পর্ব ০২ | পর্ব ০৩

১৯১৪ সালে থেকে প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পরবর্তী সময়ে ঘটে যাওয়া ঘটনা সম্পর্কে আমরা খুব একটা অবগত নই। আমরা আজকের যে মুসলিম বিশ্বকে দেখছি সেটা মূলত সেই ঘটনাগুলোরই দীর্ঘস্থায়ী এবং তীব্র একটা প্রভাব। অটোম্যান খিলাফতের ভাঙনের পর থেকে ফিলিস্তিন দখল অতঃপর আজকের এই পরিণতি। মুসলিম উম্মাহর বর্তমান অবস্থার কারণ সম্পর্কে বুঝতে হলে, আমাদেরকে ইতিহাসের কিছু নির্দিষ্ট গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা সম্পর্কে জানতে হবে।

IIRT Arabic Intensive

পটভূমি

১৯১৪ এর দিকে লক্ষ্য করলে আমরা দেখতে পাই, ইংরেজ সাম্রাজ্যবাদী শক্তি বিশ্বের অধিকাংশ দেশকে শাসন করেছে। পৃথিবীর প্রায় এক-চতুর্থাংশ তাদের নিয়ন্ত্রণে। আমেরিকা তখনও বিশ্বশক্তি হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেনি। অন্যান্য শক্তিধর দেশগুলোর মধ্যে জার্মান সাম্রাজ্য, অস্ট্রো-হাঙ্গেরিয়ান সাম্রাজ্য, রাশিয়ান সাম্রাজ্য আর ছিলো অটোম্যান খিলাফত। মুসলিম বিশ্বের মাঝে হয়তো কিছু মিল-অমিল ছিল এবং শক্তিমত্তায় তারা প্রথম জামানার মতো ছিলো না। কিন্তু এরপরেও একটা একতাবদ্ধ খিলাফত শাসন ছিল। তখনও মুসলিম উম্মাহ একত্রিত ছিল আর ছিল প্রজ্জ্বলিত আশার আলো।

যাই হোক, ১৯১৪ সালের জুন মাসের ২৮ তারিখে অস্ট্রো-হাঙ্গেরীয় শাসনের উত্তরাধিকার আর্চডিউক ফ্রাঞ্জ ফার্দিনান্দকে গুপ্তহত্যার ফলে ‘সব যুদ্ধ শেষ করার যুদ্ধ’ এবং ভাঙ্গন শুরু হয়ে যায়। এভাবে গুরুত্বপূর্ণ মহাশক্তিগুলো দুর্বল হয়ে পড়ে। সারায়েভোর একদল সার্বিয়ান জাতীয়তাবাদীদের হাতে আর্চডিউক খুন হন। সাথে সাথে জাতীয়তাবাদী আর জাতিগত উত্তেজনা যা কয়েক দশক ধরে দাবিয়ে রাখা হয়েছিল তা জ্বলে উঠলো। ফলশ্রুতিতে সার্বিয়াকে অস্ট্রো-হাঙ্গেরিয়রা সবকিছুর সমাধান করে বিচার করার সময়সীমা বেঁধে দেয়।

অবশেষে সার্বিয়া তাদের চুক্তি পূর্ণাঙ্গ রূপে মেনে না নেওয়ায় অস্ট্রো-হাঙ্গেরিয়রা আক্রমণ করে বসে। রাশিয়ানরা তাদের মিত্রপক্ষের প্রতিরক্ষায় নেতৃত্ব দেয়। প্রকৃতপক্ষে ঐ সময়ে ইউরোপীয় মিত্রপক্ষরা ছিলো খুব সুকৌশলী এবং যুদ্ধে নাক গলানো তখন কোনো ব্যাপারই ছিলো না। শীঘ্রই অস্ট্রো-হাঙ্গেরিয়দের মিত্রপক্ষ হিসেবে জার্মানি এতে জড়িয়ে গেলো। তারা এই যুদ্ধকে ফ্রান্স, সুইজারল্যান্ড, বেলজিয়াম এবং নেদারল্যান্ড ইত্যাদি বেশ কিছু প্রতিবেশি দেশগুলোতে আক্রমণ করার বাহানা হিসেবে ব্যবহার করলো।

