জনৈক প্রগতিশীল পুরুষ একবার খুব শখ করে বলেছিলো, “বিয়ের পর আমি আমার স্ত্রীকে পূর্ণ স্বাধীনতা দেবো।” মানুষ প্রশংসা করবে কী, উল্টো তার উপর ঝাঁপিয়ে পড়লো নারীবাদীরা। বললো, “স্বাধীনতা দেবো মানে কী? আপনি তাকে স্বাধীনতা দেওয়ার কে? আপনি স্বাধীনতা না দিলে সে স্বাধীন হতে পারবে না? সে তো জন্মগতভাবেই স্বাধীন। নিজেকে কী মনে করেন? … ” ইত্যাদি। বেচারার প্রতি সমবেদনা। উত্তরাধুনিকতাবাদ আমাদেরকে এমন এক জায়গায় এনে দাঁড় করিয়েছে যে, শুধু অন্যের অবাধ অধিকারে বিশ্বাস করাটাই যথেষ্ট না। কার কর্তব্য ও অধিকার কী হবে এটা যে কে ঠিক করে দেবে, তা-ও এখন অস্পষ্ট।
তবে আল্লাহর কর্তব্য ঠিক করে দেওয়ার ব্যাপারে অবিশ্বাসী ও সংশয়বাদী সম্প্রদায় খুবই দক্ষ। তারা যখন বলে “আল্লাহর অস্তিত্ব থাকলে পৃথিবীতে এত দুঃখ-কষ্ট কেন?” তখন কিন্তু তারা নিজ থেকেই একটি শর্ত আল্লাহর উপর চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করলো। সঙ্গত কারণেই প্রশ্ন জাগে যে, এই চাপিয়ে দেওয়ার অধিকার তাদের আছে কি না। আল্লাহর অস্তিত্ব থাকা না থাকার সাথে পৃথিবীতে দুঃখ-কষ্ট থাকা না থাকার কি কোনো আবশ্যক সম্পর্ক আছে? প্রশ্নকারীদের প্রতি প্রশ্ন রইলো।
অবিশ্বাস ও সংশয়ের বিরুদ্ধে প্রতিটা ধর্মের হয়ে ওকালতি করাটা কঠিন। কারণ এক ধর্মের সাথে আরেক ধর্মের কনসেপ্টে বড়সড় পার্থক্য থাকে (এর অর্থ এই না যে জীবনদর্শন, নৈতিকতা, সামাজিকতা, রাজনীতি ইত্যাদি সকল কনসেপ্টে সকল অবিশ্বাসীরা একমত। তারাও নিজেদের মাঝে শতধা বিভক্ত)। একদিকে অবিশ্বাস আর আরেকদিকে ধর্মবিশ্বাসকে রেখে স্বপক্ষ নির্ধারণ করা কঠিন। তাই আমরা এখানে শুধুমাত্র ইসলামের দৃষ্টিকোণ থেকে বোঝার চেষ্টা করবো আল্লাহর অস্তিত্ব থাকার পরও পৃথিবীতে এত দুঃখ-কষ্ট কেন। এবং আল্লাহ ছাড়া কেউই আমাদেরকে এ কাজের সামর্থ্য দানে সক্ষম নয়।
আল্লাহ যেহেতু সমগ্র সৃষ্টিজগতের একচ্ছত্র অধিপতি, তিনি আসলে কারো কাছে জবাবদিহি করতে বাধ্য নন। তিনি যদি আমাদের সৃষ্টিই না করতেন, আমাদের কিছু করার ছিলো না। তিনি যদি আমাদেরকে এই আকৃতিতে না বানিয়ে অন্য আকৃতিতে সৃষ্টি করতেন, আমাদের কিছু বলার ছিলো না। তিনি যদি আমাদেরকে সৃষ্টি করার পর আদেশ দিতেন জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত সেজদায় পড়ে থাকতে হবে, তাহলে আমাদের কিছু করার ছিলো না। যদি বলতেন এত বছরের