[প্রথমেই একটা কথা বলে নেই, এই সিরিজ লেখার মত ন্যূনতম যোগ্যতা আমার নেই। তবুও মনের প্রচণ্ড ব্যাকুলতা থেকে লেখা শুরু করছি। এই সিরিজের কথাগুলোর কিছুই আমার নিজস্ব কথা না। নিজে থেকে তাঁকে নিয়ে কিছু বলার মত ধৃষ্টতা আমার নেই। কিছু বই পড়ে, লেকচার শুনে ও সীরাহ যে কোর্সটা করছি সেখান থেকে, মোট কথা সব মিলিয়ে জোড়া তালি দিয়ে আমার ভালোবাসার মানুষটাকে নিয়ে একটু লেখার সাহস করছি। খুব আহামরি কিছু হয়তো হবে না এই সিরিজটা। তবুও নিজের মনের কাছে নিজের একটু সান্ত্বনা এই যে – আমি চেষ্টা করেছিলাম।]
মানুষের একটা সহজাত প্রবৃত্তি হলো- সে যাকে ভালোবাসে তার সম্পর্কে খুঁটিনাটি সব জানতে উদগ্রীব থাকে। তার কী রঙ পছন্দ, কোন খাবার ভালো লাগে, চুল কীভাবে রাখে অথবা কী ভালো লাগে না, কী করলে সে বিরক্ত হয়, কিসে তার রাগ হয় সব জানতে ইচ্ছে করে। আর মজার ব্যাপার হলো- যত জানা হয় ততই যে ভালোবাসাটা বাড়তে থাকে। সে যা কিছু পছন্দ করে তা করতে ইচ্ছে করে, আর যা কিছু অপছন্দ করে তা থেকে যোজন যোজন দূরে থাকতে ইচ্ছে করে। সন্তান যখন দূরে থাকে তখন মা-বাবা অসংখ্যবার কল দিয়ে জিজ্ঞেস করে, ‘খেয়েছো কিনা!! কি করো?’ এই প্রশ্নগুলো কি খুব দরকারি প্রশ্ন? না। তবে কেন প্রিয় মানুষগুলো এসবের পিছনে তাদের মূল্যবান সময় ব্যয় করে? কারণ ওই একটাই- ভালোবাসা।
ভালোবাসার একটি জাদুকরী শক্তি হলো, ‘সে ‘আমাকে’ আমার আমিত্ব থেকে টেনে বের করে আনতে পারে।’
বুঝা গেলো না?
ধরুন, আপনার নীল রঙ একদম ভালো লাগে না। কিন্তু আপনি জানতে পারলেন যে, যাকে আপনি ভালোবাসেন তার নীল রঙটা খুব প্রিয়। ধীরে ধীরে খেয়াল করবেন আপনারও নিজেকে নীল রঙের পোশাকে সবচে সুন্দর লাগতে শুরু করেছে। এটাই ভালোবাসার জাদুকরী শক্তি। আপনার হৃদয়টা কখন যে ভালোবাসার মানুষের রঙে রঙিন হয়ে উঠবে তা টেরও পাবেন না।
যে যাকে ভালোবাসে তার হাশর হবে সে মানুষটার সাথে। আমরা সবাই নিশ্চয় চাই যেন আমাদের হাশর রাসুলাল্লাহ সা. এর সাথে হয়, তাই না? তাহলে আমরা কী রাসুলাল্লাহ সা. কে ভালোবাসি? এখন সবাই এক বাক্যে বলবেন, ‘হ্যাঁ! নিশ্চয়।’
তবে তাঁকে জানার জন্য কতটুকু চেষ্টা করি আমরা? রাসুলাল্লাহ সা. কে ভালোবাসাটা ইবাদতেরই অংশ। আল্লাহর আনুগত্যের অংশ ও আমাদের দ্বীনের অংশ। হাদিস থেকে আমরা জানতে পারি যে যতক্ষণ পর্যন্ত আমরা আমাদের বাবা-মা, সন্তান বা পুরো পৃথিবী থেকে রাসুলাল্লাহ সা. কে বেশি ভালোবাসতে না পারবো, ততক্ষণ পর্যন্ত আমরা প্রকৃত ইমানদার হতে পারবো না। কোনো দ্বিধা ছাড়া যাঁর ব্যাপারে আমরা বলতে পারি যে আমরা তাঁকে ভালোবাসি। অবশ্যই ভালোবাসি। তবে ভালোবাসার মানুষটা সম্পর্কে কিছুই না জানাটা কেমন যেন ধোঁয়ার মত ভালোবাসা নয় কি?
