ছোটবেলায় যখন কেউ আব্বুকে আমার নামে বিচার দিতো তখন কড়া শাসন করে বলতেন, “আজকে থেকে যেন আর বাইরে না দেখি। শুধু স্কুল আর প্রাইভেট। এছাড়া সিঁড়িতেও যেতে পারবা না।” ব্যস! ১৪৪ ধারা জারি। মাইরের ভয় ছিলো। কিন্তু কতক্ষণ? কীভাবে বাইরে যাবো তা নিয়ে নানান ফন্দিফিকির করতাম। কখনো আব্বুকে ঘুম পাড়িয়ে, কখনোবা প্রাইভেটের নাম দিয়ে “মাঠে” আধিপত্য করতে চলে যেতাম।

আব্বুকে, আম্মুকে, শিক্ষকদের ফাঁকি দেওয়া খুবই সহজ। কতক্ষণই বা দেখে রাখবে? দুচোখ আর কতটুকুই কাভার করতে পারবে? কিন্তু ঐ সত্ত্বাকে ফাঁকি দেওয়া কি সম্ভব যাকে দৃষ্টিসমূহ আয়ত্ত্ব করতে পারে না অথচ তিনি সম্যক দ্রষ্টা? এক কথায় “না”।

IIRT Arabic Intensive

ওকে ফাইন। তো আপনি কোন স্পর্ধায় তাঁকে ফাঁকি দেন? প্যান্ট কি আপনার সর্বদা নাপাক থাকে? অন্তরের মধ্যে সংকীর্ণতা রেখে আপনি যখন বলেন, ‘কালকে থেকে পড়বো,’ তখন নাহয় আমরা আপনার ফাঁকিবাজির শিকার হলাম। কিন্তু যিনি আপনার অন্তরসমূহের খবর আপনার চাইতে ভালো রাখেন, তাঁকে কীভাবে ফাঁকি দিবেন, ব্রাদার? বেশ বেশ! এখন তো আবার নতুন এক সিস্টেম পেয়ে গেলেন মুক্তমনা কলাবিজ্ঞানীদের তরফ হতে, “সালাত আদায় করলে শারীরিক ক্ষতি হয়।” ব্যস! এখন আপনার যুক্তি ঠেকায় কে, তাই না? আচ্ছা দুটো ঘটনা শুনেন।

১। উমার (রাদ্বিয়াল্লাহু ‘আনহু) তখন খলিফা। ফজরের সালাতে ইমামতি করছিলেন। আকস্মিক এক আততায়ী এসে তার তরবারি দ্বারা উনাকে আঘাত করলেন। সুঠামদেহী উমার (রাদ্বিয়াল্লাহু ‘আনহু) তরবারির আঘাতে আহত হয়ে মাটিতে লুটে পড়লেন।

তাঁর স্থলে অন্য একজন এসে ইমামতি করে সালাত শেষ করলেন। জ্ঞান ফেরার পর তিনি যে প্রশ্নটা সর্বপ্রথম করেছিলেন তা হলো, “সালাত সমাপ্ত হয়েছিলো?”

২। মুস’আব ইবনে উমাইর (রাদ্বিয়াল্লাহু ‘আনহু)-কে বলা হতো মক্কার প্রিন্স। তাঁর মতো অভিজাত চালচলন তখন মক্কায় আর কারও ছিলো না। কিন্তু কীভাবে যেন একদিন তিনি শুনলেন ঈমানের বাণী। ব্যস! তিনি চেইঞ্জ হয়ে গেলেন। লাইফস্টাইল পাল্টে ফেললেন। তবে তাঁর ঈমান আনয়নের ব্যাপারে খুব কম মানুষই জানতো। একবার তালহা নামক এক ব্যক্তি তাঁকে দেখে ফেললেন সালাত আদায় করা অবস্থায়। বিন্দুমাত্র দেরী না করে জানিয়ে দিলেন সকলকে।

