“রহমানের বান্দা তারাই যারা দুনিয়াতে বিনয়ের সাথে চলাফেরা করে। যখন মূর্খরা তাদের সম্বোধন করে, তখন তারা বলে, “সালাম” (আল ফুরকান, ২৫:৬৩)।
আলহামদুলিল্লাহ্, এরকম অনেক দয়ালু, ন্যায়পরায়ন ও মহৎ লোক আমাদের পৃথিবীতে আছে। তবে, বেশীরভাগ মানুষই জীবনের কোন না কোন পর্যায়ে কিছু ভয়ংকর সম্পর্কের সম্মুখীন হয়। আপনি এটাকে জীবনে চলার পথে স্বাভাবিক ঘটনা বলে মেনে নিলে এগুলো কাটিয়ে ওঠা আপনার জন্য সহজ হবে।
একজন ভয়ংকর মানুষের লক্ষণসমূহ, নিজেকে এরকম লোকদের থেকে বাঁচানোর প্রয়োজনীয়তা, এমন লোকদের সাথে কিভাবে ব্যাবহার করা উচিত এবং পরিবারের ভিতরে এমন কেউ থাকলে কি করতে হবে এসব ব্যাপারে এই আর্টিকেলে আলোচনা করা হবে।
একজন ভয়ংকর মানুষের লক্ষণসমুহ
অনেক রকমের ভয়ংকর মানুষ রয়েছে এবং এদের বিষাক্ততার পরিমান বিভিন্ন রকম। এরকম মানুষ হতে পারে অতিরিক্ত আত্মকেন্দ্রিক, নেতিবাচক, নিয়ন্ত্রণকারী অথবা ভাবলেশহীন। আপনার জন্য একজন লোক “বিষাক্ত” যদি-
১। এমন হয় যে তার আশেপাশে সময় পার করার পর আপনার খারাপ লাগতে থাকে অথচ আপনি এর কারণ জানেন না;
২। তার নাম্বার আপনার মোবাইল স্ক্রীন এ ভেসে উঠলে আপনি মনে মনে আতঙ্ক বোধ করেন, অথবা তার সাথে দেখা করতে আপনার অস্বস্তি হয়;
৩। এই লোকটির মানবতাবোধের অভাব রয়েছে এবং নিজেকে সে সবসময় সঠিক মনে করে। যেমন: আপনি যদি তাকে বলেন যে তার সাথে দেখা করার পর আপনার অস্বস্তি হয় তাহলে সে বলবে যে এটা আপনারই সমস্যা।
ভয়ংকর লোকেরা তাদের ব্যবহারের দ্বারা তাদের চারপাশের মানুষদের জন্য মানসিক চাপের সৃষ্টি করে। তারা ক্ষমা চাওয়ার পরও আবার একই কাজ করে। এরকম লোকদের আশেপাশে যারা থাকেন তারা প্রায়ই মানসিক চাপজনিত অসুস্থতা যেমনঃ অস্থিরতা ও ভয়ভীতি, খাওয়ার অরুচি, ঘুমের সমস্যা ইত্যাদিতে ভোগেন।
আপনার যদি এরকম ভয়ংকর কারো সাথে ওঠাবসা করতে হয় তাহলে নিজের দিকে যত্নশীল হোন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “তোমরা কেউ ততক্ষণ পর্যন্ত পরিপূর্ণ ঈমানদার হতে পারবে না যতক্ষণ না সে তার ভাইয়ের জন্য সেটাই কামনা করবে যা সে তার নিজের জন্য চায়।“ (সহিহ মুসলিম, অধ্যায়ঃ কিতাবুল ঈমান)
এই হাদিস আমাদেরকে বলে অন্যদের জন্য কল্যাণ চাইতে, কিন্তু একইসাথে নিজের প্রতিও যত্নশীল হতে বলে। আমরা কি চাইব যে আমাদের কারো ভাই অথবা বোন কোন দুষিত সম্পর্কের কারনে কষ্ট পাক? তাহলে কেন আমরা নিজেদেরকে এরকম সম্পর্কের কারনে কষ্ট পেতে দেই?
