| Ramadan Writing Contest 2016 এ ৪র্থ স্থান অধিকারী |
সেদিন একটি পরিসংখ্যান দেখে আঁতকে উঠেছিলাম। সেখানে বলা হয়েছে বাংলাদেশের শতকরা সাতাশি ভাগ নারী জীবনের কোনো না কোনো পর্যায়ে শারীরিক অথবা মানসিক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। এই পরিসংখ্যান দেখে খারাপ লাগলেও, কেন যেন অবাক হইনি। কারণ আমার মাঝে মাঝে মনে হয় বাংলাদেশের হাতে গোনা কিছু নারী বাদে অধিকাংশ নারীই পরিবার, শ্বশুরবাড়ি, স্বামী, অফিসের সহকর্মী অথবা সমাজ দ্বারা কোনো না কোনো সময়ে নিগৃহীত হয়েছেন অথবা নিপীড়নের শিকার হয়েছেন।
নারীদের প্রতি এই প্রতিকূল ব্যবহারের কারণ নিয়ে কম আলোচনা হয়নি। নারীবাদী সংগঠন, আন্তর্জাতিক সংস্থা, সরকার ইত্যাদির পক্ষ থেকে আমরা বহু ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ শুনেছি ও তাঁরা নানারকম প্রতিকার বিধান দেখিয়েছেন। কিন্তু এত সবের পরও খুব একটা লাভ হয়েছে বলা যাবে না।
বিজ্ঞজনেরা সর্বদা বলতে চান, ‘প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার অভাব’ ও ‘দারিদ্র্য’ হলো নারী নির্যাতনের পেছনের মুখ্য নিয়ামক। গভীরভাবে চিন্তা করে দেখুন তো, আসলেই কি এই দুটো কারণেই নারীরা পদে পদে এত লাঞ্ছিত হচ্ছে? নাকি সমস্যা থেকে মুক্তি পাবার উপায় অন্য কোনোখানে?
যতক্ষণ পর্যন্ত নারী নির্যাতনের গোড়ার সমস্যার দিকে আমরা নজর দেবো না, ততক্ষণ দুনিয়ার সবাই মিলে চেষ্টা করলেও অবস্থার কোনো উন্নতি হবে না।
নারীর প্রতি সহিংসতার মূলে দৃষ্টি দেবার আগে আমি বিভিন্ন সামাজিক মর্যাদার শিক্ষিত ও অশিক্ষিত পরিবারের কিছু সত্য ঘটনা কেস স্টাডি হিসেবে দেখাতে চাই। এক্ষেত্রে প্রয়োজনে কিছু ছদ্মনাম ব্যবহার করা হবে, তবে ঘটনার সত্যতা নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই।
কেস স্টাডি ১) নিম্নবিত্ত ও অশিক্ষিত পরিবার
করিমন বুয়া বহু বছর ধরে মানুষের বাসায় ছুটা কাজ করে। যৌতুক না দেবার অপরাধে প্রতিদিন ভয়ানক মার খেতে হতো তাকে। মার খেতে খেতে শরীরের মাংস যেন থেঁতলে যাচ্ছিলো তার। শেষ পর্যন্ত না পেরে শহরে চলে এসেছে, এখানে মানুষের বাসায় কাজ করে হলেও অন্তত সম্মানজনকভাবে থাকতে পারবে। যদিও তার স্বামীও পেছনে পেছনে চলে এসেছে, তবু শহরে আসার পর স্বামী আগের চেয়ে কম অত্যাচার করে, যার বিনিময়ে অর্থাৎ সংসারে শান্তির জন্য সারা মাসের কামাই স্বামীর হাতে তুলে দিতে হয়।
কেস স্টাডি ২) নিম্ন মধ্যবিত্ত স্বল্প শিক্ষিত পরিবার