তাঁর মা তাঁকে নিয়ে এলেন মক্কার মুশরিক নেতাদের সামনে। বাধ্য করতে চাইলেন তাঁকে ঈমান ত্যাগ করতে। কিন্তু তাঁর মুখে কুরআনের অমৃত বাণী শুনে তাঁর মা তাঁর গালে কষে এক থাপ্পড় দিলেন। প্রহার করলেন। বাড়িতে বেঁধে রাখা হলো তাঁকে। তবুও তিনি ঈমান ত্যাগ করলেন না, সালাত ত্যাগ করেননি।

এই যে মুস’আব (রাদ্বিয়াল্লাহু ‘আনহু) এর কথা বলছি, উনার মৃত্যু কীভাবে হয়েছিলো জানেন? প্রথমে তাঁর ডান হাত, পরে বাম হাত কেটে গিয়েছিলো। অবশেষে বর্শার আঘাতে তিনি শাহাদাত বরণ করেন। তাঁর দাফনের জন্য যে কাপড় আনা হয়েছিলো, তাতে তাঁর পা ঢাকলে মাথা বেরিয়ে যাচ্ছিলো, আবার মাথা ঢাকলে পা। একজন প্রিন্সের করুণ পরিণতি।

আচ্ছা, কী এমন ছিলো তাঁদের মধ্যে যে তাঁরা সালাতের জন্য এত বড় আত্মত্যাগ দিতে প্রস্তুত ছিলেন? শুনেন,

যারা ঈমান আনে এবং আল্লাহর স্মরণে যাদের চিত্ত প্রশান্ত হয়; জেনে রেখো, আল্লাহর স্মরণেই চিত্ত প্রশান্ত হয়। [সূরাহ আর-র’দ (১৩):২৮]

ভাই, তাঁদের মধ্যে আসলে ঈমানটাই ছিলো। যে ঈমানের জন্য তাঁদের মৃত্যু তাঁদের কাছে হার মেনেছিলো। কেন ভাই, তাঁরা শারীরিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পরেও সালাতের মাধ্যমে নিজেদের শারীরিক ক্ষতি করছিলেন? তাঁরা জানতেন, “বিশ্বাসী আর অবিশ্বাসীদের মধ্যে পার্থক্য হচ্ছে সালাত ত্যাগ।”

উমার (রাদ্বিয়াল্লাহু ‘আনহু) তো দুনিয়ার মধ্যেই জান্নাতের সুসংবাদ পেয়েছিলেন। তবুও কেন তিনি জ্ঞান ফিরে পাওয়ার পর সালাতের খোঁজ নিলেন?

সালাফদের তাহাজ্জুদের ইতিহাস আপনাদের জানা আছে? তাহাজ্জুদ পড়তে পড়তে যাদের পা ফুলে যেতো। তাহাজ্জুদ পড়তে না পারলে যারা নিজেদের দুর্বল ঈমানের অধিকারী বলতেন, এমনকি যারা তাহাজ্জুদ পড়তে না পারলে আল্লাহর কাছে ফরিয়াদ করতেন, “ইয়া আল্লাহ! যদি আপনার স্মরণই করতে না পারি, তবে আমার মৃত্যুই শ্রেয়।” আর আমরা কি পাঁচ ওয়াক্ত সালাত আদায় করাকে শারীরিক ক্ষতি বলছি?

ইতিহাস না, বর্তমানে আসেন। ভাই, মসজিদে একটু খেয়াল কইরেন। দেখবেন অনেক পঙ্গু, অন্ধ এসেছেন সালাত আদায় করতে। কেন? তাঁদের জিজ্ঞেস করলে যে উত্তরগুলো পাওয়া যায়, “আল্লাহ তো আমারে হাঁটার তৌফিক দিছে, বাঁইচা আছি আল্লাহর কাছে শুকরিয়া করমু না?” আপনি যখন শারীরিক ক্ষতির অজুহাত দিয়ে সালাত আদায় করছেন না, তখন অনেকেই আছেন যারা সালাত আদায় করার জন্য আসছেন খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে হেঁটে। আমার নানা যখন মারা যাচ্ছিলেন, তখন উনার বয়স আশির উপরে ছিলো। লোকটা কখনো জামা’আতে সালাত মিস দিতেন না। শীতের ভোরে যখন আপনি, “Oh! It’s too cold outside. Better to sleep than going to Mosque.” বলে কম্বল গায়ে দিয়ে ঘুমোচ্ছেন, তখন কোনো এক ষাটোর্ধ্ব বুড়ো বিনা শীতের কাপড়ে কাঁপতে কাঁপতে লাঠি ভর দিয়ে মাসজিদে যাচ্ছেন। উনারা জানেন,

