পরিবার ও গোষ্ঠী

দুনিয়াতে আসার মাধ্যম হলেন যারা…

সেকুলারদের মতে, আমরা দুনিয়াতে এসেছি মা-বাবার sexual desire পূরণের মাধ্যমে। এবং বৃদ্ধকালে যাতে তাদের দেখাশুনা করতে পারি, সে জন্যে। পুরোটাই তাঁদের নিজস্ব ফায়দা পাবার জন্যে। তাই তাদের কাছে মা-বাবার খেদমত গুরুত্বহীন। কিন্তু মুসলিম এক্ষেত্রে সম্পূর্ণ ভিন্ন। স্বয়ং আল্লাহ তা’আলা তাকে হুকুম দিয়েছেন যে, তাঁদের খেদমত করতেই হবে।

সংসার সুখের হয় রমণীর ধৈর্যে

বউ আর তাদের শাশুড়ির মধ্যে দ্বন্দ্ব হচ্ছে অনেক বিয়েতে টানাপোড়নের একটি স্বাভাবিক উৎস। অধিকাংশ পরিবারেই নতুন বউদের তাদের স্বামীর পরিবারের সাথে প্রথমদিকের অভিজ্ঞতা খুব সুখকর হলেও সেটা বেশি দিন স্থায়ী হয় না। কিছু সময় বা কয়েক বছর পরে সংঘর্ষ তৈরী হয়। এমতাবস্থায়, ডিফিকাল্ট ইনল’সদের সাথে মানিয়ে চলার কিছু টিপস শেয়ার করছি।

প্রসঙ্গ: বিবাহ

জোড়া সৃষ্টির অন্যতম কারণ হলো, যেন একে অপরের সঙ্গ দ্বারা নিরাপত্তা, দয়া, সম্প্রীতি ও প্রশান্তি লাভ করতে পারে। এই জোড়ায় জোড়ায় থাকার কিছু নিয়ম আছে। যতই ভালোবাসা থাকুক, যতই কেয়ারিং শেয়ারিং থাকুক, ইচ্ছেমতো জোড়া বাঁধলে একই কাজ জান্নাতের বদলে জাহান্নামে নিক্ষেপ করবে। ইসলামে জোড়া বাঁধার পদ্ধতির নাম হলো নিকাহ বা বিবাহ।

মুক্তো গড়ার গল্প

বর্তমানে আমারা বেশিরভাগ সুন্নাহ ভুলতে বসেছি। আমরা ভুলে গিয়েছি যে, আমাদের হিদায়াতের পথের দিশারী রাসূলের ﷺ সুন্নাহ ছিলো প্রতি সপ্তাহের একটি দিন নারীদের শিক্ষাদানের জন্য বরাদ্দ রাখা। আজকের এই বক্তব্যটিতে সেই সুন্নাহকে পুনরুজ্জীবিত করার প্রয়াসেই মুমিনাহ নারীদেরকে সম্বোধন করা হচ্ছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের জাহিলিয়াত

একটা ইন্ট্রেস্টিং বিষয় হচ্ছে প্রত্যেক নবীই মেষ পালন করতেন কিংবা ছাগল চরাতেন। কারণ মানবজাতির আচরণ অনেকটা ছাগল ভেড়ার মতো। এদেরকে এক পালে ঐক্যবদ্ধ রাখা খুবই কষ্টসাধ্য কাজ। আমরা যারা এই আধুনিক যুগে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ি কিংবা কোনো সহশিক্ষার অঙ্গনে যাতায়াত রয়েছে, তাদের সবারই অভিজ্ঞতা আছে মানুষের এই ছাগলপ্রবণতা অনুভব করার।

রুধিরবরণা প্রাণঝরণা

ঋতুবতী নারীদের ইসলাম না-কি অবজ্ঞার চোখে দেখেছে! আমরা জানি না, এ কথাটা নাস্তিকরা কোন দলীলের ভিত্তিতে বলে। সেদিন এক স্বঘোষিত নাস্তিকের বই, আরেকদিন ওদের ব্লগেও এমন একটা লেখা নজরে পড়লো। ঋতুবতী নারীদের সম্পর্কে ইসলামের বিধান কি সত্যিই অমানবিক – যেমনটা নাস্তিকরা প্রচার করে থাকে? চলুন জেনে নিই।

প্রেমই কি সব? দয়া-মায়া বলে কিছু কি থাকতে নেই?

এক ব্যক্তি তার স্ত্রীকে তালাক দিতে চাইছিলো। উমার (রাদ্বিয়াল্লাহু 'আনহু) তাকে জিজ্ঞাসা করেছিলেন, “কেন তুমি তোমার স্ত্রীকে তালাক দিতে চাও?” সে জবাব দিলো, “আমি তাকে ভালোবাসি না।” উমার (রাদ্বিয়াল্লাহু 'আনহু) বললেন, “সকল পরিবারের ভিত্তি কি শুধুই ভালোবাসা? যত্ন-আত্তি আর শিষ্টাচার বলে কি কিছু নেই?”

জমিয়ে তোলা সেই আড্ডাটা : একটু ভেবে দেখবো কি?

আড্ডা বলতে সাধারণত আমরা বুঝি যেখানে কয়েকজন সমবয়সী কিংবা সমমনা মিলে স্বাধীনভাবে নিজেদের মনের ভাব প্রকাশ করে থাকে। অর্থাৎ, কোনো নির্দিষ্ট কিংবা অনির্দিষ্ট বিষয়ে মন যা চায় তা-ই বলে। আর যখনই এই আড্ডা কিংবা গল্পের আসরের কোনো সীমারেখা নির্ধারণ করা হয় না, তখনই তা শয়তানের নিয়ন্ত্রণে চলে যায়।

ইসলামের দৃষ্টিতে নবজাতকের অধিকার

দশ মাস দশ দিন অধীর অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে নবজাতকের আগমনে খুশির হিল্লোল বয়ে যায় প্রতিটি পরিবারে। কিন্তু অধিকাংশ মুসলিম পিতা-মাতাই জানেন না ইসলাম নবজাতকের জন্য কী কী অধিকার সুনিশ্চিত করেছে। বরং দেখা যায় অনেক অভিভাবক নবজাতককে কেন্দ্র করে অজ্ঞতাবশত বিভিন্ন বিদ‘আতি ও শির্কি কাজে লিপ্ত হয়ে পড়েন।

নারীর উপর শারিরীক ও মানসিক নির্যাতনের কারণ ও প্রতিকারের পথ

বিজ্ঞজনেরা সর্বদা বলতে চান, 'প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার অভাব' ও 'দারিদ্র্য' হলো নারী নির্যাতনের পেছনের মুখ্য নিয়ামক। আসলেই কি এই দুটো কারণেই নারীরা এত লাঞ্ছিত হচ্ছে?