পর্ব ০১ | পর্ব ০২

এক কথা বলছিলাম মাতৃস্থানীয়া একজন মুরুব্বীর সাথে। প্রায় জীবন সায়াহ্নে পৌঁছে যাওয়া এই নারীর গভীর জীবনবোধ আমাকে প্রায়ই চমৎকৃত করে। অথচ ঊনি পড়াশোনা করেছেন মাত্র পঞ্চম শ্রেণী পর্যন্ত। তাই জীবন নিয়ে ঊনার উপলব্ধিগুলো আমাকে ভাবিয়ে তোলে ‘উচ্চশিক্ষিত’ এই বিশেষণের প্রকৃত অর্থ নিয়ে। আমার প্রায়ই মনে হয় আমরা এক অদ্ভূত সময়ে বাস করছি। আমাদের নামের পাশে বিশাল বিশাল ডিগ্রীর তকমা ঝুলছে, পড়াশোনাকে আমরা জীবনের ধ্যান জ্ঞান বানিয়ে ফেলেছি অথচ এই আমাদেরই জীবনের খুব ছোট ছোট ব্যাপারে ‘কমন সেন্সের’ খুব অভাব। পিএইচডি ডিগ্রীধারী মা-বাবাকে আপনি দেখবেন পরীক্ষার আগে টাকা দিয়ে সন্তানের জন্য প্রশ্ন কিনতে। এটা যে কত ভয়ংকর আত্মঘাতী একটা কাজ এই সামান্য বোধটুকু আমাদের ডিগ্রীগুলো আমাদের দিতে পারছে না।

IIRT Arabic Intensive

ঠিক একইভাবে জীবনের একটা বিশাল অংশ অনেক ডিগ্রী অর্জনের পিছনে ব্যয় করে হঠাৎ করে কেউ যখন নিজের ‘মুসলিম’ আত্মপরিচয়ের ব্যাপারে সচেতন হয়ে ওঠে, তখন অবাক হয়ে উপলব্ধি করে যে ইসলামের নুন্যতম ব্যাসিক জ্ঞানটুকুও তার নেই। সে জানে না কিসে অযু ভংগ হয় কিংবা কিসে ঈমান বিনষ্ট হয়ে যায়। স্বাভাবিকভাবেই তখন এক অজানা আক্রোশে মনটা ছেয়ে যায়। রাগ হয় নিজের উপর, আশেপাশের মানুষগুলোর উপর, এই সিস্টেমের উপর। যা কিছু পড়েছি, যা কিছু পড়ছি সব কিছুকে ‘দুনিয়াবী শিক্ষা’ মনে হয়। ‘দুনিয়াবী’, কারণ এটা আমার পরকালে কোনো উপকারেই আসছে না। ইসলামের বুঝ আসার পর তাই আমাদের প্রথম প্রতিক্রিয়া হয়-“দুনিয়াবী পড়া ছেড়ে দিয়ে দ্বীনের পড়াশোনায় ব্যাপৃত হব”। এর পিছনে প্রভাবক হিসেবে আরো কাজ করে প্রচলিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে বিরাজমান পরিবেশ যা কিনা ইসলাম পালনের জন্য খুবই প্রতিকূল।

দুইকিন্তু এই যে ইসলাম প্র্যাক্টিস শুরু করার পরই আমরা পড়াশোনা ছেড়ে দিতে চাই এটা কি সঠিক সিদ্ধান্ত? যে উম্মাহর নবীর উপর প্রথম নির্দেশ ছিলো ‘পড়ো’, তাদের জন্য পড়াশোনাকে এইভাবে দুনিয়াবী আর দ্বীনী এই দু’ভাগে ভাগ করার চিন্তাটা কি ইসলাম সম্মত?