সেজদার বিনিময়ে মৃত্যুর পর তিনি কোনো প্রতিদান দিবেন না, জাহান্নামে ফেলে দিবেন, তাহলেও আমাদের কিছু করার ছিলো না। আমরা যে প্রতিনিয়ত অক্সিজেন গ্রহণ করছি, আমাদের প্রতিটা ডিএনএ যে নিজ নিজ কাজ করে চলেছে, এ সবই আল্লাহর অনুগ্রহ। দিনে রাতে যে মাত্র সতের রাকআত ফরয সালাত আমাদের পড়তে হয়, বছরে যে মাত্র ত্রিশ বা তার চেয়ে কম ফরয সওম পালন করতে হয়, উদ্বৃত্ত সম্পদের মাত্র আড়াই শতাংশ যাকাত দিতে হয়, মাত্র একবার হাজ্জ করলেই হয়ে যায়, এ সবই আল্লাহর অনুগ্রহ।
আল্লাহ কোথাও দাবি করেননি যে সবাই তাঁর উপর ঈমান আনলে দুনিয়ায় সব দুঃখ-কষ্ট তিনি ভ্যানিশ করে দিবেন। সেই ওয়াদা তিনি করেছেন জান্নাতের ব্যাপারে, দুনিয়ার ব্যাপারে নয়। বরং এখানে দুঃখ-কষ্ট থাকবে, এটাই তাঁর প্রতিশ্রুতি। বিভিন্নজনের উপর বিভিন্ন কারণে বিপদ-আপদ দুঃখ-কষ্ট আসতে পারে। কোনো ক্ষেত্রে তা দুনিয়ার জীবনের পরীক্ষার একটা স্বাভাবিক অংশ।
এবং অবশ্যই আমি তোমাদেরকে পরীক্ষা করবো কিছুটা ভয়, ক্ষুধা, সম্পদ ও প্রাণের ক্ষতি এবং ফল-ফসল বিনষ্টের মাধ্যমে। তবে সুসংবাদ দাও ধৈর্যশীলদের। [সূরাহ আল-বাক্বারাহ (২):১৫৫]
রাসূলুল্লাহ ﷺ এর একটি হাদীস থেকে আমরা জানতে পারি যে, ঈমানদারের ব্যাপারটা বিস্ময়কর! তার উপর কোনো কল্যাণ আপতিত হলে সে আল্লাহর প্রশংসা ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করে। আর কোনো বিপদ আপতিত হলে ধৈর্যধারণ করে। এই শুকরিয়াজ্ঞাপন ও সবর করার লাভটা কী? এগুলো অন্যান্য নেক আমলের মতোই আমলনামায় পয়েন্ট যোগ করে। দুঃখ-কষ্টবিহীন জান্নাতের দিকে যাওয়ার পথে আগে বড়িয়ে দেয়।
আর মানুষের ঈমানের মজবুতির ভিত্তিতে তার পরীক্ষা কঠিনতর হতে থাকে। নবীগণকে তাই সবচেয়ে বেশি পার্থিব যন্ত্রণা ভোগ করতে হয়েছে। ‘আয়িশা ও অন্যান্য সাহাবা (রাদ্বিয়াল্লাহু ‘আনহুম) হতে বর্ণিত হাদীসসমূহ থেকে আমরা জানতে পারি রাসূলুল্লাহর ﷺ চেয়ে বেশি পার্থিব কষ্ট পেতে তাঁরা কাউকে দেখেননি। নিন্দুকরা তাঁর যুদ্ধগুলোর কথা এমনভাবে প্রচার করে যেন তিনি লুট করা স্বর্ণের পাহাড়ের উপর বসা কোনো ডাকাত ছিলেন। অথচ বাস্তবে তিনি এমন বিছানায় শুতেন যে শরীরে দাগ পড়ে যেতো।
দুনিয়ার সব সম্পদ ঈমানদারদের হাতে তুলে দিলে মুনাফিকদের আলাদা করা যেতো না। আবার সকল ভোগ-বিলাস শুধু কাফিররাই পেলে কেউ ঈমানদার হওয়ার মতো উদ্দীপনা পেতো না।
