দুনিয়া এবং আখিরাতে চির সৌভাগ্যের একমাত্র উপায় হলো, বিনম্র হয়ে আল্লাহর আনুগত্যের দিকে চলে আসা। আল্লাহর সান্নিধ্য লাভে মনোনিবেশ করা। এভাবেই মানুষ আল্লাহর ইবাদতের স্বাদ উপভোগ করে এবং ধীরে ধীরে তাঁর প্রিয়পাত্র হয়ে যায়।
আল্লাহ বলেন, “যে ব্যক্তি রাত্রিকালে সেজদার মাধ্যমে অথবা দাঁড়িয়ে এবাদত করে, পরকালের আশংকা রাখে এবং তার পালনকর্তার রহমত প্রত্যাশা করে, সে কি তার সমান, যে এরূপ করে না; বলুন, যারা জানে এবং যারা জানে না; তারা কি সমান হতে পারে? চিন্তা-ভাবনা কেবল তারাই করে, যারা বুদ্ধিমান।” (সূরা যুমার-৯)
আমরা সকলেই চিন্তা করি, মৃত্যুর পর আমাদের গন্তব্য কোথায়? আমরা কবরে যাব, অতঃপর পুনরুত্থিত হব, হাশর কায়েম হবে, আল্লাহর কাছে আমাদের কৃতকর্মের জবাব দিতে হবে ইত্যাদি। কিন্তু বস্তুবাদী নস্তিক সম্প্রদায়ের প্রভাবে অপযুক্তির বেড়াজালে আবদ্ধ হয়ে জ্ঞানশূন্য ও সরলমনা অনেক মুসলমান পরকালের ব্যাপারে সংশয়ে পতিত হয়। অসংখ্য যুবক আজ এ মরণব্যধিতে আক্রান্ত। ফেতনা ফাসাদ এবং দ্বীন নিয়ে অবহেলার এ যুগে শত্রুদের আক্রমণের শিকার হয়ে অগণিত মানুষ আজ এ কঠিন ব্যাথায় জর্জরিত। পরকাল সম্পর্কে আমাদের সঠিক জ্ঞান না থাকাই এই সংশয়ের পেছনে একটা বড় ভূমিকা পালন করে। ফলে বস্তুবাদী নাস্তিক সম্প্রদায় বিভিন্ন অপযুক্তি প্রদর্শনের মাধ্যমে সাধারণ মুসলিমদেরকে বিভ্রান্ত করতে সক্ষম হয়। অথচ পরকাল কেবল একটা ধারণা নয়; এর সাম্যক বাস্তবতার পেছনে রয়েছে অসংখ্য যৌক্তিক এবং অগণিত বর্ণনাভিত্তিক প্রমাণ।
বক্ষ্যমাণ গ্রন্থটি আরবী “আল-আলামুল আখীর” এর বাংলা-রূপ। আরব বিশ্বের প্রখ্যাত দাঈ ও সুলেখক শায়খ ড. মুহাম্মদ বিন আব্দুর রহমান আরীফীর অন্যসব বইয়ের ন্যায় এটিও আরব-বিশ্বে ব্যাপক প্রচার ও প্রসিদ্ধি পেয়েছে। অনুবাদ ও বিন্যাস করেছেন উমাইর লুৎফর রহমান।
এতে মৃত্যু থেকে নিয়ে পরকালের সকল গমনস্থল সম্পর্কে কুরআন হাদিসের আলোকে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হয়েছে। মানুষের মৃত্যু, কবরে মুমিন ও কাফিরের অবস্থা, বারযাখী (অন্তর্বর্তীকালীন) জীবন, সেখানে মুমিন ও কাফিরের অবস্থা, কেয়ামত সংঘটন ও সেসময় আসমান, জমিন, চন্দ্র-সূর্য, গ্রহ-নক্ষত্রের অবস্থা, কেয়ামতপরবর্তী সকল সৃষ্টির পুনরুত্থান, হাশরের ময়দানের ভয়াবহতা, কঠিন দুর্ভোগ, হাশরের ময়দানের নবীদের অবস্থা, নবী মুহাম্মাদ সা. কে মাকামে মাহমূদে উত্তোলন ও তার সুপারিশ গ্রহণ, হাউযে কাউসার, মিযান (মানদণ্ড) স্থাপন, সেখানে মানুষের কৃতকর্ম পরিমাপ, সুপারিশ, জাহান্নামের উপরিভাগে স্থাপিত সেতু ইত্যাদি বিষয়গুলোকে সুবিন্যস্তভাবে প্রমাণসহ উপস্থাপন করা হয়েছে।
জান্নাত ও জাহান্নামের বিস্তারিত বিবরণ ও তাদের অধিবাসীদের সুখ-দুঃখের আলোচনা উঠে এসেছে। বইটির অনলাইন সংস্করণ পেতে এখানে ক্লিক করুন।
আল্লাহ তা‘লা বইটি থেকে সকলকেই উপকৃত করুন। আমিন।
মুসলিম মিডিয়া ব্লগের কার্যক্রম অব্যাহত রাখা সহ তা সামনের দিকে এগিয়ে নিতে আপনার সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিন। ব্লগ পরিচালনায় প্রতি মাসের খরচ বহনে আপনার সাহায্য আমাদের একান্ত কাম্য। বিস্তারিত জানতে এখানে ভিজিট করুন।
নিচে মন্তব্যের ঘরে আপনাদের মতামত জানান। ভালো লাগবে আপনাদের অভিপ্রায়গুলো জানতে পারলে। আর লেখা সম্পর্কিত কোন জিজ্ঞাসার উত্তর পেতে অবশ্যই "ওয়ার্ডপ্রেস থেকে কমেন্ট করুন"।
দীর্ঘ কলেবরের বই হওয়ার দরুন এতে ইন্টারেক্টিভ লিঙ্ক সংযুক্ত করে দিলে ভালো হতো। পাঠকদের জন্য সহজ হতো।
ইনশাআল্লাহ্, সংগ্রহ করবো।