আমাদের আজকের আলোচনা মূলত এটা নিয়েই। আমি নিজে যেহেতু অর্থনীতি নিয়ে পড়ছি এবং আমি একজন মেয়ে, তাই আমি প্রচুর মেয়ের কাছ থেকে এই টপিক নিয়ে প্রশ্ন পাই। তাদেরকে আমার মতামত জানাতে গিয়েই এই টপিকের উপর একটা সিরিজ লেখার চিন্তা মাথায় আসে।

তবে আমি শুরুতেই স্পষ্ট করে বলতে চাই যে আমি কোনো স্কলার নই। আমি এখানে যা বলবো তা সম্পূর্ণ রূপে আমার নিজস্ব মতামত, বলা যেতে পারে জীবন থেকে নেয়া অভিজ্ঞতা। তাই দয়া করে কেউ মনে করবেন না যে আমি ফতওয়া দেয়া শুরু করেছি। তা করার প্রশ্নই ওঠে না।

আমি বিভিন্ন ফিল্ডে অধ্যয়নরত মেয়েদের থেকে প্রশ্ন পাই যারা পড়াশোনা চালিয়ে নেয়া নিয়ে দ্বিধান্বিত। আলোচনার সুবিধার্থে আমি একটা উদাহরণ দিচ্ছি –

আপু আমি অনার্সে নিয়ে পড়েছি । আমি কর্পোরেট জবে আগ্রহী না, লিগ্যাল প্র্যাকটিসও করবো না। আমি শিক্ষকতা পেশাতে যেতে চাই, সেটার জন্য আমার মাস্টার্স করা জরুরী। কিন্তু আমি যেহেতু মেয়েঅর্থ উপার্জন করা আমার জন্য জরুরী না, তাহলে মাস্টার্স করার জন্য কো এডুকেশনে পড়তে যাওয়া কি আমার জন্য উচিৎ হবে?

আমি যখন এসব ব্যাপারে আমার মতামত দিতে চাই, আমি প্রথমেই বলে নেই যে অন্য কেউ আপনার জীবনের সিদ্ধান্ত নিয়ে দেবে না, এটা কোনো কাজের কথাও না যে আপনি অন্যের কথা শুনে নিজের জীবনের বড় কোনো সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন। নিজের জীবনের সিদ্ধান্ত নিজে নিতে পারাটা একটা অপরিহার্য দক্ষতা যেটা আমাদের সবার অর্জন করতে পারা উচিৎ। আমি মোটা দাগে সবাইকেই তাহাজ্জুদ পরে আল্লাহর সাথে কন্সাল্ট করতে বলি। তারপর নিজের কিছু পর্যবেক্ষণ ঊনাদের সাথে শেয়ার করি।

আমি প্রথমেই জানতে চাই যে ঊনি বিবাহিত কী না, হলে বাচ্চা আছে নাকি। এগুলো ব্যক্তিগত প্রশ্ন, সন্দেহ নেই, কিন্তু তবু আমি করি কারণ এ সংক্রান্ত সিদ্ধান্তগুলো অনেকটা নির্ভর করে আমি প্রাপ্ত বয়স্ক দ্বারা পরিবেষ্টিত নাকি নই। যদি আমার বাচ্চা থাকে তাহলে সমীকরণ এক রকম, যদি না থাকে তাহলে আরেক রকম। কারণ আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি যে একটা মেয়ে প্রাথমিকভাবে দায়িত্বশীল তার পরিবারের ব্যাপারে। একটা মেয়ে লম্বা সময়ে বাইরে থাকলে আজকের সময়ে বেশ কিছু সমস্যা হয় বাচ্চার দেখভাল করা নিয়ে। আবারো বলছি, আজকের সময়ে………যখন আমরা যৌথ ফ্যামিলিতে থাকি না বললেই চলে। আর Sexual Abuse এর ব্যাপারটা মহামারী আকার ধারণ করাতে বাইরের কাউকে বাচ্চার দেখভালের জন্য বিশ্বাস করা খুব কঠিন এখন।

তাই আমার আজকের লেখা মূলত তাদের জন্য যাদের ছোট বাবু নেই। এটা একটা গুরুত্বপূর্ণ Disclaimer.