যদি সব মানুষ একমতালম্বী হয়ে যাওয়ার আশংকা না থাকতো, তবে যারা দয়াময় আল্লাহকে অস্বীকার করে, তাদেরকে আমি দিতাম তাদের ঘরের জন্য রৌপ্যনির্মিত ছাদ ও সিঁড়ি, যার উপর তারা চড়তো। আর তাদের ঘরের জন্য দরজা দিতাম এবং পালংক দিতাম যাতে তারা হেলান দিতো। এবং স্বর্ণনির্মিতও দিতাম। এগুলো সবই তো পার্থিব জীবনের ভোগসামগ্রী মাত্র। আর পরকাল আপনার পালনকর্তার কাছে তাদের জন্যই, যারা ভয় করে। [সূরাহ আয-যুখরুফ (৪৩):৩৩-৩৫]
তারপরও তো মুসলিম বাদশাহর অধীনে অমুসলিম ঝাড়ুদার থাকে। তাহলে রাসূলুল্লাহ ﷺ একটি হাদীসে কেন বললেন “দুনিয়া মুমিনের কারাগার আর কাফিরের জান্নাত”? কারণ জান্নাতের তুলনায় দুনিয়ার বাদশাহী কারাগারের মতোই, আর জাহান্নামের তুলনায় দুনিয়ার ঝাড়ুদারগিরি হলো জান্নাতের মতো।
এছাড়া আমাদের বদ আমলের কারণেও বিভিন্ন দুর্যোগ এসে থাকে। এর মাধ্যমে আল্লাহ আমাদের সুযোগ দেন সময় থাকতে এসকল কাজ থেকে তাওবাহ করার।
স্থলে ও জলে মানুষের কৃতকর্মের দরুন ফাসাদ ছড়িয়ে পড়েছে। আল্লাহ তাদেরকে তাদের কৃতকর্মের শাস্তি আস্বাদন করাতে চান, যাতে তারা ফিরে আসে। [সূরাহ আর-রূম (৩০):৪১]
গুরুশাস্তির পূর্বে অবশ্যই আমি তাদেরকে লঘুশাস্তি আস্বাদন করাবো, যাতে তারা ফিরে আসে। [সূরাহ আস-সাজদাহ (৩২):২১]
আর যখন কোনো জাতি সীমালঙ্ঘন করে, আল্লাহ তাদেরকে আযাবের মাধ্যমে ধ্বংস করে দেন। সেই আযাব কোনো প্রাকৃতিক ঘটনা আকারেও আসতে পারে, আবার ঈমানদারদের জিহাদের মাধ্যমেও আসতে পারে। দ্বিতীয়টার বিধান দিয়ে আল্লাহ বরং সীমালঙ্ঘনকারীদেরকে দয়া করেছেন। কারণ প্রথম ধরনের আযাবে পুরো জাতি নিশ্চিহ্ন হয়ে যেতো, যেমনটা আদ ও সামূদ জাতি ধ্বংস হয়েছে। কিন্তু দ্বিতীয় প্রকারের কারণে অনেকেই বেঁচে থাকে, বন্দী হয়, তাওবাহ করার সুযোগ পায়। বানী ইসরাঈল এবং মুহাম্মাদ ﷺ এর উম্মাতের পরিমাণ এত বেশি হওয়ার এটাও একটা কারণ।
… আল্লাহ যদি মানবজতির একদলকে আরেকদল দ্বারা প্রতিহত না করতেন, তবে গির্জা, ইবাদাতখানা, উপাসনালয় ও মাসজিদসমূহ ধ্বংস হয়ে যেতো, যেগুলোতে আল্লাহর নাম অধিক স্মরণ করা হয়। … [সূরাহ আল-হাজ্জ (২২):৪০]
কিন্তু পৃথিবী তো গরীব মানুষে ভর্তি। আল্লাহ তাদেরকে এমন দুঃখ-কষ্টে কেন রাখেন? প্রথমে আমরা দেখি আল্লাহ কেন একটা শ্রেণীহীন সমাজ সৃষ্টি করলেন না, কেন এককে অপরের উপর বৈষয়িক উন্নতি দান করলেন।