অবধারিতভাবে এই যুদ্ধে ধীরে ধীরে প্রত্যেক ইউরোপীয় এবং অন্যান্য বিশ্বশক্তিরা তাদের ক্ষমতা প্রয়োগ করা শুরু করলো। শেষ পর্যন্ত মিত্রশক্তি বনাম অক্ষশক্তির আবির্ভাব হলো।  রাশিয়া, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, ইটালি এবং যুক্তরাষ্ট্র মিত্রশক্তি হিসেবে আর অক্ষশক্তি হিসেবে থাকলো জার্মানি, অস্ট্রো-হাঙ্গেরিয়া, বুলগেরিয়া এবং অটোম্যান  অর্থাৎ মুসলিমরা।

মুসলিম অধ্যুষিত অঞ্চলগুলোতে ছোটখাট কিছু খন্ডযুদ্ধ হলেও ‘মহাযুদ্ধ’ এবং পরবর্তীতে যা ‘প্রথম বিশ্বযুদ্ধ’ হিসেবে পরিচিতি লাভ করে তা প্রকৃতপক্ষে অন্য ইউরোপীয় দেশগুলোর মধ্যে সংঘটিত হয় কারণ ইস্যু ছিলই মূলত ইউরোপকেন্দ্রিক ।

অটোম্যানদের সম্পৃক্ততা

সুলতান পঞ্চম মেহমেদ ১৯০৯ সাল থেকে ১৯১৮ সাল পর্যন্ত অটোম্যান সাম্রাজ্য শাসন করেন। যদিও এই সাম্রাজ্য বেশিরভাগ আরব দেশকেই শাসন করত তারপরেও কিছু কিছু ক্ষেত্রে তাদের পতন শুরু হয়ে গিয়েছিলো। বলা হতো, গত ১০০-১৫০ বছরে এই সালতানাত নামে মাত্র অবস্থান করছে। মহাযুদ্ধ শুরু হওয়ার আগেই সাম্রাজ্যটি বসনিয়া ও আলবেনিয়ার উপর থেকে ক্ষমতা হারায়। অর্থনৈতিক অবস্থা ছিল ছিন্ন-বিচ্ছিন্ন। ঠিক একই সময়ে, ইউরোপীয়রা তাদের সেনাবাহিনীর কর্তৃত্বকে কাজে লাগিয়ে বিভিন্ন দেশকে উপনিবেশের অন্তর্ভুক্ত করা শুরু করেছে।

খুব ভালোভাবে খেয়াল করলে দেখা যাবে, পূর্বের মুসলিম সভ্যতার সাথে বর্তমান মুসলিম বিশ্বের মুসলিমদের একটা ব্যাপারে বেশ মিল ছিলো। আর সেটা হলো প্রযুক্তিগত সহায়তার জন্য অন্যদের প্রতি নির্ভরশীলতা। ইংরেজরা ১৮০০ সালের দিকে প্রচুর পরিমাণে এই ধরণের সহায়তা করে। ১৮৮০ সালের দিকে জার্মানির সাথে তুরস্কের চুক্তি স্থাপনের দরুন এই সম্পর্কের অবনতি ঘটে। ১৮৮৯ সালের জার্মানি-তুরস্কের মধ্যে সরাসরি সংযোগ স্থাপনকারী  বিলাসবহুল ‘ওরিয়েন্ট এক্সপ্রেস’ এই মজবুত সম্পর্কের প্রতীক ।