তিন এ সংক্রান্ত কোনো আলোচনায় যাওয়ার আগে সবার আগে যে বিষয়টি নিয়ে কথা বলা দরকার সেটা হল ‘ফ্রিমিক্সিং’। কো এডুকেশন হারাম এটা আমরা হর হামেশা বলে থাকি। কিন্তু ফ্রি মিক্সিং আর কো এডুকেশন কি সমার্থক?  ফ্রি মিক্সিং এর পরিবেশে যাওয়ার প্রশ্ন যখন আসে, তখন প্রথমেই আমাদের কাজ হওয়া উচিৎ ফ্রি মিক্সিং বলতে আমি কি বুঝাচ্ছি সেটা বোঝা।

অবশ্যই ফ্রি মিক্সিং বলতে আমরা ছেলে ও মেয়ের একই জায়গায় অবস্থানকে বুঝাই না। তাহলে দুনিয়ার সব জায়গায় যাওয়া বন্ধ করে দিতে হবে, মাসজিদেও। ফ্রি মিক্সিং বলতে আসলে আমরা বুঝাই ‘Intermingling among cross gender’, অর্থ্যাৎ ‘বিপরীত লিঙ্গের মাঝে অসঙ্গত আচরণ।’

এখানে এটা বোঝা খুব জরুরী যে আজকের ইন্টারনেটের যুগে ‘অসঙ্গত আচরণের’ ব্যাপ্তিটা একটু বিশাল বৈ কি। আপনি যদি আপনার পুরুষ সহকর্মীকে চোখ টিপ দেয়ার ইমো পাঠান, তাহলে সেটা নিঃসন্দেহে অসঙ্গত আচরণ। লক্ষ্য করুন, এখানে আপনি ঘরে বসেই অসঙ্গত আচরণের গুনাহ করতে পারছেন, আপনাকে বাইরে যেতে হচ্ছে না। তাই আজকের সময়ে অসঙ্গত আচরণের গুনাহ আপনি ঘরে থেকেই এড়াতে পারছেন না। সময়ের এই পরিবর্তনটা আমাদের বুঝতে হবে।

কো এডুকেশনের পরিবেশে থেকে কি অসঙ্গত আচরণের গুনাহ থেকে বেঁচে থাকা সম্ভব? আল্লাহ ভালো জানেন, কিন্তু আমার মনে হয় সম্ভব। কিভাবে?

  যদি আপনার শারীরিক ও মনস্তাত্ত্বিক চাহিদা হালালভাবে মেটে। লক্ষ্য করুন, আমি এখানে শুধু শারিরীক চাহিদার কথা বলিনি, ইমোশোনাল চাহিদার কথাও বলেছি। আপনার দাম্পত্য জীবনের অতৃপ্তি, হতাশা এগুলো যদি আপনি আপনার পুরুষ কলিগ কিংবা ক্লাসমেটের সাথে শেয়ার করেন, তাহলে সেটা আপনাকে এক পিচ্ছিল পথে নিয়ে যাবে, সেটা পরকীয়ার পথ।

  আপনার ড্রেস পোশাক যদি ইসলামিক কোড মেনে চলা হয়। আমি আশা করি যে প্রোপার ইসলামিক ড্রেস কোড বলতে কী বুঝায় এটা এই লেখার পাঠকেরা জানেন। না জানলে উপযুক্ত উৎস থেকে জেনে নিবেন। আমি এই লেখার ফোকাস হারাতে চাই না।

 আপনার Non-Verbal communication যেন কোনো ভুল সিগন্যাল না পাঠায়। এটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। আপনি যদি বোরকা পরে ছেলেদের সাথে হা হা হিহি করা টাইপের মেয়ে হন তাহলে ছেলেরা বুঝবে যে পোশাকের মাধ্যমে আপনার সাথে যোগাযোগে যে বাঁধা সৃষ্টি হয়েছে এটা দুর্ভেদ্য কিছু না। তখন ছেলেরা আপনাকে সহজলভ্য ভাববে।

