাবনাটুকুও ধীরে ধীরে হ্রাস পেতে থাকে।

আমাদের মাঝে কারোরই পৃথিবীর গতিপথ পাল্টে দেবার, আধুনিকতার উল্টো পথে হাঁটবার ক্ষমতা নেই। নিঃসন্দেহে, একমাত্র আল্লাহই প্রকৃত ক্ষমতাবান।

ক্ষুধার্ত উডচিপারটা কিন্তু গর্জন করেই যাচ্ছে!


উৎস: Muslim Skeptic (মূল আর্টিকেল লিংক)

অনুবাদক: এস. এম. আরিফ মাহতাব হৃদয়

অনুবাদ কপিরাইট © মুসলিম মিডিয়া

মুসলিম মিডিয়া ব্লগের কার্যক্রম অব্যাহত রাখা সহ তা সামনের দিকে এগিয়ে নিতে আপনার সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিন। ব্লগ পরিচালনায় প্রতি মাসের খরচ বহনে আপনার সাহায্য আমাদের একান্ত কাম্য। বিস্তারিত জানতে এখানে ভিজিট করুন।

নিচে মন্তব্যের ঘরে আপনাদের মতামত জানান। ভালো লাগবে আপনাদের অভিপ্রায়গুলো জানতে পারলে। আর লেখা সম্পর্কিত কোন জিজ্ঞাসার উত্তর পেতে অবশ্যই "ওয়ার্ডপ্রেস থেকে কমেন্ট করুন"।

Loading Facebook Comments ...

Leave a Reply

Your email address will not be published.

Loading Disqus Comments ...
IIRT Arabic Intensive