যুদ্ধ যখন দাবানলের মতোন চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ে তখন সুলতান এটাকে শুধু ইউরোপীয়দের মধ্যকার বিষয় হিসেবেই দেখার ব্যাপারে অবস্থান নিয়েছিলেন। এভাবে তিনি নিরপেক্ষ থাকার চেষ্টা করেন। তবে নির্দিষ্ট কিছু দল ও ধর্মনিরপেক্ষ-জাতীয়তাবাদী আন্দোলন  ‘ইয়াং তুর্কী’  এবং একই সাথে প্রধান উজীর সা’ঈদ হালিম পাশা এবং যুদ্ধমন্ত্রী এনভার পাশা আড়াল থেকে জার্মানদের সাথে একটি গোপন চুক্তি করার জন্য কাজ করছিলেন। ১৯১৪ সালের অগাস্ট মাসে যা ‘অটোম্যান-জার্মান মৈত্রী’ নামে আত্মপ্রকাশ করে।

বলা হয়ে থাকে, ১৯১৪ সালের অক্টোবর মাসে যুদ্ধমন্ত্রী এনভার পাশা কৃষ্ণসাগরে একটি রাশিয়া জাহাজকে আক্রমণের জন্য প্ররোচিত করেন। যার ফলস্বরূপ ৩ নভেম্বর রাশিয়া অটোম্যানদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে। পরবর্তীতে যুক্তরাজ্য এবং ফ্রান্সও এতে অংশগ্রহণ করে। সুলতানের কাছে তখন চুক্তি অনুযায়ী অক্ষশক্তির সমর্থন করা ছাড়া আর কোনো বিকল্প উপায় ছিলোনা। তাই একজন খলিফা হিসেবে ১৪ নভেম্বর তিনি যুদ্ধের মিত্রশক্তির বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেন।

১৯১৫ সালের শুরুতে অনেকগুলো যুদ্ধ সংঘটিত হয়। যুক্তরাজ্য এবং ফ্রান্স ‘গাল্লিপলি অভিযান’ পরিচালনা করা। বিখ্যাত রাজধানী কনস্টান্টিনোপলকে জয় করার উদ্দেশ্যে তারা যৌথভাবে আক্রমণ করে। দারদানালীস প্রণালী দখলের ব্যর্থ চেষ্টা থেকে শুরু করে ১৯১৫ সালের এপ্রিলে একটা দেশকে আক্রমণ করা পর্যন্ত পরিচালিত হয় গাল্লিপলি উপদ্বীপে। মিত্রশক্তি তীব্র প্রতিরোধের সম্মুখীন হয় এবং এই আক্রমণ তাদের জন্য বিপর্যয় ডেকে আনে। আটমাস ব্যাপী এই যুদ্ধে ১৫০,০০০ ওপর যোদ্ধাকে হারিয়ে ১৯১৬ সালের জানুয়ারীতে মিত্রশক্তি ব্যর্থ হয়ে ফিরে যায়।

যুদ্ধটি অটোম্যানদের জন্যেও ভয়াবহ ছিলো। এতে ৬০,০০০ সৈন্য নিহত হয় এবং প্রায় ১০০,০০০ আহত হয়। যুদ্ধে এই বিজয়টি তাদের একমাত্র উল্লেখযোগ্য বিষয় হিসেবে গণ্য হয়েই শেষ হতে পারতো । কিন্তু এর তাৎপর্য ভবিষ্যৎ তুরস্কের জন্য কী হবে সেটা বুঝা যাচ্ছিলোনা। এই বিজয়ের সকল প্রশংসা কেবল একজন নির্দিষ্ট ব্যক্তিই কুড়াচ্ছিল । তিনি হলেন ইয়াং তুর্কির প্রাক্তন সদস্য এবং ধর্মনিরপেক্ষ বিপ্লবী এবং ইসলামির শাসনের অবসান অন্বেষণকারী মোস্তফা কামাল। যুদ্ধে তার অবদান ও জাতীয় অহংকারকে কেন্দ্র করে পরবর্তীতে তাকে নবনির্মিত তুরস্ক প্রজাতন্ত্রের প্রথম রাষ্ট্রপতি করা হয়।