 বিপরীত লিঙ্গের কারো সাথে প্রয়োজনীয় ইন্টার‍্যাকশনের আগে চিন্তা করুন যে এই কাজটার জন্য কোনো মেয়ে বিকল্প আছে কী না। যদি থাকে তাহলে তার কাছে যান। নিজেকে প্রশ্ন করুন যে এই  Interaction আদতে আমার জন্য খুবই জরুরী কী না। লাভ ক্ষতির মাঝে  তুলনামূলক পর্যালোচনা করুন।

  বিপরীত লিঙ্গের কারো সাথে Interaction করার সময়ে মাথায় রাখুন যে ‘প্র্যাক্টিসিং’ কেউ যদি এই কথাবার্তা দেখতো, তাহলে সে কি ভাবতো। সে কি এটাকে নিছক সাধারণ কথাবার্তা ভাবতো নাকি অন্য কিছু? যদি সম্ভব হয় যে কোনো এক পক্ষের মাহরামের উপস্থিতি নিশ্চিত করুন।

  বিপরীত লিঙ্গের কারো কাছ থেকে অযাচিত সুবিধা নেয়া থেকে বিরত থাকুন। আপনি যদি কারো প্রতি নির্ভরশীল হয়ে যান, তাহলে সে সেটার সুযোগ নেবে এটা মাথায় রাখবেন।

  নিজেকে পরকীয়া থেকে নিরাপদ ভাববেন না। এটা একটা ভয়ংকর পাপ। কখনো ভাববেন না অমুক আমার ছোট, তমুক চার বাচ্চার বাপ, তমুকের বউ এর সাথে আমার সুসম্পর্ক, তমুক তো বিদেশী ইত্যাদি। মনে রাখবেন শয়তান অত্যন্ত ধৈর্য্যশীল এবং সে আমাদের প্রকাশ্য শত্রু।

 তবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট হচ্ছে  আল্লাহর কাছে আশ্রয় চাওয়া- প্রকাশ্য, অপ্রকাশ্য, ইচ্ছাকৃত অনিচ্ছাকৃত গুনাহ থেকে। আল্লাহর সাথে নিয়মিত কথোপকথনের কোনো বিকল্প নেই। নিশ্চয়ই বান্দা কোনো গুনাহ থেকে আপ্রাণভাবে বাঁচতে চাইলে আল্লাহ তাঁকে নিরাশ করেন না। আমাদের মাথায় রাখতে হবে যে শয়তানের চক্রান্ত বিশ্বাসীদের জন্য দুর্বল। আমরা যেন নিজেকে খুব নাজুক না ভাবি। আস্থা রাখতে হবে  আল্লাহর সাহায্যের উপর।

আশা করি ,উপরে উল্লেখিত বিষয়গুলিতে সতর্ক হলে  এবং আল্লাহর সাহায্য পেলে মেয়েরা কো-এডুকেশনে পড়েও Intermingling Avoid করতে পারবে ইনশাআল্লাহ ।

এখন এ কথা অনস্বীকার্য যে অনেকেই এইভাবে এইসব নির্দেশনা মেনে চলার মত অবস্থায় থাকেন না। সব মেয়ের মাহরাম থাকে না, কেউ অবিবাহিত কিংবা ডিভোর্সী হতেই পারেন। তখন কী হবে? ফ্রি মিক্সিং এর ফিতনায় পরে যাবো এটা ভেবে পড়াশোনা ছেড়ে দিবো?

আমি মনে করি-না, দিবো না। কারণ এভাবে আমরা অবস্থার উত্তরণে কোনো ভূমিকা রাখার কথা ভাবছি না।

চার আজকাল অনেক বিখ্যাত মানুষদেরই মেয়ে ঘটিত নানা পদ স্খলনের খবর শোনা যায়। সেগুলার কত অংশ গুজব আর কত অংশ সত্যি সেটা আল্লাহই ভালো জানেন কিন্তু আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি যে এগুলোর একটা মেজর কারণ সব ক্ষেত্রে মেয়ে বিকল্প না থাকা। একটা সামান্য ফিকহের জ্ঞান অথবা কাউন্সেলিং এর জন্য যদি মেয়েদের ছেলের কাছে যাওয়া লাগে আর একটা ছেলে স্কলার যদি এইভাবে শত শত Vulnerable মেয়ের(যেমন ডিভোর্সড, নও-মুসলিম, পরিবারে নির্যাতনের স্বীকার ইত্যাদি) মুখোমুখি হয় তাহলে তারা শয়তানের ধোঁকায় পড়ার সম্ভাবনা অনেক বেড়ে যায়।

