| Ramadan Writing Contest 2016 এ ৩য় স্থান অধিকারী |
ইসলামে ইলমের গুরুত্ব অত্যাধিক। ইসলামের অমূল্য জ্ঞানের ধারক-বাহক হলেন আলিমগণ। ইসলাম শিখতে হলে আলিমদের কাছেই শিখতে হবে। দুঃখের বিষয় হলো, একদিকে আমরা আলিমদের কাছে শিখতে চাই না, অন্যদিকে আলিম হিসেবে পরিচিত কিছু ভণ্ড ব্যক্তির দ্বারা প্রভাবিত হয়ে আমরা ভুল পথে চলি। ফলে বিশুদ্ধ ইসলাম থেকে সহজেই দূরে সরে যাই আমরা। এ প্রসঙ্গেই এই আলোচনা।
কিয়ামাতের দিন সর্বপ্রথম হিসাব নেওয়া হবে সালাতের; সালাত ঠিকভাবে আদায় করতে হলে ন্যূনতম কিছু ইলম দরকার। এছাড়াও পৃথিবীতে আমরা আল্লাহর দেওয়া বিধি-নিষেধ ঠিকমতো পালন করেছি কি না সে সম্পর্কে প্রশ্ন করা হবে; এসব বিধান পালন করতে গেলেও কিছুটা ইলমের দরকার। একথা নিশ্চিত যে, ইসলামের ন্যূনতম কিছু জ্ঞান না থাকলে রাসূলের আদর্শ অনুযায়ী আল্লাহর পথে চলা অসম্ভব। এই ইসলামী জ্ঞান অর্জনকে ইসলামে ফরজ করা হয়েছে। আর সেই জ্ঞান অর্জনের উপায় কী? আল্লাহ বলেন, “তোমরা যদি না জানো, তবে জ্ঞানীদেরকে জিজ্ঞাসা করো।” [সূরা নাহল (১৬): ৪৩]
অনেকেই আলিমদের কাছে দ্বীন শিখতে চায় না। কারণ, আলিমদের ব্যাপারে তাদের কিছু আপত্তি আছে। যেমন, অনেকেই বলে থাকে, “হুজুররা অতিরিক্ত কঠোর, ইসলামে এত কঠোরতা নেই, হুজুররাই ইসলামকে কঠিন বানিয়েছে।” বাহ! কোরআনের কয়েকটা আয়াত মুখস্থ থাকা আর পাঁচ-ছয়টা হাদীস ব্যাখ্যা ছাড়া জানার মধ্যে যাদের জ্ঞান সীমাবদ্ধ, তারাই জেনে গেছে ইসলামে কী আছে, কী নেই! আর সারাজীবন কোরআন-হাদীস পড়েছেন যে আলিমগণ, তাঁরা জানতে পারেননি! আপনার খটকা লাগলে আলিমকেই জিজ্ঞেস করুন, তিনি কীসের ভিত্তিতে কোন কথা বলছেন। কোরআন-হাদীসের প্রমাণ চেয়ে দেখুন। তারপর নিজেই যাচাই করে দেখুন, ইসলামে কোথায় কঠোরতা আছে, আর কোথায় নেই। নিজেই পরীক্ষা করুন, আলিমরা নিজেদের মনগড়া কথা বলেন, নাকি কোরআন-হাদীস সম্পর্কে আপনিই অজ্ঞ।
অনেকের আপত্তি, “একেক হুজুর একেক কথা বলে। কারটা শুনবো?” আমার প্রশ্ন হলো, “যেসব ব্যাপারে আলিমরা একমত, সেগুলো আপনি ঠিকঠাক মানেন তো? দাড়ি রাখা ওয়াজিব- এ বিষয়ে আলিমদের কোনো মতভেদ দেখেছেন? সুদ হারাম হওয়ার ব্যাপারে কোনো আলিমকে দ্বিমত করতে দেখেছেন?” এসব মানুষ আলিমদের মতভেদের কথা বলে সাধারণ মানুষকে আলিমদের থেকে বিমুখ করে। অথচ মতভেদহীন বিষয়গুলোতে তারা আবার আলিমদের সিদ্ধান্তকে গুরুত্ব না দিয়ে নিজেদের মনমতো চলে।