মনে রাখবেন যে আপনার জীবনের সাথে সম্পর্কিত সিদ্ধান্তগুলো কেবল আপনিই নিতে পারেন।
“নিশ্চয়ই আল্লাহ ততক্ষন পর্যন্ত কোন জাতির অবস্থা পরিবর্তন করেন না যতক্ষণ না তারা তাদের নিজেদের ভিতরের অবস্থা পরিবর্তন করে।” (আর রাদ, ১৩:১১)
একটি দুষিত সম্পর্কের ব্যাপারে কিছু করা বা না করা এটা আপনার ব্যাপার।
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদেরকে এই হাদিস এর মধ্যে আমাদের সঙ্গীদের ব্যাপারে সতর্ক থাকতে বলেছেনঃ
“মানুষ তার সঙ্গীর দ্বীনের উপর থাকে। এজন্য তোমাদের প্রত্যেকের উচিত সতর্কতার সাথে তার সঙ্গী বাছাই করা।” (তিরমিযি)
আবু মূসা আল আশ-আরি রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিতঃ “আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছি, “উত্তম সঙ্গ আর অসৎ সঙ্গের তুলনা হচ্ছে সুগন্ধির মালিক আর হাপর এ চাপ দানকারী (কামার) এর মত। সুগন্ধির মালিক হয় তোমাকে কিছু সুগন্ধি উপহার হিসাবে দিবে, অথবা তুমি তার থেকে এটা কিনে নিতে পারবে, অথবা তার কাছ থেকে তুমি সুন্দর সুবাস পাবে। আর যে কিনা হাপর এ চাপ দেয়, সে হয় তোমার কাপড় পুড়িয়ে দিবে অথবা তার কাছ থেকে তুমি পোড়া গন্ধ পাবে।“ (সহিহ মুসলিম, অধ্যায়ঃ সদ্ব্যবহার, আত্মীয়তার সম্পর্ক রক্ষা ও শিষ্টাচার)
ভয়ংকর লোকদের থেকে আপনার কেন বেঁচে থাকা উচিত সে সম্পর্কে এখানে কিছু কারণ উল্লেখ করা হচ্ছেঃ
১। তাদের নেতিবাচকতা আপনার লক্ষ্য অর্জন করাকে পিছিয়ে দিবে।
২। তাদের কারনে আপনি ক্লান্ত বোধ করবেন এবং আপনার মন অশান্তি আর দুশ্চিন্তায় ছেয়ে যাবে।
৩। এরকম লোকদের থেকে আগত মানসিক চাপ আপনার সুস্থতাকে প্রভাবিত করবে।
ভয়ংকর লোকদের সাথে চলাচলের ব্যাপারে কিছু সাধারণ দিক নির্দেশনা
১। তাদেরকে ছেড়ে দিতে শুরু করুন। আপনার যা সঠিক মনে হয় তাই করুন এবং তাদের ত্যাগ করুন। তাদের ফোন ধরবেন না। আপনি দূরত্ব তৈরির জন্য ক্ষমা চাইতে পারেন কিন্তু কোনও কৈফিয়ত দেওয়ার প্রয়োজন নেই।
২। নিজের সামর্থ্য সম্পর্কে জানুন এবং সেগুলোর কথা মনে রাখুন। শক্ত হোন। যেহেতু ভয়ংকর লোকজন যেকোনো ভাবে নিজেদের ইচ্ছাকে কার্যকর করতে চায়, তাই তারা অনেক ধরনের ছলচাতুরীর আশ্রয় নিতে পারে। অতএব শক্ত হোন এবং নিজেকে সেই অনুযায়ী প্রস্তুত করুন।
৩। আপনি চাইলে তাদের সাথে চলতে আপনার যে সমস্যা হচ্ছে তা খুলে বলতে পারেন। আলোচনায় কি সিদ্ধান্ত নেয়া হয় তা মনে রাখুন। মৌখিক কথাবার্তার পর আপনি চাইলে ই-মেইল দ্বারা যে সিদ্ধান্তে পৌঁছান হয়েছিল সে ব্যাপারে পুনরায় কথা বলে নিতে পারেন। এতে করে আলোচনার লিখিত রেকর্ড তৈরি হয়ে যাবে এবং পরবর্তীতে মিথ্যাচারের সুযোগ থাকবে না।