তারা কি আপনার পালনকর্তার রহমত বণ্টন করে? আমিই তাদের পার্থিব জীবনে তাদের জীবিকা বণ্টন করেছি। আর তাদের একজনের উপর আরেকজনের (বৈষয়িক) মর্যাদা সমুন্নত করেছি যাতে তারা একে অপরকে সেবক হিসেবে গ্রহণ করতে পারে। … [সূরাহ আয-যুখরুফ (৪৩):৩২]
এটাই একটা বাস্তবমুখী সমাজব্যবস্থা যেখানে কেউ হবে বড় ব্যবসায়ী আর কেউ গাড়ির ড্রাইভার। প্রতিটা হালাল পেশার মানুষ একে অপরকে সেবা প্রদানের একটা নেটওয়ার্ক তৈরি করে সমাজটাকে টিকিয়ে রাখে। এটা কোনো অবিচার নয়। অবিচার তখনই হতো যদি ব্যবসায়ী এক রাকআত সালাত পড়ে ড্রাইভারের চেয়ে বেশি সাওয়াব পেতো। কিন্তু তা তো হয় না। বরং আখিরাতে জান্নাতের উচ্চতর স্তর লাভের প্রতিযোগিতায় ড্রাইভারেরও সুযোগ আছে ব্যবসায়ীকে ছাড়িয়ে যাওয়ার।
… কিন্তু তারা যা জমা করে, তার চেয়ে তোমার প্রতিপালকের রহমত উত্তম। [সূরাহ আয-যুখরুফ (৪৩):৩২]
তারপরও কথা থেকে যায়। পৃথিবীতে তো আমরা দেখছি ধনী আরো ধনী হচ্ছে, গরীব আরো গরীব হচ্ছে। পেটে খাবার না থাকলে মানুষ ধর্মকর্ম করবে কখন?
অন্ধ লোকেদের হাতি দেখার গল্প নিশ্চয় জানেন আপনারা। একেকজন হাতির একেক অঙ্গ ধরেছিলো। ফলে কান ধরে কেউ ভাবলো হাতি হচ্ছে কলাপাতার মতো, কেউ পা ধরে ভাবলো গাছের কাণ্ডের মতো, কেউ লেজ ধরে ভাবলো সাপের মতো। ইসলামকে আমরা খণ্ডিত করে দেখার একটা অভ্যাস গড়ে তুলেছি। উদাহরণ দেওয়া যাক।
নারী-পুরুষের আচার আচরণের ব্যাপারে ইসলাম কেমন? এমনটা ভাবতেই আমাদের মাথায় ভেসে ওঠে নেকাব পরা ভূতের মতো কিছু মহিলা ঘুরে বেড়াচ্ছে, চার বউওয়ালা হুজুররা দোররা মেরে আর পাথর নিক্ষেপ করে মানুষ মেরে ফেলছে। আসলে এগুলো হলো আমাদের ওই খণ্ডিত চিন্তার ফল। নারী-পুরুষের দৃষ্টি অবনমন, পোশাকের পর্দা, মাহরাম-গায়র মাহরামের বিধান, দ্রুত বিবাহ, বহুবিবাহ ও বিধবাবিবাহের বৈধতা, দেনমোহর, ব্যভিচারীর শাস্তি ইত্যাদি অনেকগুলো বিষয় মিলে হলো ইসলামে নারী-পুরুষের আচরণের পূর্ণাঙ্গ বিধান। এই সব বিষয় থেকে প্রসঙ্গ ছাড়া একটা বিষয় আলাদা করে এনে যখন আমরা দেখি, তখনই এর সামগ্রিক সৌন্দর্যটাকে আমরা মিস করে যাই। আর ইসলামকে ভাবি বর্বর, অবাস্তব কোনো জীবনব্যবস্থা। শুধু ইসলাম না; যেকোনো মতাদর্শ, যেকোনো দর্শন, যেকোনো সিস্টেম বা যেকোনো সংবিধানকেই এভাবে খণ্ডিতভাবে দেখে সেগুলোকে বর্বর বানিয়ে তোলা সম্ভব।