অনেকে বলে, “হুজুররা মানুষকে ভালো কথা বলে ঠিকই, কিন্তু নিজেরা খারাপ কাজ করে।” যেন আলিমদের হিসাব নেওয়া তাদের দায়িত্ব! আমি বলি, “আলিমরা ভালো কাজ করে, না খারাপ কাজ করে- তা বিচার করার আপনি কে? কোনো আলিমের ভুল ধরার যোগ্যতা আছে আপনার? আপনি যেটা খারাপ ভাবছেন, তা কি কোরআন-সুন্নাহর দৃষ্টিতেও খারাপ?” আলিমদের তাচ্ছিল্য করবেন না। আলিমদের মর্যাদা অনেক বেশি। আল্লাহ বলেন, “যারা জানে আর যারা জানে না তারা কি সমান?” [সূরা যুমার (৩৯): ৯]
হ্যাঁ, আলিমদেরও ভুল হতে পারে। কেননা তাঁরা ফেরেশতাও নন। তাঁরা রক্তমাংসের মানুষ। তাঁদের ভুল হয়, গুনাহ হয়। কিন্তু খেয়াল করুন, তাঁরা সারাজীবন ইসলামের পথে চলেন, সারাজীবন মানুষকে ইসলামের পথে ডাকেন। এর সাওয়াব অনেক বেশি। এরপর তাঁদের স্বাভাবিক ত্রুটি-বিচ্যুতির সংখ্যা খুব কম। আল্লাহ যদি দ্বীনের প্রতি এই মানুষগুলোর আন্তরিকতা দেখে তাঁদের ভুলগুলো মাফ করে দেন, তাহলে আপনি কী করবেন? পার্থিব জীবনে নানা দুঃখ-কষ্টের মাধ্যমেও গুনাহ মাফ হতে পারে। আর তাওবার রাস্তা তো খোলাই থাকে। ভুল ধরা পড়লে আলিমরা তা সংশোধন করে ফেলেন, এ ব্যাপারে তাঁরা যথেষ্ট সচেতন। তাছাড়া ইজতিহাদী ভুলের ক্ষেত্রে গুনাহ তো নয়ই, বরং সাওয়াব পাবেন তাঁরা। ইলম সংক্রান্ত গবেষণা করতে গিয়ে ঠিক সিদ্ধান্তে পৌঁছলে দুটি সাওয়াব, আর ভুল করলেও একটি সাওয়াব। তাই আলিমদের ভুল নিয়ে চিন্তা না করে নিজেদের গুনাহ নিয়ে ভাবাই বুদ্ধিমানের কাজ হবে। বাস্তবতা হলো, আমাদের নেক আমল খুবই কম, আর সে তুলনায় গুনাহ অসংখ্য।
আরেকটা অভিযোগ হলো, “হুজুররা বাস্তবতা বুঝে না।” হ্যাঁ, অনেক আলিমই দুনিয়ার অনেক কিছু সম্পর্কেই বেখবর। কিন্তু কবরের বাস্তবতা সম্পর্কে তাঁরা সচেতন। কবরের প্রশ্নের জবাব দেবার প্রস্তুতি তাঁরা ঠিকই নেন। তাঁদের সবাই হয়তো অর্থনীতি খুব ভালো বোঝেন না, কিন্তু সুদ যে হারাম তা বুঝেন। তাঁরা সবাই হয়তো চৌকস ব্যবসায়ী নন, কিন্তু ব্যবসা করতে গিয়ে প্রতারণা করা হারাম- এটা তাঁরা বুঝেন। তাঁদের হয়তো ইঞ্জিনিয়ারিং ডিগ্রি নেই, কিন্তু যে অমূল্য জ্ঞান তাঁদের আছে তা আমাদের নেই। আর হ্যাঁ, আলিমরা এখন সবকিছু সম্পর্কেই সচেতন হচ্ছেন। বাস্তবতা তাঁরা আমাদের চেয়ে কম বুঝেন না।