আমি বিশ্বাস করি যে ইসলামে ফ্রি মিক্সিং হারাম বলেই একটা প্রজন্মকে ফিতনার ভয় জয় করে দৃঢ়পদ থেকে পড়াশোনা চালিয়ে যেতে হবে। অর্থ্যাৎ যে ময়লা পরিষ্কার করবে, তাকে ময়লার মাঝে নামতে হবে।

একজন মেয়ে যখন কো-এডুকেশনে পড়ে একটা রিসোর্স পারসন হবে, তখন সে তার ফিল্ডে কমপক্ষে ১০০টা মেয়ের ফ্রি মিক্সিং এর দরজা বন্ধ করছে, কারণ তাদের প্রশ্নের উত্তর দেয়ার জন্য এখন একজন ‘মহিলা বিকল্প’ আছে। এবং এটার একটা Dom-inno effect আছে কারণ তার কাছ থেকে শিখে আরো ১০টা মেয়ে রিসোর্স পারসন হতে পারবে ইনশাল্লাহ।

তাই আমি এমন একটা সময়ের স্বপ্ন দেখি যখন শরীয়াহ, আইন, অর্থনীতি, সাইকোল্যোজি, এডুকেশন সব ফিল্ডে মেয়ে রিসোর্স পারসন থাকবে যেন মেয়েরা কোনো প্রশ্ন বা দরকারে একটা মেয়ের কাছেই যেতে পারে। তবে হ্যাঁ, কেউ যদি মনে করে যে সে ময়লা পরিষ্কার করতে পারবে না, বরং ময়লার দুর্বিপাকে হারিয়ে যাবে, এই কাজ অবশ্যই তাদের জন্য না।

আমি যে পথের কথা বলছি সেটা নিঃসন্দেহে একটা দুর্গম পথ। কারণ এই পথে হাঁটার অনেক সামাজিক উপকারিতা আছে- স্ট্যাটাস, টাকা পয়সা ইত্যাদি। তাই নিয়্যতটা কলুষিত হয়ে যাওয়ার সমূহ সম্ভাবনা থাকে। আমরা এখন এমন একটা সময়ে বাস করছি যখন পরিবারকে ফুল টাইম দেয়াকে ‘কিছু না করে’ ‘ঘরে বসে থাকা’ হিসেবে অবহেলা করা হয় তাই হয়তো আমরা দাবী করি যে উম্মাহর জন্য বড় কিছু করতে চাই বলে পড়ছি, অথচ নিজের অজান্তেই হয়ত মূল কারণটা থাকে সমাজের চোখে ‘ভ্যালুলেস’ হিসেবে গণ্য না হওয়া। এই কাজে নিয়্যতের পরিশুদ্ধতা বজায় রাখা তাই সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।

(চলবে ইনশাআল্লাহ)

 

মুসলিম মিডিয়া ব্লগের কার্যক্রম অব্যাহত রাখা সহ তা সামনের দিকে এগিয়ে নিতে আপনার সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিন। ব্লগ পরিচালনায় প্রতি মাসের খরচ বহনে আপনার সাহায্য আমাদের একান্ত কাম্য। বিস্তারিত জানতে এখানে ভিজিট করুন।

নিচে মন্তব্যের ঘরে আপনাদের মতামত জানান। ভালো লাগবে আপনাদের অভিপ্রায়গুলো জানতে পারলে। আর লেখা সম্পর্কিত কোন জিজ্ঞাসার উত্তর পেতে অবশ্যই "ওয়ার্ডপ্রেস থেকে কমেন্ট করুন"।

Loading Facebook Comments ...

Leave a Reply

Your email address will not be published.

Loading Disqus Comments ...
IIRT Arabic Intensive