প্রারম্ভিকা

اَلْمالُ وَ الْبَنُوْنَ زِيْنَةُ الْحَيوةِ الدُّنْيّا

ধন-ঐশ্বর্য ও সন্তান-সন্ততি পার্থিব জীবনের শোভা…। [সূরাহ আল-কাহফ (১৮):৪৬]

সন্তান মহান আল্লাহর পক্ষ থেকে এক পবিত্র আমানত। সন্তানের মাধ্যমেই দাম্পত্য জীবন পূর্ণতা লাভ করে। নেক সন্তান লাভের জন্য মহান আল্লাহর দরবারে দু‘আ করেছেন এমন অনেক নবী-রাসূলের দু‘আর উল্লেখ রয়েছে পবিত্র কুরআনে। যেমন, সূরাহ আলে ইমরান (৩:৩৮), সূরাহ মারইয়াম (১৯:৫), সূরাহ আল-আম্বিয়া (২১:৮৯), সূরাহ আল-ফুরকান (২৫:৭৪), সূরাহ আস-সফফাত (৩৭:১০০)। মহানবী মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ ﷺ শিশুদেরকে আল্লাহর বাগানের সুগন্ধী ফুলের সাথে তুলনা করেছেন।[১] দশ মাস দশ দিন অধীর অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে নবজাতকের আগমনে খুশির হিল্লোল বয়ে যায় প্রতিটি পরিবারে। নবজাতকের সেবা-যত্ন, ভালো-মন্দ, আদর-আহ্লাদ নিয়েই সময় কাটে পরিবারের প্রতিটি সদস্যের। কিন্তু অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় অধিকাংশ মুসলিম পিতা-মাতাই জানেন না ইসলাম নবজাতকের জন্য কী কী অধিকার সুনিশ্চিত করেছে। বরং দেখা যায় অনেক অভিভাবক নবজাতককে কেন্দ্র করে অজ্ঞতাবশত বিভিন্ন বিদ‘আতি ও শির্কি কাজে লিপ্ত হয়ে পড়েন।

আলোচ্য প্রবন্ধে ক্ষুদ্র পরিসরে ইসলামের দৃষ্টিতে নবজাতকের অধিকারসমূহ  উপস্থাপনের প্রয়াস থাকবে।

IIRT Arabic Intensive

ইসলামের দৃষ্টিতে নবজাতকের অধিকার

প্রথম দিনে সদ্য ভূমিষ্ঠ হওয়ার পর পরই করণীয়

আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের শুকরিয়া আদায় করা

মুসলিম জাতির পিতা ইবরাহীম (‘আলাইহিসসালাম) সম্পর্কে পবিত্র কুরআনে বলা হয়েছে, তিনি সন্তান লাভের শুকরিয়া করেছেন এভাবে-

الْحَمْدُ لِلَّهِ الَّذِي وَهَبَ لِي عَلَى الْكِبَرِ إِسْمَاعِيلَ وَإِسْحَاقَ إِنَّ رَبِّي لَسَمِيعُ الدُّعَاءِ (৩৯) رَبِّ اجْعَلْنِي مُقِيمَ الصَّلَاةِ وَمِنْ ذُرِّيَّتِي رَبَّنَا وَتَقَبَّلْ دُعَاءِ (৪০)

رَبَّنَا اغْفِرْ لِي وَلِوَالِدَيَّ وَلِلْمُؤْمِنِينَ يَوْمَ يَقُومُ الْحِسَابُ (৪১)

সমস্ত প্রশংসা আল্লাহরই, যিনি আমাকে আমার বার্ধ্যক্যে ইসমাঈল ও ইসহাককে দান করেছেন। আমার প্রতিপালক অবশ্যই প্রার্থনা শুনে থাকেন। হে আমার প্রতিপালক, আমাকে সালাত কায়েমকারী কর এবং আমার বংশধরদের মধ্য হতেও।  হে আমাদের প্রতিপালক, আমার প্রার্থনা কবুল কর। [সূরাহ ইবরাহীম (১৪):৩৯-৪১]

আনন্দিত হওয়া

নবজাতকের আগমনে অভিভাবক ও আত্মীয়-স্বজনের আনন্দ প্রকাশ করা মুস্তাহাব।  সাহাবায়ে কেরামীন ‘আব্দুল্লাহ ইবনে যুবাইর (রাদ্বিয়াল্লাহু ‘আনহু) এর জন্মের সুসংবাদ শুনে অতিশয় আনন্দিত হয়েছিলেন।[২]