আল্লাহ বলেন, “তোমরা আনুগত্য করো আল্লাহর, আনুগত্য করো রাসূলের এবং তোমাদের আদেশদাতাগণের।” [সূরা নিসা (৪): ৫৯]
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, “আলিমরা নবীগণের ওয়ারিস।” (তিরমিযী) তিনি আরও বলেন, “তোমাদের মধ্যে সেই ব্যক্তি সর্বোত্তম, যে নিজে কোরআন শিখে এবং অপরকে শিক্ষা দেয়।” এত সম্মান যাঁদের দেওয়া হয়েছে, তাঁদের ব্যাপারে মন্তব্য করার আগে হাজারবার ভাবা উচিত। অজ্ঞতাবশত ভুল কিছু বলে ফেললে তা শুধু আমাদের গুনাহই বাড়াবে। আর গিবত করা এমনিতেই হারাম, সেখানে সম্মানিত আলিমদের নামে গিবত করা তো আরও মারাত্মক।
এবার মুদ্রার অপর পিঠটা দেখা যাক। দ্বীনী ইলম অর্জন করতে পারাটা নিঃসন্দেহে আল্লাহর পক্ষ থেকে এক বড় নিআমাত। আল্লাহ তা’আলা যাদেরকে এই সৌভাগ্য দান করেছেন, তাদের দায়িত্বও খুব বড়। দ্বীনের কোনো বিষয় জানার সাথে সাথে তা মেনে চলাও কর্তব্য হয়ে যায়। আলিমরা মানুষকে ইসলামের দিকে ডাকেন, সৎ কাজে আদেশ দেন, অসৎ কাজে বাধা দেন। এ অবস্থায় তাঁদের নিজেদের জন্য ইসলামের বিধানগুলো মেনে চলা আরও জরুরি হয়ে পড়ে। আল্লাহ বলেন, “তোমরা এমন কথা কেন বলো যা তোমরা করো না?” [সূরা সাফ (৬১): ২]
ইলম একটি আমানতও বটে। ইসলাম যা বলে তা প্রকাশ করতে কোনোরূপ সংকোচ করা যাবে না। আল্লাহর কথা বললে আল্লাহর শত্রুরা অসন্তুষ্ট হবে- এটাই স্বাভাবিক। আবার ইসলাম মেনে চলতে চাইলে দুনিয়ার ভোগবিলাস থেকে অনেকাংশে দূরে থাকতে হয়। একদিকে দুনিয়ার স্বার্থ ও লোভ, অন্যদিকে সমাজের চোখরাঙানির ভয়- সব মিলে সত্যের পথে টিকে থাকা ও ইসলামের শত্রুদের বিরোধিতা করা বেশ কঠিন। তবে ইলমের আমানত রক্ষা করতে গিয়ে কঠিন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতেই হবে। আল্লাহ বলেন, “তোমরা সত্যকে মিথ্যার সাথে মিশ্রিত করো না এবং জেনে বুঝে সত্য গোপন করো না।” [সূরা বাকারা (২): ৪২] উল্লেখ্য, দ্বীনের কথা বলতে গিয়ে অবশ্যই হিকমাত অবলম্বন করতে হবে।
কিন্তু আলিম হিসেবে পরিচিত কিছু মানুষ এই পরীক্ষায় ব্যর্থ হয়। হাদীস থেকেও এর ইঙ্গিত পাওয়া যায়। সবার আগে জাহান্নামে যাবে তিন শ্রেণীর মানুষ। তাদের মধ্যে এক শ্রেণী হলো সেসকল আলিম, যারা আল্লাহর সন্তুষ্টির আশায় নয়, বরং মানুষের প্রশংসা পাবার আশায় ইলম অর্জন করেছিলো। (মুসলিম)