রেহানা একজন গৃহিণী ও দু সন্তানের জননী। ঢাকা শহরে এক রুমের একটি বাড়িতে থাকে। হঠাৎ একদিন তার সুখের সংসারে আঁধার নেমে এলো। স্বামীর নতুন ব্যবসা শুরু করতে মূলধন প্রয়োজন। স্ত্রীকে বারবার চাপ দিতে লাগলো যেন সে বাবার বাড়ি থেকে টাকা এনে দেয়। রেহানা অপারগতা জানালে তার উপর নেমে আসে অমানবিক নির্যাতন। প্রচণ্ডভাবে মারধর করে শরীরে দাগ ফেলে দেয় তার স্বামী। মারধর করা শেষ হলে স্ত্রীকে শাস্তি দেবার জন্য বাচ্চা দুটোকে নিয়ে লোকটি বের হয়ে চলে যায়।
একে তো এত মার খেয়ে গা জ্বরে পুড়ে যাচ্ছিলো রেহানার, তার ওপর কোলের শিশুদেরও নিয়ে গিয়েছিলো পাষণ্ড স্বামী। চোখে অন্ধকার দেখা শুরু করে রেহানা।
কেস স্টাডি ৩) মধ্যবিত্ত ও শিক্ষিত পরিবার
মৌমিতা দেশের স্বনামধন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসমূহ থেকে পাশ করা অসম্ভব মেধাবী ছাত্রী। পড়াশোনা শেষ করার আগেই খুব ধনাঢ্য পরিবারের শিক্ষিত ছেলের জন্য তার বিয়ের প্রস্তাব আসে। খুব তাড়াতাড়ি তাদের বিয়ে হয়ে যায়। জীবনের এই মোড় পরিবর্তন যেন স্বপ্নের মতো মনে হয় তার কাছে। কিন্তু স্বপ্ন ভাঙতে দেরি হয় না। বিয়ের কিছুদিনের মধ্যেই বের হয়ে আসে স্বামীর মানসিক সমস্যা আছে, যা তার কাছে লুকানো হয়েছিলো! গর্ভবতী অবস্থাতেও সে স্বামীর দ্বারা শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়। এর সাথে সারাদিন শাশুড়ির গঞ্জনা তো আছেই। মেয়েটির পক্ষে তালাক নেওয়া সম্ভব হয় না, কারণ তার মা বাবা এত বড় ধাক্কা সইতে পারবে না। তাছাড়া সমাজ কী বলবে, সন্তানের ভবিষ্যৎ কী হবে ইত্যাদি চিন্তা করে মেয়েটি এভাবেই জীবন চালিয়ে যেতে থাকে।
কেস স্টাডি ৪) উচ্চবিত্ত পরিবার
স্বর্ণার ভাগ্য দেখে সবাই ঈর্ষা করে। প্রতিবছর সে জামাইর সাথে দেশ বিদেশে বেড়াতে যায়। বছরে বছরে তারা নতুন গাড়ি কেনে। তার হাতে সবসময় হীরার আংটি, সোনার চুড়ি ঝকমক করতে থাকে।
কিন্তু সবাই শুধু তার বাইরের জীবনটাই দেখে, ওদিকে প্রতিদিন ঘরের ভেতরে চলে এক অন্য অধ্যায়। সন্ধ্যা হলেই মদের বোতল নিয়ে বসে যান বড়লোক জামাইবাবু। মাতাল হয়ে অশ্রাব্য ভাষায় স্ত্রীকে গালিগালাজ করতে ও বড় বড় সন্তানদের সামনেও স্ত্রীকে প্রচণ্ডভাবে মারতে দ্বিধা করে না লোকটি। স্বর্ণা ভেবে পায় না, এতদিনের সংসার ভেঙ্গে কোথায় যাবে। তার বাবাও আর বেঁচে নেই। বিধবা মায়ের ঘাড়ে ওঠার কথা তো সে কল্পনাও করতে পারে না। নিজেরও তেমন পড়াশোনা নেই যে কিছু করে খাবে। তাই এভাবেই নিপীড়িত হতে হতে জীবন কাটাতে থাকে সে।
কেস স্টাডি ৫) অতি শিক্ষিত স্বামী স্ত্রীর পরিবার!