কন্যা সন্তান জন্ম গ্রহণ করলে অসন্তুষ্ট না হওয়া

পুত্রের ন্যায় কন্যা সন্তানও আল্লাহ রাব্বুল ‘আলামীনের পক্ষ থেকে নিয়ামত স্বরূপ। কন্যা সন্তান জন্ম গ্রহণ করলে অসন্তুষ্ট হওয়া জাহেলি আচরণ। কারণ তারা কন্যাসন্তান ভূমিষ্ঠ হওয়াকে দুর্ভাগ্যজনক মনে করতো।

আল্লাহ বলেন:

وَإِذَا بُشِّرَ أَحَدُهُمْ بِالْأُنْثَى ظَلَّ وَجْهُهُ مُسْوَدًّا وَهُوَ كَظِيمٌ (৫৮)

তাদের কাউকে যখন কন্যা সন্তানের সুসংবাদ দেওয়া হয় তখন তার মুখমন্ডল কালো হয়ে যায় এবং সে অসহনীয় মনস্তাপে ক্লিষ্ট হয়। [সূরাহ আন-নাহল (১৬):৫৮]

ডান কানে আযান দেওয়া

সন্তান ভূমিষ্ঠ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ডান কানে আযান দেয়া সুন্নাত।

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ حّدَّثْنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيْدٍ وَ عَبْدُ الرَّحْمنِ بْنُ مَهْدِيٍّ قَالاَ أَخْبَرْنَا سُفْيَانُ عَنْ عَاصِمِ بْنِ عُبَيْدِ اللهِ عَنْ عُبَيْدِ اللهِ بْنِ أَبِيْ رَافِعٍ عَنْ اَبِيْهِ قَالَ : رَأَيْتُ رَسُوْلَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ

أَذَّنَ فِيْ أُذُنِ الْحَسَنِ بْنِ عَلِيٍّ حِيْنَ وَلَدَتْهُ فَاطِمَةُ بِالصَّلاَةِ

উবাইদুল্লাহ ইবনে আবু রাফে (রাদ্বিয়াল্লাহু ‘আনহু) থেকে তাঁর পিতার সূত্রে বর্ণিত, তিনি (আবু রাফে) বলেন, ফাতিমা (রাদ্বিয়াল্লাহু ‘আনহা) হাসান ইবনে ‘আলী (রাদ্বিয়াল্লাহু ‘আনহু)-কে প্রসব করলে আমি রাসূলুল্লাহকে ﷺ হাসানের কানে সালাতের আযানের অনুরূপ আযান দিতে দেখেছি।[৩]

আর বাম কানে ইকামাত দেওয়ার ব্যাপারে যে বর্ণনা পাওয়া যায়, তা সহীহ নয়। তাই এর ওপর আমল করা বা একে সুন্নাত জ্ঞান করা ঠিক নয়।

তাহনীক ও দুআ করা

শিশুর তাহনীক করা ও শিশুর জন্য দু‘আ করা মুস্তাহাব। তাহনীক করা অর্থ মিষ্টি জাতীয় কিছু বিশেষ করে খোরমা চিবিয়ে নরম করে তা নবজাতক শিশুর মুখে দেওয়া। রাসূলুল্লাহর ﷺ নিকট কোনো শিশুকে নিয়ে এলে তিনি তার তাহনীক করতেন।

حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِى شَيْبَةَ حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ نُمَيْرٍ حَدَّثَنَا هِشَامٌ – يَعْنِى ابْنَ عُرْوَةَ – عَنْ أَبِيهِ عَنْ عَائِشَةَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ -صلى الله عليه وسلم- كَانَ يُؤْتَى بِالصِّبْيَانِ فَيُبَرِّكُ عَلَيْهِمْ وَيُحَنِّكُهُمْ.

‘আয়িশা (রাদ্বিয়াল্লাহু ‘আনহা) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহর ﷺ কাছে বাচ্চা নিয়ে আসা হতো।  তিনি তাদের জন্য বরকতের দু‘আ করতেন এবং তাহনীক করতেন।[৪]

حَدَّثَنَا عَبْدُ الأَعْلَى بْنُ حَمَّادٍ حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ عَنْ ثَابِتٍ الْبُنَانِىِّ عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ قَالَ ذَهَبْتُ بِعَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِى طَلْحَةَ الأَنْصَارِىِّ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ -صلى الله عليه وسلم- حِينَ وُلِدَ وَرَسُولُ اللَّهِ -صلى الله عليه وسلم- فِى عَبَاءَةٍ يَهْنَأُ بَعِيرًا لَهُ فَقَالَ