আল্লাহর রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, “(ফিতনার যুগে) কিছু লোক এমন হবে, যারা জাহান্নামের দরজার দিকে মানুষকে দাওয়াত দিবে, যারা তাদের ডাকে সাড়া দিবে তাদেরকে জাহান্নামে নিক্ষেপ করবে।” (বুখারী) রাসূলুল্লাহ তাঁর উম্মাতের জন্য এসব পথভ্রষ্ট আলিমের ভয় করতেন।
কাজেই কিছু নামধারী আলিম থাকবে, যারা মানুষকে পথভ্রষ্ট করবে, মানুষকে জাহান্নামের পথিক বানাবে, মানুষের ঈমান ধ্বংস করবে। ঈমানের স্বার্থে এদের ধোঁকা থেকে বাঁচতে হবে। এ অবস্থায় আমাদের করণীয় নির্ধারণ করা অতীব জরুরি।
আল্লাহর ওপর ভরসা করুন। আল্লাহর কাছে দুআ করুন। সরল পথ চাইতে থাকুন। আপনি হেদায়েত চাইলে আল্লাহ কেন দেবেন না? আপনি সঠিক পথে থাকার জন্য চেষ্টা শুরু করুন। আল্লাহ সাহায্য করলে পেয়ে যাবেন সঠিক পথের সন্ধান।
যুগে যুগে পথভ্রষ্টদের বিরুদ্ধে নিরন্তর সংগ্রাম করে সত্যের পথে অটল থেকেছেন একদল মুসলিম। তাঁরা হলেন আহলুস সুন্নাত ওয়াল জামাআত। তাঁরা যেমন কুফর ও শিরকের বিরুদ্ধে লড়াই করেছেন, তেমনই ইসলামের নামে চলা বিদআতের ব্যাপারেও কঠোর ছিলেন। কোরআন-হাদীসের মনগড়া ও বিকৃত ব্যাখ্যা দিয়ে মুনাফিকী আচরণ করেছিলো যারা, তাদের বিরুদ্ধে আহলুস সুন্নাহর আলিমগণ সদা কঠোর ছিলেন। ইসলামের বেশ ধরে কিছু ভ্রান্ত ‘আলিম’ এখনও আছে। আহলুস সুন্নাহর আলিমগণও আছেন। প্রয়োজন শুধু তাঁদের খুঁজে বের করার।
ফিক্বহি বিষয়ে আহলুস সুন্নাহর আলিমদের মধ্যেও মতভেদ থাকতে পারে। এসব ব্যাপারে বাড়াবাড়ির কিছু নেই। তবে আক্বীদাগত বিষয়ে মতভেদের সুযোগ নেই। আক্বীদার ব্যাপারে আহলুস সুন্নাহর আলিমগণ যা বলবেন তা-ই চূড়ান্ত হিসেবে বিবেচ্য। তাই শিয়া-কাদিয়ানী-ব্রেলভীদের দ্বারা আমরা যেন প্রভাবিত না হই।
হক্কানী আলিমদের চেনার উপায় কী? কিছু বৈশিষ্ট্য দেখে তাঁদেরকে সহজেই চিহ্নিত করা যায়। তাঁরা সবসময় কোরআন-হাদীস অনুযায়ী কথা বলেন, আজগুবি কেচ্ছা-কাহিনী বলেন না। ইসলামের কথা বলতে গিয়ে তাঁরা কারো রক্তচক্ষুকে ভয় করেন না। সত্য প্রকাশ করতে তাঁরা সদা তৎপর। সাধারণত তাঁরা শাসক থেকে দূরে থাকেন। (ইসলামের স্বার্থে) শাসকের বিরুদ্ধে কথা বলতে গিয়ে নির্যাতনের শিকার হলেও তাঁরা সত্য প্রচার থেকে পেছপা হন না। দুনিয়ার চাকচিক্যময় জীবনের আশায় তাঁরা সত্যকে বিকৃত করেন না।