যারা বলেন শিক্ষা ও আত্মনির্ভরশীলতা পারে নারীকে প্রতিরক্ষা দিতে, এই গল্পটি তাঁদের জন্য। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এসোসিয়েট প্রফেসর রুমানা মনযুরের কথা মনে আছে সবার? বছর কয়েক আগে যার বুয়েটের ইঞ্জিনিয়ার স্বামী তাকে পাশবিকভাবে নির্যাতন করে নাক, চোখ কামড়ে ছিঁড়ে নেয় ও চিরতরে অন্ধ করে দেয়! এই মর্মান্তিক কাহিনী ভোলার মতন নয়! এক নিমিষেই যখন তার জীবন ছিন্নভিন্ন হয়ে গেলো, তখন উচ্চশিক্ষা বা স্বনির্ভরতা কোনো রক্ষাকবচ হিসেবে কাজে আসেনি!
উপরে কেস স্টাডিগুলো ভালো করে খেয়াল করলে বোঝা যাবে সমাজের সর্বস্তরের শিক্ষিত ও অশিক্ষিত পরিবার থেকে ঘটনাসমূহ নেওয়া হয়েছে। এ ধরনের শারীরিক নির্যাতনের ঘটনা যদি প্রত্যেকটি ঘরে না-ও হয়, মানসিক নির্যাতন তো অধিকাংশ ঘরের রোজকার কাহিনী।
সর্বদা ছল ছুতোয় ঘরের নারীটির দোষ অনুসন্ধান করা, সবার সামনে তাকে অপমান করা, নারীর পরিশ্রমের মূল্যায়ন না করে উল্টো তাকে মূল্যহীন প্রতিপন্ন করার চেষ্টার মাধ্যমে তার আত্মবিশ্বাস ভেঙ্গে দেওয়া, ইত্যাদি সব কিছুই নারীর প্রতি মানসিক নির্যাতনের অন্তর্গত।
চারদিকে তাকালে আমরা দেখতে পারি অর্থ-বিত্ত, প্রচলিত শিক্ষাব্যবস্থা অথবা নারীর ক্ষমতায়ন কোনোকিছুই নারীর প্রতি সহিংসতা কমাতে পারছে না, বরং উত্তরোত্তর এই নিষ্ঠুরতা নতুন মাত্রা পাচ্ছে। যার অর্থ সো কলড সমাজব্যবস্থা নারীর নিরাপত্তা প্রদান করতে সম্পূর্ণরূপে ব্যর্থ হয়েছে। ঘরের বাইরে তো দূরের কথা, চার দেয়ালের ভেতরেও আজকাল নারীরা নিরাপদ নয়!!
এই একবিংশ শতাব্দিতে এসেও মানুষ কন্যা সন্তান হলে মুখ কালো করে, স্ত্রীর বাবার বাড়ি থেকে যৌতুক আশা করে, সহধর্মিণীর গায়ে হাত তোলে!! সময় এগিয়ে গেলেও আমরা যেন পিছিয়ে চলছি সেই আইয়্যামে জাহেলিয়াত যুগের দিকে! কারণ ইসলামের চর্চা করতে ভুলে যাচ্ছি আমরা।
অথচ আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা’আলা চৌদ্দশ বছর আগেই আমাদের হাতে আধুনিকতম জীবনব্যবস্থা হিসেবে ইসলাম উপহার দিয়েছেন, কোরআন তুলে দিয়েছেন। আল্লাহর দেওয়া সেই উপহার ঠেলে ফেলে দেওয়াই আমাদের নারীজাতির দুর্দশার আসল কারণ। সত্যিকারের “ইসলাম শিক্ষাই” পারে আমাদের সকল নিপীড়ন থেকে রক্ষা করতে।
আমাদের সমাজের যত নারীনির্যাতনকারী পরিবারের দিকে তাকাবেন, আমি হলফ করে বলতে পারি প্রত্যেক ক্ষেত্রে আপনারা একটি বিশেষ ‘মিল’ দেখতে পাবেন। তা হলো পরিবারগুলোতে ইসলামী জ্ঞানের অভাব! ইসলামী শিক্ষা বলতে আমি ভ্রান্ত আকিদা অথবা জাল হাদিসে পরিপূর্ণ মনগড়া কেচ্ছা কাহিনী ও তাবিজ কবজ, তন্ত্র মন্ত্রে ভরপুর বইয়ের কথা বলছি না। বরং আমি কোরআনের বিধান ও সহিহ হাদিস থেকে প্রাপ্ত রাসুল (সাঃ) এর সুন্নতের অনুসরণের কথা বলছি।
প্রাক-ইসলামী সমাজে মহিলাদের অবস্থা অকল্পনীয় শোচনীয় ছিলো। তাদের শারীরিকভাবে আঘাত করা ছিলো অতি স্বাভাবিক বিষয়, সম্পত্তির অধিকার না দিয়ে তাদেরকেই সম্পত্তি হিসেবে বিলি বণ্টন করা, অসংখ্য স্ত্রী রাখা, ব্যভিচার করা, কন্যাসন্তানকে জীবন্ত কবর দেওয়া ইত্যাদি ছিলো নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনা। কিন্তু ইসলামের অমিয় বাণী প্রবেশ করার সাথে সাথে বিশ্বের জঘন্যতম সমাজ পরিণত হয় সুসভ্যতম সমাজে!!