৪। আচরণে নম্র এবং সৎ হন আর ইসলামের নির্দেশিত পন্থা মেনে চলার চেষ্টা করুন।
৫। নিজেকে এমন বন্ধুদের দ্বারা পরিবেষ্টিত রাখুন যারা আপনাকে সমর্থন আর উৎসাহ দেয়। সেইসাথে আপনার পরিস্থিতির ব্যাপারে বিশ্বস্ত কারো সাথে পরামর্শ করুন।
“আর তাদের সাথে পরামর্শ কর। আর যখন তুমি কোন সিদ্ধান্তে উপনীত হও, তখন আল্লাহর উপর ভরসা কর। নিশ্চয়ই যারা আল্লাহর উপর ভরসা করে তাদের আল্লাহ ভালবাসেন।” (আলে-ইমরান, ৩:১৫৯)
৬। ভয়ংকর লোকদের সাথে কথা বলার সময় শান্ত থাকতে ভুলবেন না। মনে মনে কল্পনা করুন যে একটি অদৃশ্য ঢাল আপনাকে তাদের সমস্ত নেতিবাচকতা থেকে আড়াল করছে।
৭। আল্লাহ তায়ালার সাহায্যের সঙ্কেতগুলোর প্রতি মনযোগী হন। যেমন আকস্মিক কোন গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পেয়ে যাওয়া যা আপনাকে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে সাহায্য করে।
৮। ভয়ংকর লোকদের সম্পর্কে আপনার পূর্ব অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিন, যাতে করে আপনি আপনার জীবনকে আরও সুন্দর আর সমুন্নত রাখতে পারেন।
এমন হতে পারে যে আপনার জন্য নিজেকে এমন লোকদের থেকে পুরোপুরি আলাদা করা সম্ভব হচ্ছে না। এরকম পরিস্থিতিতে আপনাকে এদের সাথে মানিয়ে চলার পদ্ধতি শিখতে হবে। এই পদ্ধতিগুলো হল এমন কিছু কাজ যা আপনাকে মানসিক চাপ সৃষ্টিকারী পরিস্থিতিতে শান্ত ও স্থির থাকতে সাহায্য করবে। এটা হতে পারে আল্লাহর কাছে সাহায্য চাওয়া, বাসার বাইরে থেকে হেঁটে আসা, পছন্দের কারো সাথে কথা বলে নেয়া অথবা গরম এক কাপ চা বানিয়ে খাওয়া।
জীবনের সমস্যাগুলো মোকাবিলা করার ব্যাপারে কিছু দ্বীনি পরামর্শ
কোন সন্দেহ নেই যে সবর এবং দোয়া হচ্ছে জীবনের যেকোনো সমস্যার জন্য শ্রেষ্ঠ সমাধান।
“হে মুমিনগণ, তোমরা সালাত এবং সবর এর মাধ্যমে সাহায্য চাইতে থাক। নিশ্চয়ই আল্লাহ ধৈর্যশীলদের সাথে আছেন।” (আল বাকারা, ২:১৫৩)
আমার সবচেয়ে পছন্দের হাদিস এটিঃ
“কত চমৎকার মুমিনের অবস্থা, সবকিছুই মুমিন ব্যাক্তির জন্য ভাল এবং এই ব্যাপারটি শুধু মুমিন এর বেলায়ই প্রযোজ্য। যখন সে প্রাচুর্যের সময় অতিবাহিত করে, তখন সে আল্লাহর কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে এবং এটা তার জন্য কল্যাণকর হয়। আর যখন দুঃখ দুর্দশা তার তার উপর নিপতিত হয় তখন সে ধৈর্যের সাথে তা সহ্য করে এবং এটা তার জন্য আরও বেশি কল্যাণকর হয়। (সহীহ মুসলিম, অধ্যায়ঃ যুহুদ ও দুনিয়ার প্রতি আকর্ষণহীনতা সম্পর্কিত বর্ণনা)