هَلْ مَعَكَ تَمَرٌ؟

فَقُلْتُ نَعَمْ. فَنَاوَلْتُهُ تَمَرَاتٍ فَأَلْقَاهُنَّ فِى فِيهِ فَلاَكَهُنَّ ثُمَّ فَغَرَ فَا الصَّبِىِّ فَمَجَّهُ فِى فِيهِ

فَجَعَلَ الصَّبِيُّ يَتَلَمَّظَّهُ فَقَالَ رَسُوْلُ اللهِ صلى الله عليه وسلم-حُبُّ الأّنْصَارِ التَّمْرِ-

আনাস (রাদ্বিয়াল্লাহু ‘আনহু) বলেন, ‘আব্দুল্লাহ ইবনে আবু তালহা ভূমিষ্ঠ হলে আমি তাকে রাসূলুল্লাহর ﷺ নিকট নিয়ে গেলাম, তিনি বলেন, তোমার সঙ্গে কি খেজুর আছে? আমি বললাম, হ্যাঁ। রাসূলুল্লাহ ﷺ খেজুর চিবালেন, অতঃপর তা বের করে বাচ্চার মুখে দিলেন। বাচ্চাটি জিহবা দিয়ে চুষে ও ঠোঁটে লেগে থাকা অংশ চেটে খেতে লাগলো। রাসূলুল্লাহ ﷺ এ দৃশ্য দেখে বললেন, দেখো, আনসারদের খেজুর  কত প্রিয়![৫]

মায়ের বুকের দুধ পান করানো

মহান আল্লাহ পাক তাঁর অপার করুণায় নবজাতকের জন্য মায়ের বুকে খাবার তৈরি করে দেন। শিশুকে দুধপান করানো মায়ের জন্য ওয়াজিব। অনেক মা সৌন্দর্যহানির ভয়ে শিশুকে দুধ খাওয়াতে চান না। অথচ শিশুকে মাতৃদুগ্ধ পান করানোকে ইসলাম এতটাই গুরুত্ব দিয়েছে যে, দুগ্ধদানকারীনী মায়ের সওম মাফ করে দিয়েছে।[৬]

মহান আল্লাহ বলেন:

حَمَلَتْهُ أُمُّهُ وَهْنًا عَلَى وَهْنٍ وَفِصَالُهُ فِي عَامَيْنِ….

জননী সন্তানকে কষ্টের পর কষ্ট বরণ করে গর্ভে ধারণ করে এবং তার দুধ ছাড়ানো হয় দুই বছরে। [সূরাহ লুকমান (৩১):১৪]

وَالْوَالِدَاتُ يُرْضِعْنَ أَوْلَادَهُنَّ حَوْلَيْنِ كَامِلَيْنِ لِمَنْ أَرَادَ أَنْ يُتِمَّ الرَّضَاعَةَ……

যে স্তন্য পানকাল পূর্ণ করতে চায় তার জন্য মায়েরা তাদের সন্তানদেরকে পূর্ণ দুইবছর স্তন্য পান করাবে। [সূরাহ আল-বাকারাহ (২):২৩৩]

সপ্তম দিনে যা করণীয়

আকীকা করা

জন্মের সপ্তম দিনে আকীকা করা সুন্নাতে মুয়াক্কাদা। সপ্তম দিনে সম্ভব না হলে দ্বিতীয় বা তৃতীয় সপ্তম দিনে করবে। তাও সম্ভব না হলে জীবনের যে কোন সময় করার অনুমতি রয়েছে।

عَنْ ابْنُ سِيْرِيْن حَدَّثْنَا سَلْمَانَ بن عَامِرٍ الضَّبِيِّ قَالَ: سَمِعْتُ رَسُوْلَ اللهِ صلى الله عليه و سلم يَقُوْلُ  مَعَ الْغُلاَمِ عَقِيْقَةُ فَأَهْرِيْقُوْا عَنْهُ دَماً وَّأَمِيْطُوْا عَنْهُ الْأَذى

সালমান ইবনে আমের দাব্বী (রাদ্বিয়াল্লাহু ‘আনহু) থেকে বর্ণিত।  তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহকে ﷺ বলতে শুনেছি, শিশুর (জন্মের পর) আকীকা করা আবশ্যক।  অতএব তার তরফ থেকে তোমরা রক্ত প্রবাহিত কর (পশু যবেহ কর) এবং তার থেকে কষ্ট দূর কর।[৭]

حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ حُجْرٍ أَخْبَرْنَا عَلِيُّ بْنُ مُسْهِرٍ عَنْ إِسْمعِيْلَ بْنِ مُسْلِمٍ عَنْ الْحَسَنِ عَنْ سَمُرَةَ قَالَ : قَالَ رسول الله صلى الله عليه و سلم الْغُلاَمُ مُرْتَهَنٌ بِعَقِيْقَتِهِ يِذْبَحُ عَنْهٌ يَوْمَ السَّاِبعِ وَيُسَمّى وَيُحْلَقُ رَأْسُهُ

সামুরা (রাদ্বিয়াল্লাহু ‘আনহু) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন: প্রত্যেক শিশু তার আকীকার সাথে বন্ধক থাকে। জন্মের সপ্তম দিনে তার পক্ষ থেকে পশু যবেহ করতে হবে, তার নাম রাখতে হবে এবং তার মাথা মুণ্ডন করতে হবে।[৮]

حَدَّثْنَا الْحَسَنُ بْنُ عَلِيّ الْخلَاِّلُ حَدَّثْنَا عَبْدُ الرَّزاَّقِ عَنْ اِبْنِ جُرَيْجٍ أَخْبَرْنَا عُبَيْدُ اللهِ بْنُ أَبِيْ يَزِيْدَ عَنْ سِبَاعِ بْنِ ثَابِتٍ أَنَّ مُحَمَّدَ بْنُ ثَابِتِ بْنِ سِبَاعٍ أَخْبَرَهُ أَنَّ اُمُّ كُرْزٍ أَخْبَرَتْهُ أَنَّهَا سَأَلَتْ رَسُوْلَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَنِ الْعَقِيْقَةِ فَقَالَ : عَنِ الْغُلاَمِ شَاتَانِ وَعَنِ الْأُنْثى وَاحِدَةً وَلاَ يَضُركُمْ ذكْرَانًا كُنَّ أَمْ إِنَاثًا

উম্মুল কুরয (রাদ্বিয়াল্লাহু ‘আনহা) থেকে বর্ণিত, তিনি রাসূলুল্লাহর ﷺ নিকট আকীকা সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করেন। তিনি বলেন, পুত্র সন্তানের পক্ষ থেকে দু‘টি বকরী এবং কন্যা সন্তানের পক্ষ থেকে একটি বকরী। আকীকার পশু নর বা মাদী যা-ই হোক, তাতে তোমাদের কোনো অসুবিধা নেই।[৯]

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يَحْيَى الْقُطعِيُّ حَدَّثَنَا عَبْدُ الْأَعْلَى بْنُ عَبْدُ الْأَعْلَى عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِسْحقَ عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ أَبِيْ بَكْرٍ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَلِيِّ بْنِ الْحُسَيْنِ عَنْ عَلِيِّ بْنِ أَبِيْ طَالِبِ قَالَ : عَقَّ رسول الله صلى الله عليه و سلم عَنِ الْحَسَنِ بِشَاةٍ

আলী (রাদ্বিয়াল্লাহু ‘আনহু) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ একটি বকরী দিয়ে হাসানের আকীকা করেন।[১০]

সুন্দর-অর্থপূর্ণ নাম রাখা

শিশু ভূমিষ্ঠ হওয়ার সপ্তম দিনে নাম রাখা সুন্নাত।

حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ حُجْرٍ أَخْبَرْنَا عَلِيُّ بْنُ مُسْهِرٍ عَنْ إِسْمعِيْلَ بْنِ مُسْلِمٍ عَنْ الْحَسَنِ عَنْ سَمُرَةَ قَالَ : قَالَ رسول الله صلى الله عليه و سلم الْغُلاَمُ مُرْتَهَنٌ بِعَقِيْقَتِهِ يِذْبَحُ عَنْهٌ يَوْمَ السَّاِبعِ وَيُسَمّى وَيُحْلَقُ رَأْسُهُ

সামুরা (রাদ্বিয়াল্লাহু ‘আনহু) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন: প্রত্যেক শিশু তার আকীকার সাথে বন্ধক থাকে। জন্মের সপ্তম দিনে তার পক্ষ থেকে পশু যবেহ করতে হবে, তার নাম রাখতে হবে এবং তার মাথা মুন্ডন করতে হবে।[১১]

তবে সপ্তম দিনে আকীকা না করলে প্রথম দিনও নাম রাখা যাবে।

حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ الْمُغِيرَةِ حَدَّثَنَا ثَابِتٌ الْبُنَانِىُّ عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ – وُلِدَ لِىَ اللَّيْلَةَ غُلاَمٌ فَسَمَّيْتُهُ بِاسْمِ أَبِى إِبْرَاهِيمَ صلى الله عليه وسلم-

