লেখক মানব প্রজাতির শুরু থেকে নিয়ে একবিংশ শতাব্দী হয়ে অনাগত ভবিষ্যৎ সম্পর্কে একটি সার্বিক ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করেছেন। ভিত্তি মূলত এভোলিউশনারি বায়োলজি এবং কালচার।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের শিশুতোষ গান "আমরা সবাই রাজা"কে গণতন্ত্রের বন্দনা হিসেবেও পাঠ করা যায়। এই লেখায় আমি এই গানটির একটি ধর্মতাত্ত্বিক পাঠ দেবার চেষ্টা করবো।
বাংলাদেশের নাস্তিকতাবিরোধী বই বিপ্লবে ডাবল স্ট্যান্ডার্ড সম্ভবত দ্বিতীয় সংযোজন। লেখক ইসলামী বিধানগুলোর ‘যৌক্তিকতা’র চেয়ে ‘কল্যাণময়তা’র আলোচনাকে প্রাধান্য দেন।
কয়েকটি পার্সপেক্টিভ থেকে নিরাপদ সড়ক ইশ্যু সংশ্লিষ্ট একাধিক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় তুলে আনা কিছু লেখা আমি এখানে উদ্ধৃত করেছি৷ তারপর উপসংহারে নিজের কিছু কথা যোগ করেছি।
স্বাধীনতার আগে ও পরে বাংলাদেশের বুদ্ধিজীবী সমাজের সুবিধাজীবী আচরণের প্রতি উষ্মা প্রকাশ করে ১৯৭২ সালে "বুদ্ধিবৃত্তির নতুন বিন্যাস" বইটি প্রকাশ করেন আহমদ ছফা। পাঠক চাহিদা ও সমসাময়িক প্রাসঙ্গিকতা বিবেচনায় মূল বইটির প্রায় সমান আকৃতির ভূমিকা সহ পরিবর্ধিত সংস্করণ প্রকাশিত হয় ১৯৯৭ সালে। লেখক দেখাতে চেয়েছেন যে, বাংলাদেশের বুদ্ধিজীবী সমাজ নিজে থেকে জনগণের চিন্তনজগতে কোনো আলোড়ন সৃষ্টি করতে অক্ষম।
কোটা বানিয়ে নিজের লোকদের চাকরি দেওয়া, বিরোধিতাকারীদের পেটানো রাতের বেলা বাসা থেকে তুলে নিয়ে যাওয়া - এ সবই যুলুমের কতগুলো আঙুল মাত্র। এর পেছনের সকল কলকব্জা নিয়ন্ত্রণকারী মগজটা হলো বিধানদাতা হিসেবে আল্লাহকে অস্বীকারকারী একটি সিস্টেম। আল্লাহকে আল্লাহর অধিকার প্রদান না করার অনিবার্য ফল হলো মানুষকে মানুষের অধিকার না দেওয়া।
আল্লাহ্ আমাদেরকে আরদ্বে খলিফা হিসেবে প্রেরণ করে যেসব দায়িত্ব দিয়েছেন, বৈশ্বিক ক্রীড়াকৌশল আয়োজনের এই প্রক্রিয়ায় আমাদের সেসব দায়িত্বের অনেকগুলোই ব্যাহত হচ্ছে। উম্মাহভিত্তিক দৃষ্টিকোণ থেকে দেখলে আমাদের এসকল সার্কাস পার্টির দিকে প্রশ্রয়ের দৃষ্টি নিক্ষেপ করা অনুচিত বলেই আমার মনে হয়। সঠিক ব্যাপার আল্লাহ্ই ভালো জানেন।
পশ্চিমা সাহিত্যের প্রাচীনতম নিদর্শন বলে ধারণা করা হয় মহাকাব্য "ইলিয়াড"কে। তবে এর কাহিনী বর্ণনা করা এই লেখার উদ্দেশ্য নয়। "ইলিয়াড" এর মাধ্যমে কীভাবে আজকের নিরীশ্বরবাদী সেক্যুলার চিন্তাকাঠামোকে ব্যাখ্যা করা যায়, এ নিয়েই আজকের আলোচনা।