নিশ্চয়ই আল্লাহ মুমিনদের জান ও মাল কিনে নিয়েছেন। [সূরাহ আত-তাওবাহ (৯):১১১]

সালাতের শারীরিক ক্ষতির প্রসঙ্গে আসি। The American Cancer Society এর মতে, “ক্যান্সার রোগীদের জন্য আধ্যাত্মিকতা এবং ধর্ম খুবই গুরুত্বপূর্ণ। অসুস্থতার চাপ কাটিয়ে উঠার জন্য সালাত সক্রিয় প্রাচীরশীর্ষস্থ ঢালস্বরূপ। বিপদের মূহূর্তে আল্লাহর উপর ভরসা এবং প্রার্থনাই আশা আকাঙ্ক্ষার যোগান দেয়। কখনো কখনো প্রার্থনার মাধ্যমেই উত্তর আসে, যখন মেডিকেল সাইন্স ব্যর্থ হয়ে যায়।[১] [২]

“ক্যান্সার রোগীদের জন্য ইসলামিক চিকিৎসা নিয়ে পরীক্ষা করা হয়েছে এবং এই সিদ্ধান্তে পৌঁছানো গিয়েছে যে কুরআন তিলাওয়াতের অনেক স্বাস্থ্যগত উপকার রয়েছে। এবং এই কাজের উপর ভিত্তি করে আমরা ইসলামিক ইবাদাত (সালাত) এর উপর গুরুত্বারোপ করছি।”[৩][৪]

সালাতের বিভিন্ন মুভমেন্ট নিয়ে গবেষণা করে এই সিদ্ধান্তে আসা গিয়েছে যে, এটি শুধুমাত্র হৃৎপিণ্ড, স্মৃতি, মনোযোগ, মেরুদণ্ড, জ্ঞানসম্বন্ধনীয় ইন্দ্রিয়েরই উন্নতি করে না, বরং পুরো শরীরই সালাতের বিভিন্ন অঙ্গভঙ্গির জন্য উপকৃত হচ্ছে।[৫]

সালাতের কার্যকলাপ স্নায়বিক ঘাটতি ও কঙ্কালের ক্ষতি রোধে সাহায্য করে এবং মানসিক ও শারীরিক স্বাস্থ্যের জন্য সালাত অত্যন্ত কার্যকর।[৬]

গবেষণায় প্রমাণিত যে, সালাতের শারীরিক কার্যকলাপ উচ্চ পর্যায়ের উদ্বেগমুক্ততা, দুশ্চিন্তা হ্রাসকরণ, ফোকাস বজায় রাখা এবং শরীর ও মনের সাম্যাবস্থা বৃদ্ধি করে।[৭][৮][৯]

“সিজদাহর সবচাইতে লক্ষণীয় নড়নচড়ন হচ্ছে ঐচ্ছিক পেশী, পৃষ্ঠপেশী, পেরিনিয়াম পেশির বারংবার ব্যবহার করা হয়।”[১০]

নিয়মিত সালাত আদায় করলে বাত প্রদাহ হতে আরোগ্য লাভ করা যায়।[১১]

সিস্টোলিক ও ডায়াস্টোলিক ব্লাড প্রেশার উল্লেখযোগ্য হারে কমে যায় নিয়মিত সালাত আদায় করলে।[১২]