আনাস ইবনে মালিক (রাদ্বিয়াল্লাহু ‘আনহু) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন, আজ রাতে আমার একটি পুত্র সন্তান জনগ্রহণ করেছে, আমি তার নাম আমার পিতা ইবরাহীম (‘আলাইহিসসালাম) এর নামানুসারে ইবরাহীম রেখেছি।[১২]

حدثني إسحق بن نصر حدثنا أبو أسامة قال حدثني بريد عن أبي بردة عن أبي موسى رضي الله عنه قال: وُلِدَ لِيْ غُلاَمٌ فَأَتَيْتُ بِه النَّبِيَّ صلى الله عليه و سلم فّسَمَّاهُ إِبْرَاهِيْمَ فَحَنَّكَهُ بِتَمْرَةٍ وَّدَعَا لَه بِالْبَرَكَةِ وَدَفَعَهُ إِلَيَّ وَكَانَ أَكْبَرَ وَلَدِ أَبِيْ مُوْسى.

আবু মুসা আশআরী (রাদ্বিয়াল্লাহু ‘আনহু) বলেন, আমার একটি পুত্র সন্তান জন্ম গ্রহণ করলো। আমি তাকে রাসূলুল্লাহর ﷺ নিকট নিয়ে গেলাম। তিনি তার নাম রাখলেন ইবরাহিম এবং একটি খোরমা চিবিয়ে তার মুখে দিলেন, অতঃপর তার জন্য বরকতের দু‘আ করলেন তারপর তাকে আমার নিকট ফিরিয়ে দিলেন। এ ছিল আবু মুসা আশআরীর (রাদ্বিয়াল্লাহু ‘আনহু) এর বড় সন্তান।[১৩]

মাথা মুণ্ডন করা ও চুলের ওজন পরিমাণ রূপা সাদকা করা

নবজাতকের জন্মের সপ্তম দিনে মাথার চুল মুণ্ডন করা সুন্নাত। নবজাতকের মাথার চুল মুণ্ডন করার পর চুলের ওজন পরিমাণ রূপা সাদকা করা সুন্নাত।

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يَحْيَى الْقُطعِيُّ حَدَّثَنَا عَبْدُ الْأَعْلَى بْنُ عَبْدُ الْأَعْلَى عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِسْحقَ عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ أَبِيْ بَكْرٍ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَلِيِّ بْنِ الْحُسَيْنِ عَنْ عَلِيِّ بْنِ أَبِيْ طَالِبِ قَالَ : عَقَّ رسول الله صلى الله عليه و سلم عَنِ الْحَسَنِ بِشَاةٍ وَقَالَ يَا فَاطِمَةُاِحْلِقِيْ رَأْسَهُ وَتَصَدَّقِيْ بِزِنَةِ شَعْرِهِ فِضَّةً قَالَ فَوَزَّنْتَهُ فَكَانَ وَزْنُهُ دِرْهَمًا أَوْ بَعْضَ دِرْهَمٍ.

‘আলী (রাদ্বিয়াল্লাহু ‘আনহু) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন রাসূলুল্লাহ ﷺ একটি বকরী দিয়ে হাসানের আকীকা করেন এবং বলেন, হে ফাতিমা! তার মাথা মুণ্ডন কর এবং তার চুলের ওজন সম-পরিমাণ রূপা সাদকা কর। তদনুযায়ী আমি তার চুল ওজন দিলাম এবং তার ওজন এক দিরহাম বা তার কাছাকাছি হলো।[১৪]

খাতনা করা

সপ্তম দিনে খাতনা করা সুন্নাত।  তবে পরবর্তীতেও করানোর অনুমতি রয়েছে।

জাবের (রাদ্বিয়াল্লাহু ‘আনহু) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ ﷺ হাসান ও হুসাইনকে জন্মের সপ্তম দিনে আকীকা ও খাতনা করেছেন।[১৫]

নবজাতককে কেন্দ্র করে শরীয়াত বিরোধী কিছু রসম-রেওয়াজ

حدثنا آدم حدثنا ابن أبي ذئب عن الوهري عن أبي سلمة بن عبد الرحمن عَنْ أَبِيْ هُرَيْرَةَ رضي الله عنه قَالَ  : قَالَ النًّبِيّ صلى الله عليه و سلم  كُلُّ مَوْلُوْدٍ يُوْلَدُ عَلَى الْفِطْرَةَ فَأَبَواَهُيُهَوِّدَانِهِ أَوْ يُنَصَّرَانَهَ أَوْ يُمَجِّسَانِهِ……