আমর ইবনে আল আওস রা. -এর ঘটনা তো মোটামুটি আমরা সবাই জানি। মৃত্যুর দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে তিনি খুব কাঁদছিলেন। তার ছেলে তাকে মনে করিয়ে দিলেন যে রাসুলাল্লাহ সা. তাকে ‘মুমিন’ বলে গিয়েছেন। তিনি বললেন যে তিনি এ জন্য কাঁদছেন না। বরং তিনি তার জীবনের তিনটি আলাদা অধ্যায়ের কথা ভেবে কাঁদছেন। প্রথমত, যখন তিনি ইসলামের ঘোরতর শত্রু ছিলেন; তখন তিনি রাসুলাল্লাহ সা. কে হত্যা করার ইচ্ছে বুকে পুষে বেড়াতেন। তারপর আল্লাহ্ সেই বুকেই ইসলামের প্রতি ভালোবাসা ঢেলে দিলেন। তিনি মুসলিম হলেন। তখন থেকেই যে মুহাম্মাদ সা. তার শত্রু ছিলো সেই মুহাম্মাদ সা.-ই তার সবচে প্রিয় একজন হয়ে উঠলেন। এতোটাই প্রিয় হয়ে উঠলেন যে তিনি চোখ তুলে তাঁর দিকে তাকাতেও পারতেন না। জীবন সায়াহ্নে তিনি বলেছিলেন, ‘তুমি যদি আমাকে জিজ্ঞেস করো যে রাসুলুল্লাহ সা. দেখতে কেমন ছিলেন, তবে আমি তা বলতে পারবো না।’
খেয়াল করুন, আমর রা. রাসুলাল্লাহ সা. কে যত জেনেছিলেন ততই তাঁকে ভালোবেসে ফেলেছিলেন। তাঁর মন জুড়ে ছিলো শুধু রাসুলাল্লাহ সা. এর রাজত্ব।
আমরা কি এভাবে রাসুলাল্লাহ সা. কে ভালোবাসতে পারি? পারি না তো। কিন্তু কেন? কেন আমাদের হৃদয় তাঁর রঙে রাঙিয়ে নিতে পারি না? কেন তাঁকে আমরা অনুভব করতে পারি না? কারণ, আমরা প্রকৃতপক্ষে তাঁকে জানিই না। তাই তাঁকে ভালোবাসতেও পারি না।
রাসুলাল্লাহ সা. এর প্রতি ভালোবাসা বাড়ানোর জন্য সীরাহ অধ্যয়নের বিকল্প নেই। তাঁর সময়, তাঁর জীবন সম্পর্কে জানাই একমাত্র তাঁর প্রতি আমাদের ভালোবাসা বৃদ্ধি করতে সক্ষম। খুব আফসোস হয়! এ ব্যাপারে আমরা কতই না উদাসীন!