যুদ্ধ ফেরত বিভিন্ন অটোম্যান দেশগুলো শীঘ্রই মিত্রশক্তির কাছে পরাজিত হতে থাকে। ১৯১৫ সালে, ইংরেজরা ইরাক আক্রমণ করে। ১৯১৭ সালের মার্চে তারা প্রাক্তন আব্বাসীয় রাজধানী বাগদাদ আক্রমণের জন্য অগ্রসর হয়। অটোম্যান পতাকা ছিনিয়ে নিয়ে ব্রিটিশ পতাকা উত্তলিত হয়। একই বছরের শেষের দিকে মিশরের (সেই সময়ে দেশটি ইংরেজদের সুরক্ষায় ছিলো) জেনারেল অ্যালেনবি গাজা এবং জাফফায় বেশ কয়েকটি অভিযান পরিচালনা করেন। সবশেষে তারা ৯ ডিসেম্বর জেরুজেলাম জয় করতে অগ্রসর হয়। শত শত বছর ধরে ‘পবিত্র নগরটিতে’ যে অটোম্যান শাসন বজায় ছিলো তার এখানেই ইতি হয়। এবং এভাবে অ্যালেনবি তার ‘ক্রিসমাস পূর্ববর্তী প্রতিশ্রুতি’ পূরণ করেন।

বড় শহরগুলোর পতন অব্যাহত থাকে। ১৯১৮ সালের অক্টোবরে দামেস্ক এবং সবশেষে ১৩ নভেম্বর ইস্তানবুলের পতন হয়। জেরুজালেমসহ ইসলামি ইতিহাসের বিখ্যাত শহরগুলোর মধ্যে তিনটিই সেই সময়ে মিত্রশক্তির দখলে ছিলো। মুসলিম ইতিহাসে দেখা সর্বনিম্ন পর্যায়ে মুসলিম উম্মতগণ অবস্থান করছিলো।

যুদ্ধের তাৎক্ষনিক পরিণাম

মনুষ্যজাতির দেখা সবচেয়ে ভয়াবহ সংঘর্ষের পরিণাম বুঝতে পেরে জার্মানি আত্মসমর্পণ করে। ১৯১৮ সালের ১১ নভেম্বর যুদ্ধের আনুষ্ঠানিক সমাপ্তি ঘটে। ৭০ মিলিয়ন সৈন্য যুদ্ধে অংশগ্রহণ করে এবং প্রায় ১০ মিলিয়ন যোদ্ধা এতে প্রাণ হারায়। প্রথমবারের মতো আধুনিক প্রযুক্তি যেমন বিমান বাহিনী এবং উন্নত ধরনের রাসায়নিক অস্ত্রকে এতোটা নিষ্ঠুরতার সাথে ব্যবহার করা হয়েছিল।

এই সংঘর্ষের পর পৃথিবীর চারটি বিশাল সাম্রাজ্যের পতন ঘটে। জার্মান সাম্রাজ্য, রাশিয়ান সাম্রাজ্য, অস্ট্রো-হাঙ্গেরিয় সাম্রাজ্য আর অটোম্যান সাম্রাজ্য। যেহেতু এই আলোচনার মুখ্য বিষয়বস্তু হচ্ছে অটোম্যান সাম্রাজ্য পতনের প্রভাব সম্পর্কিত। তাই আপাতত এখানে পশ্চিমা বিশ্ব সম্পর্কে তেমন কোনো গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে না।