আবু হুরায়রা (রাদ্বিয়াল্লাহু ‘আনহু) থেকে বর্ণিত তিনি বর্ণনা করেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন, প্রত্যেকটি নবজাতক শিশু ইসলামের স্বভাব নিয়ে জন্ম গ্রহণ করে। কিন্তু পরে পিতা-মাতা তাকে ইয়াহুদী, নাসারা অথবা অগ্নিপূজক হিসেবে গড়ে তোলে।[১৬]

আমাদের সমাজে নবজাতককে কেন্দ্র করে শরীয়াত বিরোধী নানা রকমের রসম-রেওয়াজ পালন করতে দেখা যায়, যা সুস্পষ্ট শির্ক ও কুফরী। সেসব থেকে নবজাতকের অভিভাবককে বেঁচে থাকা আবশ্যকীয়। যেমন-

■ নবজাতকের হাতের চামড়ায় বা মাজায় বা গলায়  চিকন তার,কালো সুতা বা তাগা, গাছের শিকড়-বাকড় বা এ ধরনের অন্য কোনোকিছু চুড়ি বা মালার মতো করে বেঁধে দেওয়া, যাতে কোনো অশুভ রোগ-বালাই বা বদ জিন-ভূত স্পর্শ করতে না পারে।

■ নবজাতককে জিনের অশুভ দৃষ্টি থেকে রক্ষার জন্য বাচ্চার কান ছিদ্র করা, বাচ্চার বালিশের নিচে জুতার টুকরা রাখা অথবা শিশুর মাথার চুল না কাটা।

■ চোখ লাগা বা বদনজর থেকে শিশুকে রক্ষার জন্য তার গলায় মাছের হাড়, শামুক, ঝিনুক, কড়ি ইত্যাদি ঝুলিয়ে রাখা। কপালে বা পায়ে কালো টিপ বা দাগ দেওয়া, বাচ্চার বিছানায় রসুন রাখা, কেউ দেখতে আসলে আগুনে হাত সেঁকে নেওয়ার পর কোলে দেওয়া।

■ বরকতের আশায় বিভিন্ন মাজার থেকে পানি পড়া, তেল পড়া ইত্যাদি এনে শিশুকে মালিশ করা।

■ আকীকা অনুষ্ঠানে নাচ,গান-বাদ্যসহ, রং দিয়ে হোলি খেলে সপ্তাহব্যাপী অনুষ্ঠান করা, গিফট নেওয়া।

■ কোনো মহিলার বারবার বা একাধিক সন্তান মারা গেলে পরবর্তীতে নবজাতকের দীর্ঘায়ু লাভের আশায় অর্থহীন উল্টা-পাল্টা নাম রাখা।

■ অমঙ্গলের হাত থেকে রক্ষা পেতে শিশুর ঘরে ধূপ-সর্ষে জ্বালিয়ে রাখা, বাড়ির চারপাশে সেই ধোঁয়া দেওয়া।

নবজাতককে অকল্যাণ থেকে হেফাযতে করণীয়

নবজাতককে সকল প্রকার অকল্যাণ ও অনিষ্ট  থেকে হেফাযত করতেঅভিভাবকগণ যা করতে পারেন-

সন্ধ্যায় শিশুকে ঘরের বাইরে না রাখা

রাসূলুল্লাহ ﷺ সন্ধ্যায় শিশুকে ঘরের বাইরে নিতে নিষেধ করেছেন। হাদীসে এসেছে:

حَدَّثَنِى إِسْحَاقُ بْنُ مَنْصُورٍ أَخْبَرَنَا رَوْحُ بْنُ عُبَادَةَ حَدَّثَنَا ابْنُ جُرَيْجٍ أَخْبَرَنَا عَطَاءٌ أَنَّهُ سَمِعَ جَابِرَ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ يَقُولُ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ -صلى الله عليه وسلم

إِذَا كَانَ جُنْحُ اللَّيْلِ – أَوْ أَمْسَيْتُمْ – فَكُفُّوا صِبْيَانَكُمْ فَإِنَّ الشَّيْطَانَ يَنْتَشِرُ حِينَئِذٍ فَإِذَا ذَهَبَ سَاعَةٌ مِنَ اللَّيْلِ فَخَلُّوهُمْ

আ’তা থেকে বর্ণিত, তিনি জাবির ইবনে ‘আব্দুল্লাহকে (রাদ্বিয়াল্লাহু ‘আনহু) বলতে শুনেছেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন: যখন রাতের আঁধার নেমে আসে কিংবা যখন সন্ধ্যা হয়ে যায়, তোমাদের শিশুদের ঘরের বাইরে যেতে দিও না। কেননা এসময় শয়তান চর্তুদিকে ছড়িয়ে পড়ে। তবে রাতের কিছু সময় অতিক্রান্ত হয়ে গেলে, তাদের ছেড়ে দিতে পারো।[১৭]