আপনি যদি সত্যিই তাঁকে ভালোবেসে থাকেন, তবে তাঁর জীবনী, সীরাহ অধ্যয়ন করুন। ভালোবাসার নিদর্শন তো এটাই যে আপনি আপনার ভালোবাসার মানুষটা সম্পর্কে আরো বেশি জানতে চাইবেন। সারাক্ষণ তাঁর কথা ভাববেন। তাঁর ব্যাপারে খুঁটিনাটি সব আপনার নখদর্পণে থাকবে। মানুষটা সম্পর্কে জানতে আপনি থাকবেন সদা উদগ্রীব।
আপনার সীরাহ অধ্যয়নই প্রমাণ করে যে আপনি রাসুলাল্লাহ সা. কে কতটা ভালোবাসেন। আবার সীরাহ অধ্যয়নের ফলে দিনে দিনে এই ভালোবাসাটা বাড়তেই থাকবে। খুব মজার একটা চক্র, তাই না?
রাসুলাল্লাহ সা. কে জানা ও মানা আমাদের জন্য বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। কুরআনের প্রায় ৫০টির মতো আয়াতে আল্লাহ্ আমাদের জন্য রাসুলাল্লাহ সা. কে উত্তম উদাহরণ হিসেবে উল্লেখ করেছেন।
‘তোমাদের মধ্যে যারা আল্লাহ্ ও আখিরাতের প্রতি বিশ্বাস রাখে এবং আল্লাহ্কে অধিক স্মরণ করে তাঁদের জন্য রাসুলের অনুসরণের মধ্যে রয়েছে উত্তম আদর্শ।‘ [সূরা আল আহযাব (৩৩): ২১]
তো কারো ব্যাপারে না জেনে কি করে তাঁকে অনুসরণ করা যায়? সীরাহ থেকে আমরা শুধু ইতিহাস সম্পর্কেই যে জানতে পারি তা নয়। আমরা জানতে পারি তিনি ব্যক্তিজীবনে কেমন ছিলেন। কেমন ছিলেন তিনি স্বামী হিসেবে বা বাবা হিসেবে। অথবা সেই ছোট্ট শিশুটির কাছে তিনি কেমন ছিলেন যার পাখিটি মারা গিয়েছিলো। কেমন ছিলেন তিনি প্রতিবেশি হিসেবে বা যুদ্ধ ক্ষেত্রে। জানতে পারি তিনি রেগে গেলো কেমন লাগতো। বা তাঁর হাসি ঠিক কেমন ছিলো। তাঁর জীবনের কঠিন সময়টা কীভাবে কেটেছিলো। অথবা যখন আইশা রা. খেলা দেখতে চেয়েছিলেন তখন তিনি কী করেছিলেন। একজন মানুষকে ভালোবাসার জন্য যা কিছু লাগে সব আমরা পাই তাঁর সীরাহ তে। পাই তাঁর কথায় কাজে অনুসরণের জন্য চমৎকার উদাহরণ। বর্তমানে সেলেব্রেটিদের আমরা কতই না অন্ধভাবে ফলো করি। অথচ আমাদের ফলো করার মত একজনকে আল্লাহ্ এই ধরার রাহমাহ হিসেবে অনেক আগেই পাঠিয়েছিলেন। আমরা জানি না বলেই তাঁকে হৃদয়ের সবটা দিয়ে ভালোবাসতে পারি না। কি অদ্ভুত আত্মভোলা আমরা!! ছি!!