ধনী-গরীবের পার্থক্যের ব্যাপারেও ইসলাম এরকমই সামগ্রিক বিধান দিয়েছে। সেই বিধানের প্রতিটা পার্টস যদি সিনক্রোনাইজড উপায়ে একসাথে কাজ না করে, তাহলেই পুরো মেশিনে সমস্যা দেখা দেয়। সুদ নিষিদ্ধকরণ, যাকাতের ফরয বিধান, সদকা, লেনদেনের বিস্তারিত ফিক্বহ, জিযিয়া ইত্যাদি অনেকগুলো বিষয় মিলে তৈরি হয় ইসলামের অর্থনীতি বিষয়ক পূর্ণাঙ্গ কাঠামোটা। আমাদের উপর আল্লাহপ্রদত্ত দায়িত্ব হলো এই কাঠামোটাকে বাস্তবে রূপদান। আল্লাহর ইচ্ছায় এই কাজটা করেছেন বলেই রাসূলুল্লাহ ﷺ, সাহাবাগণ (রাদ্বিয়াল্লাহু ‘আনহুম) ও অন্যান্য নেককার শাসকগণ ধাপে ধাপে এমন একটা সমাজ গড়ে তুলেছিলেন, যেখানে যাকাত নেওয়ার মতো লোক পাওয়া দুষ্কর হয়ে গিয়েছিলো।
পূজার প্রতিমা বানাতেও তো কারো না কারো কর্মসংস্থান হয়। শহীদ মিনারে দেওয়ার জন্য ফুল আর ঈদের দিনে ফুটানোর জন্য পটকা বেচলেও কর্মসংস্থান হয়। সুদের কারবার করেও তো পেট চালানো যায়। কোনোটাকে তো সে অর্থে অপচয় বলা যাচ্ছে না। কিন্তু আল্লাহ যেসব জায়গায় খরচ করতে নিষেধ বা নিরুৎসাহিত করেছেন এবং যেসব জায়গায় খরচ করতে আদেশ বা উৎসাহিত করেছেন, তার অন্যথা করতে গেলে সামগ্রিক সিস্টেমটাতে অনিয়ম শুরু হয়। এই মানবরচিত অনিয়মের অর্থনীতির ফলেই আজকে আটজন শীর্ষ ধনী ব্যক্তির মোট সম্পদের পরিমাণ পৃথিবীর মোট সম্পদের অর্ধেক। ইসলাম কাউকে হয়তো এরকম ধনকুবের বানায় না। কিন্তু ধনী-গরীবের এই রাক্ষুসে পার্থক্যটাও তৈরি হতে দেয় না।
তাই আজকে যে আমরা মানুষকে না খেয়ে মরতে দেখি, এর জন্য আল্লাহকে দোষ দিয়ে লাভ নেই। আমরাই আল্লাহর বিধান লঙ্ঘন করে তাদের এসকল দুঃখ-কষ্টের কারণ হয়েছি।
পুরোটাকে সামারাইজ করলে দাঁড়ায় যে, বিভিন্নরকম দুঃখ-কষ্টের কারণ বিভিন্ন; এবং দুঃখ-কষ্টের অস্তিত্ব আল্লাহর অনস্তিত্বের প্রমাণ নয়। আশা করি আমরা কিছুটা হলেও বুঝতে পেরেছি। আল্লাহ আমাদের সকলকে দুনিয়া ও আখিরাতের সাফল্য দান করুন।
মুসলিম মিডিয়া ব্লগের কার্যক্রম অব্যাহত রাখা সহ তা সামনের দিকে এগিয়ে নিতে আপনার সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিন। ব্লগ পরিচালনায় প্রতি মাসের খরচ বহনে আপনার সাহায্য আমাদের একান্ত কাম্য। বিস্তারিত জানতে এখানে ভিজিট করুন।
নিচে মন্তব্যের ঘরে আপনাদের মতামত জানান। ভালো লাগবে আপনাদের অভিপ্রায়গুলো জানতে পারলে। আর লেখা সম্পর্কিত কোন জিজ্ঞাসার উত্তর পেতে অবশ্যই "ওয়ার্ডপ্রেস থেকে কমেন্ট করুন"।