শিশুকে বদনজর ও শয়তানের অনিষ্ট থেকে দুআ পড়ে আশ্রয় চাওয়া

রাসূলুল্লাহ ﷺ তাঁর প্রিয়তম দু‘নাতিকে  বদনজর, শয়তানের ক্ষতি থেকে হেফাযতের জন্য দু‘আ  পড়তেন।

حَدَّثْنَا مَحْمُوْدُ بْنُ غَيْلاَنَ حَدَّثْنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ وَ يَعْلى عَنْ سُفْيَانَ

عَنْ مَنْصُوْرٍ عَنِ الْمِنْهَالِ بْنِ عَمْرٍو عَنْ سَعِيْدِ بْنِ جُبَيْرٍ عَنِ ابْنِ عَباَّسٍ

قَالَ : كَانَ رسول الله صلى الله عليه و سلم يُعَوِّذُ الْحَسَنَ وَ الْحُسَيْن يَقُوْلُ أَعِيْذُكُمَا بِكَلِمَاتِ اللهِ التَّامَّةِ مِنْ كُلِّ شَيْطَانٍ وَّهّامَّةٍ وَمِنْ كُلِّ عَيْنٍ لاَّمَّةٍ وَّ  يَقُوْلُ هكَذَا كَانَ إِبْرَاهِيْمُ يُعَوِذُ إِسْحقَ وَ إِسْمَاعِيْلَ عَلَيْهِمُ السَّلاَمٌ

ইবনে আব্বাস (রাদ্বিয়াল্লাহু ‘আনহু) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ হাসান ও হুসাইনের (রাদ্বিয়াল্লাহু ‘আনহুমা) জন্য এই দু‘আ পড়ে আশ্রয় প্রার্থনা করতেন: আমি তোমাদের উভয়ের জন্য আল্লাহর পরিপূর্ণ কল্যাণময় কালামের মাধ্যমে প্রতিটি শয়তান, জীবননাশক বিষ ও অনিষ্টকারী বদনজর থেকে আশ্রয় প্রার্থনা করছি। তিনি বলতেন: এভাবে ইবরাহীম (‘আলাইহিসসালাম) তাঁর দু‘পুত্র ইসহাক ও ইসমা‘ঈলের জন্য আশ্রয় প্রার্থনা করতেন।[১৮]

উপসংহার

কবির ভাষায়-

“এসেছে নতুন শিশু, তাকে ছেড়ে দিতে হবে স্থান;

জীর্ণ পৃথিবীতে ব্যর্থ, মৃত আর ধ্বংসস্তুপ-পিঠে

চলে যেতে হবে আমাদের।

চলে যাব তবু আজ যতক্ষণ দেহে আছে প্রাণ

প্রাণপণে পৃথিবীর সরাব জঞ্জাল,

এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য ক’রে যাব আমি

নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গিকার।[১৯]

পরিবারে নতুন শিশুর আগমনে সকলের মাঝে খুশির বন্যা বয়ে যায়, ছোট্ট তুলতুলে শিশুটি ধীরে ধীরে একদিন বড় হয়ে ওঠে।  পিতা-মাতা তার জন্য নিজের সব কিছু উজাড় করে দিতে প্রস্তুত হয়ে যায়। হাজারো কষ্ট সহ্য করে শুধু মাত্র সন্তানের মুখপানে চেয়ে। কিন্তু অধিকাংশ সময়ই দেখা যায় একজন মুসলিম হিসাবে সন্তানের ন্যায্য অধিকার পূরণ করা হয়ে উঠে না। ফলে সন্তান একসময় পিতা-মাতাকেই বোঝা মনে করে। তাই তো প্রত্যেক পিতা-মাতার কর্তব্য সন্তানের জন্মের সঙ্গে সঙ্গে তাকে ইসলাম প্রদত্ত অধিকার প্রদান করা ও ইসলাম অনুমোদিত পন্থায় সন্তান লালন-পালন করা। সন্তানের জন্য মহামহিম আল্লাহর দরবারে বেশি বেশি দু‘আ করা। আল্লাহ বলেছেন-

وَالَّذِينَ يَقُولُونَ رَبَّنَا هَبْ لَنَا مِنْ أَزْوَاجِنَا وَذُرِّيَّاتِنَا قُرَّةَ أَعْيُنٍ وَاجْعَلْنَا لِلْمُتَّقِينَ إِمَامًا (৭৪)