ইবনে হাময রা. বলেছেন, ‘যারা আখিরাতের সন্ধানে আছে, জীবনের খোঁজে নীতি ও চরিত্রের সর্বোচ্চ সৌন্দর্য চায়; তাদের উচিত রাসুলাল্লাহ সা. কে অনুসরণ করা।’
তাঁর চরিত্র নিজের মধ্যে প্রতিফলন করার জন্য অবশ্যই আমাদের সীরাহ পড়তে হবে।
আমাদের জেনারেশনটাকে একটা কিউট নাম দিয়েছি আমি- ‘হতাশা জেনারেশন’। উঠতে বসতে আমরা ডিপ্রেসড হয়ে যাই। পান থেকে চুন খসলেই সুইসাইড করে বসি। এই ‘হতাশা জেনারেশনের’ জন্য রাসুলাল্লাহ সা. এর সীরাহ অসাধারণ এক cure হয়ে কাজ করতে পারে। সীরাহ পড়লে আমরা বুঝতে পারি ‘পাখি ড্রেস’ না পাওয়াটা কোনো কষ্টের মধ্যেই পড়ে না। অথবা বুঝতে পারি আমি ভালো মুমিন মানেই আমার জীবনে কোনো পরীক্ষা থাকবে না, এমনটা মোটেই নয়। রাসুলাল্লাহ সা. থেকে অবশ্যই আমাদের ইমান, আমল বেশি হতে পারে না। পৃথিবীর বুকের সর্বশ্রেষ্ঠ মানুষটিকে কতটা কঠিন পরীক্ষা দিতে হয়েছিলো তা জানা থাকলে আমরা বুঝতে পারবো আমাদের মত অথর্বের পরীক্ষাগুলো আসলে একেবারেই অর্থহীন। বুকটা তখন আশায় ভরে উঠে।
আমাদের রব তো তাঁর প্রিয় রাসুল সা. কেও এভাবেই সান্ত্বনা দিয়েছেন। পূর্ববর্তী নবী রাসুলদের জীবনের কঠিন পরীক্ষাগুলোর বর্ণনা কুরআনের পাতায় পাতায়।
‘রাসুলদের ঐ সব বৃত্তান্ত আমি তোমার কাছে বর্ণনা করছি, যদ্দ্বারা আমি তোমার মনকে দৃঢ় করি। এর মাধ্যমে তোমার কাছে এসেছে সত্য এবং মুমিনদের জন্য এসেছে উপদেশ ও সাবধানবাণী।’ [সূরা হূদ (১১):১২০]
তাছাড়া, কুরআনকে সকল মনোরোগের চিকিৎসা বলে উল্লেখ করা হয়েছে, ‘হে মানব জাতি, তোমাদের প্রতি তোমাদের রবের কাছ থেকে এসেছে উপদেশ এবং তোমাদের অন্তরে যা আছে তার চিকিৎসা।’ [সূরা ইউনুস (১০):৫৭]
বর্তমানে অনেকেই নিজেদের মুসলিম পরিচয়টা নিয়ে ভীষণ হীনমন্যতায় ভোগে। এই হীনমন্যতা কাটিয়ে ওঠার জন্যই আমাদের সীরাহ পড়া উচিত।
আমাদের Role Model কারা? আমাদের জীবন যুদ্ধে আমরা কাদের পদচিহ্ন অনুসরণ করছি?
আমরা আজকের মুসলিমরা serious রকমের identity crisis-এ ভুগছি। একটা সহজ প্রশ্নের উত্তর দিন তো। আমাদের সমাজের তরুণরা কি এখন একজন সেলেব্রেটির সম্পর্কে ভালোভাবে জানে নাকি কোনো সাহাবীর ব্যাপারে? উত্তরটা সবারই জানা। তবুও কি সচেতন হবার সময় এখনো হয়নি? এখনও কি সময় আসেনি নিজেদের শেকড় সম্পর্কে জানার?
আজকের বিশ্বে উম্মাহর দিকে তাকালে আমাদের হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হয়। অবাক বিস্ময়ে প্রশ্ন করি, ‘বীর মুসলিমদের আজ এই দুর্দশা কেন?’