“পেশী সংকোচনের জন্য দায়ী হচ্ছে ‘গ্লাইকোজেনেসিস’। সালাতের সময় বিপাকীয় হার বেড়ে যায়। ফলে অক্সিজেন এবং পরিপোষক পদার্থের হ্রাস ঘটে। এর ফলে ‘ভেসোডিলেশন’ এর উদ্ভব ঘটে ও রক্ত ধমনীর কার্যকারিতা বৃদ্ধি পায় এবং এর ফলে রক্ত পুনরায় হৃৎপিণ্ডে চলে যেতে পারে। এই সাময়িক সময়ে হৃৎপিণ্ডকে অধিক কাজ করতে হয়, হৃৎপেশীর ও হৃৎপেশীর সঞ্চালনের উন্নতি ঘটে।”[১৩]

“রামাদ্বান মাসে ইনসুলিন ও গ্লুকোজের মাত্রা নিম্ন থাকে ক্ষুধার জন্য। কিন্তু যখনই ইফতার করা হয়, তখন এই মাত্রা পূর্বাবস্থায় ফিরে যায় ও ঘণ্টাখানেকের মধ্যে রক্তের গ্লুকোজ উচ্চ পর্যায়ে পৌঁছে যায় এবং সালাত শুরু হওয়ার সাথে সাথে পেশী ও পাকস্থলিতে প্রবাহিত হয়। এই প্রবাহিত গ্লুকোজ কার্বন-ডাই-অক্সাইড ও পানিতে বিপাক হয় সালাতে নাড়াচাড়ার ফলে। এর ফলে নমনীয়তা বৃদ্ধি পায়, ব্যস্ততা দূরীভূত হয়, চাপ কমায় এবং অতিরিক্ত ক্যালরি শরীর হতে দূর করে। তাছাড়া তারাবীর দীর্ঘ সালাত সহ্যশক্তি বৃদ্ধি করে।”[১৪][১৫][১৬][১৭]

“নিয়মিত সালাত আদায় করলে টেন্ডন পেশীর শক্তি বৃদ্ধি পায়, কার্ডিওভাস্কুলার সঞ্চিত হয়, পেশীর শক্তি ও নমনীয়তা বৃদ্ধি পায়।”[১৮][১৯][২০]

“নিয়মিত যারা সালাত আদায় করেন, তাঁরা বর্ধিত শিরা রোগে খুবই কম আক্রান্ত হন।”[২১] তাছাড়া সিজদাহর সময় যখন মাথা নিচু করা হয়, তখন ব্লাড সাপ্লাই বেড়ে যায়। ব্লাড সাপ্লাই বাড়ার ফলে স্মৃতি, একাগ্রতা, জ্ঞানসমৃদ্ধি অন্যান্য বিষয় বৃদ্ধি পায়।”[২২]

সিজদাহর সময় সাইনাসের নিষ্কাশন হয়, যার ফলে ঐ ব্যক্তির সাইনুসাইটিসে আক্রান্ত হওয়ার সমম্ভাবনা কম।[২৩]

হার্ভাড ইউনিভার্সিটির রিসার্চার বেনসনের মতে, “তারাবীর সালাতের কুরআন তিলাওয়াত শরীরে গভীর প্রভাব ফেলে। এই পেশী সংক্রান্ত কার্যকলাপ নিবিড় চিন্তার সঙ্গে সম্পৃক্ত, যার ফলে উদ্বেগমুক্ত প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয় এবং এর ফলে রক্তচাপ হ্রাস পায়, অক্সিজেনের খরচ কমে যায় এবং হৃৎপিণ্ড ও শ্বাসযন্ত্রের ক্রিয়া কমে যায়।”[২৪]

কুরআন তিলাওয়াত মনোযোগ দিয়ে শুনে লাভবান হওয়ার এই ফর্মুলা আল্লাহ ১৪০০ বছর আগে তাঁর কালামে জানিয়ে দিয়েছেন,

যখন কুরআন পাঠ করা হয়, তখন তোমরা মনোযোগের সাথে তা শ্রবণ করবে এবং নীরব নিশ্চুপ হয়ে থাকবে, হয়তো তোমাদের প্রতি দয়া ও অনুগ্রহ প্রদর্শন করা হবে। [সূরাহ আল-আ’রাফ (৭):২০৪]