এই হাদিস আমাকে মনে করিয়ে দেয় যে আমাদের উচিত সবসময় হয় আল্লাহর প্রতি কৃতজ্ঞ থাকা অথবা সবর এর অবস্থায় থাকা। অনেক সময় আমরা একইসাথে দুটো অনুভূতি নিজেদের ভেতর খুঁজে পাই। আমরা আমাদের জীবনে আসা ভয়ংকর লোকগুলোর ব্যাপারে সওয়াবের প্রত্যাশায় সবরকারী হতে পারি, আর সেইসাথে আমাদের চারপাশের অসংখ্য নেয়ামতগুলোর জন্য আল্লাহর কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে পারি।
সবর করার মানে এই না যে আমরা একটা দুষিত সম্পর্কের ব্যাপারে কিছুই না করে চুপ করে বসে থাকব। একদিন নবী মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দেখলেন যে এক বেদুইন তার উটকে না বেঁধেই চলে যাচ্ছে। তিনি বেদুইনকে জিজ্ঞেস করলেন, “তুমি তোমার উটকে কেন বেঁধে রাখলে না?” বেদুইন উত্তর দিলঃ
“আমি আল্লাহর উপর ভরসা করেছি।” রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ “আগে উটের রশি বাঁধ, তারপর আল্লাহর উপর ভরসা কর।” (তিরমিযি)
সবসময় আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করাও জীবনের যেকোনো সমস্যা থেকে উত্তরনের জন্য একটি উত্তম উপায়।
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “যে-ই অনেক বেশি ইস্তেগফার করবে, আল্লাহ তার যাবতীয় দুশ্চিন্তা থেকে মুক্তির উপায় বের করে দিবেন, তিনি তার সকল সমস্যা দূর করে দিবেন, এবং তাকে এমন উৎস থেকে রিজিক পৌঁছে দেবেন যার সম্পর্কে সে ইতিপূর্বে জানত না।“ (ইমাম আহমাদ থেকে বর্ণিত, সনদ সহিহ)
অতএব আপনার সমস্যাগুলো, যেমন বিষাক্ত/ কলুষিত সম্পর্ক, এগুলোকে আপনার উপকারে লাগান। এই বিষয়গুলোকে আল্লাহ তায়ালার বেশি বেশি স্মরণ করার অজুহাত হিসাবে ব্যবহার করুন।
পরিবারের সদস্য যদি ভয়ংকর হয়
আমরা সবাই জানি যে পারিবারিক সম্পর্ক রক্ষা করা ইসলামে কতোটা গুরুত্বপূর্ণ। আপনার যদি একজন ভয়ংকর পারিবারিক সদস্যকে নিয়ে থাকতে হয়, তাহলে তার সাথে সম্পর্কচ্ছেদ করা কোনভাবেই প্রথম সমাধান হতে পারে না।
এক মশহুর হাদিসে বর্ণিত, আসমা রাদিয়াল্লাহু তা’আলা আনহা, আবু বকর রাদিয়াল্লাহু আনহুর কন্যা, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে জিজ্ঞাসা করেনঃ “আমার মা আমাকে দেখতে এসেছেন। তিনি আমাদের দ্বীনকে ঘৃণা করেন। তারপরও কি আমি তার সাথে সহানভুতি প্রদর্শন করব?