যেখানে নারী জাতির কোনো সম্মান ছিলো না, সেখানে মায়ের স্থান এতটাই উচ্চে তুলে নেওয়া হয় যে, মায়ের পদতলে জান্নাত দিয়ে দেওয়া হয় আর কন্যাসন্তানের জন্মকে ‘সুসংবাদ’ আখ্যা দেওয়া হয়।
মহান আল্লাহ বলেন,
“যখন তাদের কাউকে কন্যা জন্মের সুসংবাদ দেওয়া হয়, তখন তার চেহারা মলিন হয়ে যায় এবং সে মনে মনে ব্যথিত হয়। (এ সুসংবাদকে সে অপমানকর মনে করে) সমাজের লোকজন থেকে লুকিয়ে বেড়ায় এবং এ চিন্তা করে যে, হীনতা ও অপমান সহ্য করে কন্যা সন্তানটি কি নিজের কাছেই রেখে দেবে নাকি তাকে মাটিতে পুঁতে ফেলবে। লক্ষ্য করো, তারা কত হীন ও নিকৃষ্ট সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতো।” [সূরা নাহল (১৬):৫৮-৫৯]
মা ও কন্যাশিশুর পাশাপাশি স্ত্রীর জন্যও এই ধর্মে দেওয়া হয় ভালোবাসার দরজা! রাসুল (সাঃ) বলেন, “তোমাদের মধ্যে সেই ব্যক্তিই উত্তম যে তার স্ত্রীদের নিকট উত্তম!” এ হাদিস দ্বারা স্ত্রীর সম্মানকে এত বেশি গুরত্ব দেওয়া হয় যে, কেউ যদি নিজেকে উত্তম ব্যক্তিতে রূপান্তরিত করতে চায় তাকে অতি অবশ্যই তার স্ত্রীর সাথে ভালো ব্যবহার করতেই হবে।
রাসুল (সাঃ) বিদায় হজ্জের বাণীতে বলেন, “তবে নারীদের বিষয়ে তোমরা আল্লাহ তা’আলাকে ভয় কর। নারীদের উপর যেমন পুরুষদের অধিকার রয়েছে, তেমনি পুরুষদের উপর রয়েছে নারীদের অধিকার। তোমরা তাদেরকে আল্লাহর জামিনে গ্রহণ করেছো।”
নারীদের প্রতি ইসলামের দৃষ্টিভঙ্গি সিংহপুরুষ উমর (রাঃ) এর বিখ্যাত গল্পটি থেকেই বোঝা যায়। (“কাহিনীটির নির্ভরযোগ্যতা সন্দেহপূর্ণ, কিন্তু তার পরের অনুচ্ছেদে উল্লেখিত শরিয়তের বিধিটি সহীহ দলীল দ্বারা সাব্যস্ত।”- সম্পাদক) একদা এক লোক খলিফার কাছে এসেছিলো নিজের স্ত্রীর নামে বিচার দিতে, কিন্তু এসে দেখে যে খলিফার স্ত্রীও স্বামীর সাথে উচ্চস্বরে কথা বলছে। এই দেখে সে ভাবে যেখানে উমরকেই তার স্ত্রী রাগ দেখাতে পারে, যে কিনা তার শৌর্য-বীর্যের জন্য বিখ্যাত, সেখানে উনার কাছে আর বিচার দিয়ে কী লাভ!