পথভ্রষ্ট আলিমরাও অনেকাংশে কোরআন-হাদীসের কথাই বলে থাকে। সেক্ষেত্রে সমাধান কী? এক পক্ষ যা বলছে সে ব্যাপারে অন্য পক্ষের মতামত জানতে চান। উভয়পক্ষের যুক্তি শুনুন, পাল্টা-যুক্তি শুনুন। কারা কোরআন-হাদীসকে প্রাধান্য দিচ্ছে, কারা সালাফে সালেহীনের আদর্শের কথা বলছে- এসব খেয়াল করুন।
এসব কাজ কিছুটা কঠিন মনে হতে পারে। কিন্তু ভেবে দেখুন, দুনিয়ার তুলনায় আখিরাত বহুগুণে উত্তম ও স্থায়ী। তাই দুনিয়ার সময়টা আখিরাতের পেছনেই ব্যয় করা উচিত। আল্লাহ না করুন, ভুল পথে চললে জাহান্নামে যেতে হবে, আর জাহান্নামের শাস্তি অতীব ভয়াবহ। অন্যদিকে, জান্নাতে মন যা চাইবে তা-ই পাওয়া যাবে। জান্নাতের একেকটি পুরস্কার আমাদের কল্পনারও বাইরে। সেই জান্নাত কি এতই সস্তা? মূল্যবান জান্নাতে যেতে চাইলে পরিশ্রমটাও তেমন হতে হবে। মহামূল্যবান জান্নাতের আশায় এবং বিভীষিকাময় জাহান্নামের ভয়ে কিছুটা ত্যাগ স্বীকার করা উচিত, সরল পথ খুঁজতে গিয়ে প্রয়োজনীয় সবই করতে হবে। আল্লাহর দেওয়া জান ও মাল আল্লাহর পথেই ব্যয় করতে হবে। সরল পথের সন্ধান পেতে হলে কিছুটা সময় ও শ্রম ব্যয় করতেই হবে।
ইসলামে মধ্যমপন্থা খুব গুরুত্বপূর্ণ। ভ্রান্ত আলিমদের থেকে সতর্কও যেমন থাকতে হবে, তেমনই দ্বীন শিখতে হকপন্থী আলিমদের কাছে যেতেও হবে। নিজের মনমতো চলার মাধ্যমে আর যা-ই হোক, জান্নাত পাওয়ার আশা করা যায় না। তাই আলিমদের কাছে দ্বীন শিখতে হবে, তাঁদের পরামর্শ মেনে চলতে হবে। সেক্যুলারদের সাথে তাল মিলিয়ে আলিমদের তুচ্ছতাচ্ছিল্য করার প্রবণতা দূর করুন। শুধু শুধু আলিমদের অসম্মান করে নিজের ঈমানকে ক্ষতিগ্রস্ত করবেন না।
লেখাটিতে যা কিছু কল্যাণকর তা আল্লাহর পক্ষ থেকে, আর যা কিছু অকল্যাণকর তা আমার ও শয়তানের পক্ষ থেকে। আল্লাহ যেন আমাদের সরল পথে অটল রাখেন এবং প্রকৃত আলিমদের সাহচর্যে থেকে দ্বীন শেখার তাওফীক দেন। আমিন।
মুসলিম মিডিয়া ব্লগের কার্যক্রম অব্যাহত রাখা সহ তা সামনের দিকে এগিয়ে নিতে আপনার সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিন। ব্লগ পরিচালনায় প্রতি মাসের খরচ বহনে আপনার সাহায্য আমাদের একান্ত কাম্য। বিস্তারিত জানতে এখানে ভিজিট করুন।
নিচে মন্তব্যের ঘরে আপনাদের মতামত জানান। ভালো লাগবে আপনাদের অভিপ্রায়গুলো জানতে পারলে। আর লেখা সম্পর্কিত কোন জিজ্ঞাসার উত্তর পেতে অবশ্যই "ওয়ার্ডপ্রেস থেকে কমেন্ট করুন"।