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, “হ্যাঁ, তোমাকে অবশ্যই তোমার মায়ের প্রতি সদয় আচরণ করতে হবে।“ (সহিহ বুখারী, সহিহ মুসলিম)
সবচেয়ে ভাল হয় যদি তাদের সাথে মানিয়ে চলা যায়। ধৈর্যশীল হন এবং পরিবারের ভয়ংকর লোকদেরকে প্রয়োজনের অতিরিক্ত সময় দেয়া বন্ধ করুন।
কুরআন মাজিদে আল্লাহ তা’আলা বলেন, “ধৈর্যের সাথে সহ্য কর যা তারা (তোমার বিরুদ্ধে) বলে এবং বিনয়ের সাথে তাদের সঙ্গ ত্যাগ কর।” (আল মুজাম্মিল, ৭৩:১০)
প্রায়ই দেখা যায় যে বিবাহিত দম্পতিরা তাদের স্ত্রী/স্বামীর কাছে ভয়ংকর ব্যবহার পেয়ে থাকেন। সবর একটি অতি উত্তম গুণ, কিন্তু দীর্ঘকালের খারাপ আচরণকে অগ্রাহ্য করলে একসময় তা বৈবাহিক সম্পর্কে ভাঙ্গন ধরাবে। একজন আরেকজনের মনের ইচ্ছা আর অনুভূতি বোঝার চেষ্টা করা হল বিবাহিত জীবনের উন্নতির চাবিকাঠি। অনেক সমস্যারই উদ্ভব হয় শুধু একজন অপরজনকে ভালভাবে বুঝতে না পারার কারনে। অবশ্য, অপরকে বুঝতে হলে আগে নিজাকেও বুঝতে পারা চাই।
উপসংহার
ভয়ংকর লোকজন আমাদের জীবনের অংশ। তাই নিজের প্রতি যত্নশীল থাকুন আর মনে রাখুন যে সুস্থ স্বাভাবিক সামাজিক সম্পর্ক আপনার প্রাপ্য। আপনি অযথা কষ্ট পেলে আল্লাহ রাব্বুল আলামিন খুশি হন না। আপনার কাছের বিশ্বস্ত মানুষদের থেকে সাহায্য নিন, এবং অবশ্যই, সবর এর সাথে দোয়া করতে থাকুন।
“…আর যে-ই আল্লাহ কে ভয় করে…আল্লাহ তার জন্য প্রত্যেক অসুবিধা থেকে মুক্তির উপায় বের করে দেবেন। আর তিনি তার রিজিক পৌছাবেন এমন উৎস থেকে যা সে কোনদিন কল্পনাও করতে পারতো না।” (আত তালাক, ৬৫:২-৩)
উৎসঃ “ইসলামিক অনলাইন ইউনিভার্সিটি” (মূল আর্টিকেল লিঙ্ক)
অনুবাদকঃ আরিফ আবদাল চৌধুরী, মুসলিম মিডিয়া প্রতিনিধি।
অনুবাদ কপিরাইট © মুসলিম মিডিয়া
মুসলিম মিডিয়া ব্লগের কার্যক্রম অব্যাহত রাখা সহ তা সামনের দিকে এগিয়ে নিতে আপনার সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিন। ব্লগ পরিচালনায় প্রতি মাসের খরচ বহনে আপনার সাহায্য আমাদের একান্ত কাম্য। বিস্তারিত জানতে এখানে ভিজিট করুন।
নিচে মন্তব্যের ঘরে আপনাদের মতামত জানান। ভালো লাগবে আপনাদের অভিপ্রায়গুলো জানতে পারলে। আর লেখা সম্পর্কিত কোন জিজ্ঞাসার উত্তর পেতে অবশ্যই "ওয়ার্ডপ্রেস থেকে কমেন্ট করুন"।