খলিফা তখন লোকটিকে ডেকে বলেন, “হে আমার ভাই, আমার কাছে তার অনেক অধিকার পাওনা আছে, সে আমার খাবার রান্না করে, রুটি বানায়, কাপড় ধোয় ও আমার সন্তানকে দুধ খাওয়ায়। অথচ এর কোনোটি তার কাছে আমার প্রাপ্য নয় এবং সে এগুলো করতে বাধ্য নয়। এসবের কারণে আমার মনে শান্তি বিরাজ করে এবং আমি হারাম উপার্জন থেকে রক্ষা পাই। এ কারণেই আমি তাকে সহ্য করি।”
ইসলাম নারীর প্রতি কতটা সহনশীল হবার শিক্ষা দেয়, তা এ ঘটনা থেকে যেমন স্পষ্ট বোঝা যায়, আবার এই ঘটনা থেকে শরীয়তের এই বিধিও স্পষ্ট হয়ে যায় যে, নিছক প্রথাগতভাবে আমাদের সমাজে মনে করা হয় যে, রান্না বান্না করা, কাপড় ধোয়া ও গৃহস্থালির যাবতীয় কাজ করা স্ত্রীর দায়িত্ব ও কর্তব্য। কিন্তু আসলে তা তার দায়িত্ব বা কর্তব্য নয়। স্ত্রী এসব পরিবারের মঙ্গলকামনায় স্বেচ্ছায় করে। তাই এসব কাজে ত্রুটি হলে কোনোক্রমেই তার প্রতি দুর্ব্যবহার করা জায়েজ নয়, বরং স্ত্রী ‘এহসান’ স্বরূপ ঘরের কাজ করে দেখে, স্ত্রীর প্রতি কোমল ও দয়ালু থাকার কথাই ইসলামে বলা হয়।
সমাজ ও রাষ্ট্র নারীর নিরাপত্তার জন্য নানারকম আইন তৈরি করছে ও trial and error বেসিসে এসব আইনের প্রয়োগ করা হচ্ছে। কিন্তু আমরা যে তিমিরে ছিলাম, সেই তিমিরেই পড়ে আছি।
আল্লাহ আমাদের জন্য কোরআন থেকে প্রথম শব্দ নাজিল করেছেন, ‘ইক্বরা’ অর্থাৎ পড়ো। যা দ্বারা জ্ঞান অর্জন করা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে এবং এটাই আমাদের উপর আমাদের প্রতিপালকের প্রথম আদেশ। যত দিন আমরা ইসলাম নিয়ে পড়াশোনা করবো না ও আল্লাহর দেওয়া বিধানকে বাস্তব জীবনে প্রয়োগ করবো না, ততদিন নারীর প্রতি সহিংসতামূলক মনোভাব বিনাশ করা কোনোক্রমেই সম্ভব হবে না।
যেদিন প্রতিটি ঘরে ঘরে ইসলামের সৌন্দর্য অনুধাবন করে, পরিবারের সদস্যদের প্রতি সম্মানজনক ব্যবহার করা হবে, কন্যা ও পুত্রসন্তান উভয়কেই শৈশব থেকে তাদের যার যার দায়িত্ব ও অধিকার সম্পর্কে সুস্পষ্ট ধারণা দেওয়া হবে, শুধুমাত্র সেই দিন নারী নির্যাতনকে সমূলে উৎপাটন করা সম্ভব হবে।
মুসলিম মিডিয়া ব্লগের কার্যক্রম অব্যাহত রাখা সহ তা সামনের দিকে এগিয়ে নিতে আপনার সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিন। ব্লগ পরিচালনায় প্রতি মাসের খরচ বহনে আপনার সাহায্য আমাদের একান্ত কাম্য। বিস্তারিত জানতে এখানে ভিজিট করুন।
নিচে মন্তব্যের ঘরে আপনাদের মতামত জানান। ভালো লাগবে আপনাদের অভিপ্রায়গুলো জানতে পারলে। আর লেখা সম্পর্কিত কোন জিজ্ঞাসার উত্তর পেতে অবশ্যই "ওয়ার্ডপ্রেস থেকে কমেন্ট করুন"।