উত্তরটাও সীরাহ-তেই পাবেন। রাসুলাল্লাহ সা. এর শুরুটা ছিলো একেবারে শূন্য থেকে। তারপর…
সীরাহ এর প্রতিটি পরতে পরতে স্পষ্ট হয় যে তিনিই আল্লাহর রাসুল। তখনকার পঙ্কিলতাপূর্ণ নোংরা সমাজে বেড়ে উঠেও যে ব্যক্তিত্ব ও চরিত্র তাঁর ছিলো, তা কেবল একজন রাসুলেরই থাকা সম্ভব। আল্লাহর বিশেষ রাহমাহ ছাড়া এমন হওয়া মোটেও সম্ভব না।
রাসুলাল্লাহ সা. এর জীবনের প্রতিটি ঘটনা এবং পরিস্থিতি আমাদের জন্য Real Life Lesson হতে পারে। তাঁর জীবনের কোন পরিস্থিতিতে তিনি কেমন সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন কেন নিয়েছিলেন তা বুঝা ও তার হিক্বমাহ বুঝা আমাদের নিজেদের জীবনের জন্যও খুব প্রয়োজনীয়।
মুহাম্মাদ ইবনে সা’দ ইবনে আবী ওয়াক্কাস বলেছেন, ‘আমাদের বাবা আমাদের রাসুলাল্লাহ সা. এর জীবনী শিক্ষা দেয়ার সময় বলতেন এগুলো তোমাদের বাবাদের ঐতিহ্য। সুতরাং ভালো করে পড়।’
আলি বিন হুসাইন ইবনে আলি ইবনে তালিব বলেন, ‘আমাদেরকে কুরআন যেভাবে শেখানো হতো ঠিক একইভাবে সীরাহও শেখানো হতো।’
এ থেকেই বুঝা যায় সীরাহ অধ্যয়ন কতটা গুরুত্বপূর্ণ। ‘কুরআন যেভাবে শেখানো হতো সীরাহও ঠিক একইভাবে শেখানো হতো।’
রাসুলাল্লাহ সা. বলেছেন, ‘জেনে রেখো! দেহের মধ্যে একটি মাংসপিণ্ড রয়েছে, যদি তা সংশোধিত হয় তবে পুরো দেহই সংশোধিত হয় আর যদি তা নষ্ট হয় তবে পুরো দেহই নষ্ট হয়। জেনে রাখ তা অন্তঃকরণ।’
মনের রোগের ওষুধ কুরআন। আর কুরআনকে মন দিয়ে বুঝতে হলে প্রয়োজন সীরাহ। রাসুলাল্লাহ সা. এর জীবনটা কুরআনেরই প্রতিচ্ছবি। কুরআনকে অনুভব করতে হলে সীরাহ পড়াটা খুব খুব দরকার। কুরআনের এমন অনেক আয়াত আছে যেগুলো বুঝতে হলে তার পটভূমি বুঝতে হবে। পটভূমি না জানলে বুঝাটা মহা মুশকিল। কুরআনকে যদি হৃদয় দিয়ে অনুভব করতে চান তবে অবশ্যই অবশ্যই সীরাহ এর কাছেই ফিরতে হবে।
‘তোমার রব তোমাকে পরিত্যাগ করেননি এবং তোমার প্রতি বিরূপও হননি।’ [সূরা আদ দোহা (৯৩):০৩]
কেউ কোনো পটভূমি না জেনে হঠাৎ এই আয়াতটা পড়লে এর সঠিক অর্থ বুঝতে পারবেন না। তাই সীরাহ জানাটা অত্যন্ত জরুরী।
মুসলিম মিডিয়া ব্লগের কার্যক্রম অব্যাহত রাখা সহ তা সামনের দিকে এগিয়ে নিতে আপনার সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিন। ব্লগ পরিচালনায় প্রতি মাসের খরচ বহনে আপনার সাহায্য আমাদের একান্ত কাম্য। বিস্তারিত জানতে এখানে ভিজিট করুন।
নিচে মন্তব্যের ঘরে আপনাদের মতামত জানান। ভালো লাগবে আপনাদের অভিপ্রায়গুলো জানতে পারলে। আর লেখা সম্পর্কিত কোন জিজ্ঞাসার উত্তর পেতে অবশ্যই "ওয়ার্ডপ্রেস থেকে কমেন্ট করুন"।