কিছু ইসলামবিরোধী লেখকের অভিযোগ হচ্ছে—কা’বা ছিলো আরব মূর্তিপূজকদের মন্দির। মুহাম্মাদ (ﷺ) তাদের মন্দির থেকে তাদের উচ্ছেদ করে এক আল্লাহর উপাসনা ও হাজ্জ শুরু করেন।
হজের বিধানের ব্যাপারে নাস্তিক-মুক্তমনা এবং বিশেষত খ্রিষ্টান মিশনারিদের অভিযোগ হচ্ছে : হজের রীতিগুলো মোটেও ইবরাহীম (আ.) এর সাথে কিংবা একত্ববাদের সাথে সম্পর্কিত নয়; বরং এগুলো প্রাচীন আরবের পৌত্তলিক মূর্তিপূজারিদের থেকে ধার করা। এখন আমরা অভিযোগগুলো বিশ্লেষণ ও খণ্ডন করার চেষ্টা করবো ইন শা আল্লাহ।
খ্রিষ্টান মিশনারি ও নাস্তিক মুক্তমনাচক্র ইসলামের কেন্দ্রভূমি কা’বাকে নিয়ে বিভিন্ন অভিযোগের ডালি খুলেছে। বিশ্লেষণ করে দেখা যাক সেগুলোর আদৌ কোনো যৌক্তিকতা আছে কি না।
আজ চারদিক থেকে নানাভাবে মুসলিমদের বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করা হচ্ছে। কখনো বলা হচ্ছে: ‘‘তোমরা যে বিশ্বাস কর ইবরাহীম (‘আলাইহিসসালাম) তাঁর ছেলে ইসমাঈল (‘আলাইহিসসালাম)-কে কুরবানি করতে চেয়েছিলেন, আসলে এটি একটি মিথ্যা কথা।’’ এ বিষয়টা নিয়ে এই লেখা।
নাস্তিক-মুক্তমনা ও খ্রিষ্টান মিশনারিরা কুরআন, হাদীস, সীরাহ এসব সূত্র থেকেই বিভিন্ন ঘটনা বিচ্ছিন্নভাবে উদ্ধৃত করে প্রমাণ করার চেষ্টা করে যে — মুহাম্মাদ (ﷺ) কোনো নবী ছিলেন না। যে সূত্রগুলো (হাদীস ও সীরাত গ্রন্থ) ব্যবহার করে তারা মুহাম্মাদের (ﷺ) নবুয়তকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে চায়, সে সূত্রগুলো থেকেই কিছু ঘটনা উল্লেখ করা হচ্ছে।
ঋতুবতী নারীদের ইসলাম না-কি অবজ্ঞার চোখে দেখেছে! আমরা জানি না, এ কথাটা নাস্তিকরা কোন দলীলের ভিত্তিতে বলে। সেদিন এক স্বঘোষিত নাস্তিকের বই, আরেকদিন ওদের ব্লগেও এমন একটা লেখা নজরে পড়লো। ঋতুবতী নারীদের সম্পর্কে ইসলামের বিধান কি সত্যিই অমানবিক – যেমনটা নাস্তিকরা প্রচার করে থাকে? চলুন জেনে নিই।
মানুষের এক্সপেরিমেন্ট বা সাইন্টিফিক ডিস্কাভারিগুলো বড়জোর মানুষকে কোনো বিষয়ে ধারণা দিতে সক্ষম হতে পারে, অ্যাবসোলিউট ট্রুথ বা জ্ঞান দিতে সক্ষম নয়। রিভিলেশন বা ‘ওয়াহী’র দ্বারা কনফার্ম হওয়া ছাড়া সবই আমাদের ধারণা মাত্র, কারণ সবকিছুর অ্যাবসোলিউট রিয়েলিটি আমরা জানি না। যিনি এসব সৃষ্টি করেছেন, তিনি জানেন।
এক ধর্মের সাথে আরেক ধর্মের কনসেপ্টে বড়সড় পার্থক্য থাকে। আমরা এখানে শুধুমাত্র ইসলামের দৃষ্টিকোণ থেকে বোঝার চেষ্টা করবো আল্লাহর অস্তিত্ব থাকার পরও পৃথিবীতে এত দুঃখ-কষ্ট কেন।