“রুকুর সময় কটিদেশীয় পৃষ্ঠ বাঁকানো হয় ও উভয় পা সোজা থাকে ফলে কটিদেশীয় পৃষ্ঠের ও উরুর সকল প্রধান পেশীগুলো প্রসারিত হয়। তাছাড়া প্রতিনিয়ত রুকু করার ফলে ঐসকল পেশীগুলোর শক্তি বৃদ্ধি পায়।” তাছাড়া রুকু করার ফলে রক্ত শরীরের উপরের অংশ যথা: মাথা, চোখ, কান, নাক ও শ্বাসযন্ত্রে প্রবাহিত হয়।[২৫]

সালাম ফিরানোর মূহূর্তে একবার ডান কাঁধ বরাবর আরেকবার বাম কাঁধ বরাবর আড়াআড়িভাবে ঘাড় ফেরাতে হয়। পর্যায়বৃত্তিক ঘাড় ফেরানোর ফলে স্নায়বিক কার্যকারিতা বৃদ্ধি পায়।[২৬]

খুব খেয়াল করে মনে রাইখেন,

আল্লাহ বিশ্বজাহানের মুখাপেক্ষী নন। [সূরাহ আলে ইমরান (৩):৯৭]

আপনি এখন শারীরিক সমস্যা, প্যান্টগত সমস্যা, যেই সমস্যায় থাকেন না কেন, তাঁর ইবাদাত না করলে তাঁর কোনো ক্ষতি হবে না। তবে, যেহেতু উনি আপনাকে সৃষ্টি করছেন, আর কিয়ামত হবেই, তাই আবারও খুব খেয়াল কইরা মনে রাখেন যখন বলা হবে

তোমাদেরকে কীসে জাহান্নামে নিক্ষেপ করেছে? তারা বলবে, আমরা সালাত আদায় করতাম না। [সূরাহ আল-মুদ্দাসসির ৭৫:৪২-৪৩]

তথ্যসূত্র ও গ্রন্থাবলি

1. Peteet, J.R. and M.J. Balboni, Spirituality and religion in oncology. CA: a cancer journal for clinicians, 2013.63(4): p. 280-289.

2. Society, A.C. http://www.cancer.org/ . 2016 [cited 2016 2 January]

3. Mahjoob, M., et al., The effect of Holy Quran voice on mentalhealth. Journal of religion and health, 2016. 55(1): p. 38-42

4. Suhami, N., M.B. Muhamad, and S.E. Krauss, Why Cancer Patients Seek Islamic Healing. Journal of religion and health, 2015: p. 1-12.

5. Mohammed Faruque Reza, M. Y. U., MD; Yukio Mano, MD, PhD, Evaluation of a new physical exercise taken from salat (prayer) as a short-duration and frequent physical activity in the rehabilitation of geriatric and disabled patients. Annals of Saudi Medicine, 23 January 2002., 2002;22(3-4):177-180.

6. Muscle Activity Estimation through Surface EMG Analysis during Salat. May 2015 Conference: 2nd International Conference on Electrical Engineering and Information Communication Technology (ICEEICT, 2015)

7. Chang KM, Lo PC. F-VEP and Alpha-suppressed EEG-physiological evidence of inner-light perception during Zen meditation. Biomed Eng Appl Basis Communicat 2006;18:1–7

8. Kasamatsu A, Hirai T. An electroencephalographic study on the zen meditation (Zazen). Psychiatry Clin Neurosci 1966;20:315–336 [PubMed]

9. Lee SH, Ahn SC, Lee YJ, et al. Effectiveness of a meditation-based stress management program as an adjunct to pharmacotherapy in patients with anxiety disorder. J Psychosom Res 2007;62:189–195 [PubMed]

10. Al-Ghazal, S., Medical Miracles of the Qur’an. 2013: Kube Publishing Ltd.

11. Attaining Health Through Salah & Ablution. 2015: Xlibris Corporation

12. Doufesh, H., et al., Assessment of heart rates and blood pressure in different Salat positions. Journal of Physical Therapy Science, 2013. 25(2): p. 211-214.