স্বাভাবিকভাবেই সমগ্র বিশ্ব জুড়ে মহাযুদ্ধের তীব্র একটা প্রভাব বিরাজ করছিলো।  দুর্ভিক্ষ শুরু হওয়ার পর কিছু কিছু ইউরোপিয় দেশে ২০% এর বেশি লোক মারা যায়। এভাবে আরও কয়েক মিলিয়ন লোকের মৃত্যু হয়। কিছু প্রতিবেদনের মতে, যুদ্ধ নিহত লোকের চেয়ে ৩ -৪ গুণ বেশি লোক এসময়ে মারা যায়। এতো কিছুর মধ্যে ১৯১৮ – ১৯২০ সালে বিশ্বব্যাপী ইনফ্লুয়েঞ্জা ছড়িয়ে পড়ে যা ‘স্প্যানিশ ফ্লু’ নামে পরিচিত। ১৩২০ সালের ‘ব্ল্যাক ডেথ’ এর পরে এটাই ছিলো সবচেয়ে ভয়াবহ প্লেগ। ধারণা করা হয়, সমগ্র পৃথিবীর ৫% জনগণ অর্থাৎ ১০০ মিলিয়ন লোক এসময়ে মারা যায়।

এই সবকিছুর মিলিত কারণের অবশ্যম্ভাবী ফলাফল বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক ভয়াবহ ধ্বস, কর্মক্ষেত্রে লোকবলের অভাব। বৃহৎভাবে সমাজ সংস্কারের প্রয়োজন দেখা দিয়েছিলো এবং পৃথিবীর ইতিহাসে এই প্রথম পুরুষ-নারীর ভূমিকা সম্পর্কে নতুনভাবে জানার প্রয়োজন দেখা দিয়েছিলো। কর্মক্ষেত্রগুলোতে জনবলের ঘাটতি পূরণ করতে মহিলাদের অংশগ্রহণ জরুরি হয়ে পড়েছিলো। প্রথমবারের মতো অধিকাংশ ঘরের পবিত্রতা বিসর্জিত হচ্ছিলো।

উল্লেখযোগ্য যে, ১৯১৮ সালে ‘ফার্স্ট-ওয়েভ ফেমিনিজম’ এর শেষের দিকেও পশ্চিমা বিশ্বে নারী বৈষম্য চরম আকারে ছিলো। ত্রিশ বছরের বেশি বয়সের নারীদের ভোট দেয়ার অধিকার ও নারীদের সম্পদের অধিকার সুরক্ষা নিশ্চিত করতে সফলভাবে ভোটাধিকার প্রয়োগ করাকে এক বিরাট বিজয় হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এটি পাশ্চাত্যের নারীদের পুরুষদের ন্যায় ভোটের সমঅধিকার (অন্যান্য অধিকারের সাথে) প্রয়োগ করার কিছু সময় আগের ঘটনা । ১৯১৮ সালের শুরুরভাগ ছিলো ব্যাপকভাবে নারীদের কর্মক্ষেত্রে যোগদান নারীবাদী আন্দোলনের জন্য সন্ধিক্ষণ।


উৎস: Islam21c.com (মূল আর্টিকেল লিন্ক)

অনুবাদক: শারিকা হাসান

অনুবাদ কপিরাইট © মুসলিম মিডিয়া

 

মুসলিম মিডিয়া ব্লগের কার্যক্রম অব্যাহত রাখা সহ তা সামনের দিকে এগিয়ে নিতে আপনার সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিন। ব্লগ পরিচালনায় প্রতি মাসের খরচ বহনে আপনার সাহায্য আমাদের একান্ত কাম্য। বিস্তারিত জানতে এখানে ভিজিট করুন।

নিচে মন্তব্যের ঘরে আপনাদের মতামত জানান। ভালো লাগবে আপনাদের অভিপ্রায়গুলো জানতে পারলে। আর লেখা সম্পর্কিত কোন জিজ্ঞাসার উত্তর পেতে অবশ্যই "ওয়ার্ডপ্রেস থেকে কমেন্ট করুন"।

Loading Facebook Comments ...

Leave a Reply

Your email address will not be published.

Loading Disqus Comments ...
IIRT Arabic Intensive