এবং যারা প্রার্থনা করে, হে আমাদের প্রতিপালক!  আমাদের জন্য এমন স্ত্রী ও সন্তান-সন্ততি দান কর যারা হবে আমাদের জন্য নয়ন প্রীতিকর এবং আমাদেরকে কর মুত্তাকীদের জন্য অনুসরণযোগ্য। [সূরাহ আল-ফুরকান (২৫):৭৪]

তথ্যসূত্র ও গ্রন্থাবলি

[১] তিরমিযী, মুহাম্মদ ইবনু ঈসা (২৭৯ হি), আস-সুনান, কিতাবুল বিররি ওয়াস সিলাহ, বাব: ১১, (বৈরুত, দারু এহইয়াইত তুরাস আল আরাবী), হাদীস নং:১৯১০

[২] অধিক জানার জন্য দেখুন বুখারী, মুহাম্মদ ইবনু ইসমাইল (২৫৬ হি), আস সহীহ, (বৈরুত দারুল কাসীর, ইয়ামামাহ), ৩য় প্রকাশ, ১৯৮৭, কিতাবুল আকীকা, বাব:১, হাদীস নং : ৫১৫২

[৩] তিরমিযী, প্রাগুক্ত, কিতাবুল আদাহী, বাব:১৭, হাদীস নং: ১৫১৪

[৪] মুসলিম, ইবনু হাজ্জাজ (২৬১ হি), আস-সহীহ, (বৈরুত, দারুল জীল, দারুল আফাকিল জাদীদা), কিতাবুল আদব, বাব:৫, হাদীস নং: ৫৭৪৩

[৫] মুসলিম, প্রাগুক্ত, কিতাবুল আদব, বাব:৫,হাদীস নং:৫৭৩৬

[৬] তিরমিযী, প্রাগুক্ত, কিতাবুস সাওম, বাব: ২১,হাদীস নং:৭১৫

[৭] বুখারী ,প্রাগুক্ত,কিতাবুল আকীকা, বাব:২, হাদীস নং: ৫১৫৪

[৮] তিরমিযী, প্রাগুক্ত,কিতাবুল আদাহী, বাব: ২৩,হাদীস নং: ১৫২২

[৯] তিরমিযী, প্রাগুক্ত,কিতাবুল আদাহী, বাব:১৭, হাদীস নং: ১৫১৬

[১০] তিরমিযী, প্রাগুক্ত,কিতাবুল আদাহী,বাব:২০, হাদীস নং:১৫১৯

[১১] তিরমিযী, প্রাগুক্ত,কিতাবুল আদাহী , বাব:২৩,হাদীস নং: ১৫২২

[১২] মুসলিম, প্রাগুক্ত,কিতাবুল ফাযাইল, বাব:১৫, হাদীস নং : ৬১৬৭

[১৩] বুখারী ,প্রাগুক্ত,কিতাবুল আকীকা, বাব:১, হাদীস নং: ৫১৫০

[১৪] তিরমিযী, প্রাগুক্ত, কিতাবুল আদাহী,বাব:২০,হাদীস নং: ১৫১৯

[১৫] সুনান বায়হাকী

[১৬] বুখারী, প্রাগুক্ত, কিতাবুল জানায়েয, বাব:৯১,  হাদীস নং:১৩১৯

[১৭] মুসলিম, প্রাগুক্ত,  কিতাবুল আশরিবাহ,বাব:১২, হাদীস নং:৫৩৬৮

[১৮] তিরমিয়ী,প্রাগুক্ত, কিতাবুত তিব্ব, বাব:১৮,হাদীস নং:২০৬০।

[১৯] সুকান্ত, ছাড়পত্র, বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র, ১৩তম প্রকাশ ২০১২।


লেখক: সুমাইয়্যা সিদ্দীকা

মুসলিম মিডিয়া ব্লগের কার্যক্রম অব্যাহত রাখা সহ তা সামনের দিকে এগিয়ে নিতে আপনার সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিন। ব্লগ পরিচালনায় প্রতি মাসের খরচ বহনে আপনার সাহায্য আমাদের একান্ত কাম্য। বিস্তারিত জানতে এখানে ভিজিট করুন।

নিচে মন্তব্যের ঘরে আপনাদের মতামত জানান। ভালো লাগবে আপনাদের অভিপ্রায়গুলো জানতে পারলে। আর লেখা সম্পর্কিত কোন জিজ্ঞাসার উত্তর পেতে অবশ্যই "ওয়ার্ডপ্রেস থেকে কমেন্ট করুন"।

Loading Facebook Comments ...

Leave a Reply

Your email address will not be published.

Loading Disqus Comments ...
IIRT Arabic Intensive