13. Equanimeous, N.-j., H. Mindfulness, and Y.Khobragade, Meditation as primary intervention strategy in prevention of cardiovascular diseases. International Journal, 2016. 4(1): p. 12.

14. Javeed, Q.S., Effect of Taraweeh Prayers On Mental Health And Self Control. Laxmi Book Publication, 2013.

15. Sadiya, A., et al., Effect of Ramadan fasting on metabolic markers, body composition, and dietary intake in Emiratis of Ajman (UAE) with metabolic syndrome.Diabetes Metab Syndr Obes, 2011. 4: p. 409-16

16. Mohktar, M.S. and F. Ibrahim. Assessment of Salat taraweeh and fasting effect on body composition. in 4th Kuala Lumpur International Conference on Biomedical Engineering 2008. 2008. Springer

17. El-Taher, A.M. and B.M. Zabut, Effect of Ramadan Fasting on Anthropometric Measures andsome Biochemical Parameters among Type2 Diabetic Patients in Gaza Governorate, Gaza Strip.

18. Chokkhanchitchai, S., et al., The effect of religious practice on the prevalence of knee osteoarthritis.Clinical rheumatology, 2010. 29(1): p. 39-44

19. Kim, Y.-J., L.J. Bonassar, and A.J. Grodzinsky, The role of cartilage streaming potential, fluid flow and pressure in the stimulation of chondrocyte biosynthesis during dynamic compression. Journal of biomechanics, 1995. 28(9): p. 1055- 1066.

20. Kiviranta, I., et al., Articular cartilage thickness and glycosaminoglycan distribution in the young canine knee joint after remobilization of the immobilized limb. Journal of orthopaedic research, 1994. 12(2): p. 16

21. Syed, I., The Medical Benefits of Taraweeh Prayers. 2011.

22. Ayād, A. and Ǧ. Ḫakam, Healing Body & Soul: Your Guide to Holistic Wellbeing Following Islamic Teachings. 2008: Internat. Islamic Publishing House.

23. Sayeed, S.A. and A. Prakash, The Islamic prayer (Salah/Namaaz) and yoga togetherness in mental health. Indian journal of psychiatry, 2013. 55(Suppl 2):p. S224.

24. Benson, H., Timeless healing. 2009: Simon and Schuster.

25. Theraphy Services and Maulana, M.A., Muslim Chaplain & Imam., Taking care of your health Information leaflet for Muslim Patients Physiotherapy and Prayer (Salah), B.T. Hospitals, Editor. 2011.

26. Sayeed, S. A.; Prakash, A., The Islamic prayer (Salah/Namaaz) and yoga togetherness in mental health.Indian J Psychiatry 2013, 55 (Suppl 2), S224-30.

সহায়ক প্রবন্ধ: HEALTH BENEFITS OF SALAT (PRAYER)


লেখক: শাহরিয়ার কামাল

মুসলিম মিডিয়া ব্লগের কার্যক্রম অব্যাহত রাখা সহ তা সামনের দিকে এগিয়ে নিতে আপনার সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিন। ব্লগ পরিচালনায় প্রতি মাসের খরচ বহনে আপনার সাহায্য আমাদের একান্ত কাম্য। বিস্তারিত জানতে এখানে ভিজিট করুন।

নিচে মন্তব্যের ঘরে আপনাদের মতামত জানান। ভালো লাগবে আপনাদের অভিপ্রায়গুলো জানতে পারলে। আর লেখা সম্পর্কিত কোন জিজ্ঞাসার উত্তর পেতে অবশ্যই "ওয়ার্ডপ্রেস থেকে কমেন্ট করুন"।

Loading Facebook Comments ...

Leave a Reply

Your email address will not be published.

Loading Disqus Comments ...
IIRT Arabic Intensive