অনেকেই ভালো উদ্দেশ্যে বারসিসার কাহিনী শেয়ার করেন। আমার সবসময়ই কাহিনীটা শুনলে মনে খটকা লাগতো। এ ব্যাপারে নির্ভরযোগ্য ফাতোয়া ওয়েবসাইট ইসলামওয়েবে প্রশ্ন করেছিলাম।
ইসলামবিরোধীরা দাবি করে যে, রোগ সংক্রমণ সম্পর্কে নবী মুহাম্মাদ (ﷺ) এর হাদীসের বক্তব্য বৈজ্ঞানিকভাবে ভুল। ‘ছোঁয়াচে রোগ’ তো তাদের অন্তরে, যা তারা তাদের অপ্রপচারের দ্বারা মানুষের ভেতর ছড়ানোর চেষ্টা করে।
এই যে স্পর্শকে এত সত্য, এত জীবন্ত মনে হয়, সেই স্পর্শে কিন্তু কেউ আমাদেরকে সত্যি সত্যি ছুঁয়ে দিতে পারে না। দুইজনের শরীরের লক্ষ লক্ষ এটমের বাইরের দিকে থাকা ইলেক্ট্রনগুলো পরস্পরকে তীব্র বিকর্ষণ করে ভেতরের দিকে চেপে যায়। একটা মানুষের ইলেক্ট্রন আরেকটা মানুষের ইলেক্ট্রনকে স্পর্শ করতে পারে না। ফলে, মাঝখানে ঠিকই একটা বি-শা-ল দূরত্ব থেকে যায়।
কিছু ডেইস্ট এবং এগনোস্টিক বিশ্বাস করে- সৃষ্টির সাথে স্রষ্টা আল্লাহ্র আর কোনো কমিউনিকেশন নেই! কিন্তু আল্লাহ্ তাঁর সৃষ্টির সাথে বিভিন্নভাবে কমিউনিকেইট করেন।
‘শয়তান’ একটি বৈশিষ্ট্যগত নাম। মানুষ বা জিন জাতির মধ্যে আল্লাহর অবাধ্য ও বিদ্রোহীগোষ্ঠীর নাম এটি। অভিযোগকারী নাস্তিক মুক্তমনারা ইবলীস ও তার বংশধর জিন শয়তানদের ব্যাপারে প্রশ্ন তুলেছে। তাদের প্রশ্ন, স্রষ্টা বলে যদি কেউ থেকেই থাকেন, তাহলে তিনি কেন এমন কিছুকে সৃষ্টি করবেন যারা তাঁর নিজ সৃষ্টিকে পথভ্রষ্ট করে জাহান্নামী করবে।
কিছু ইসলামবিরোধী লেখকের অভিযোগ হচ্ছে—কা’বা ছিলো আরব মূর্তিপূজকদের মন্দির। মুহাম্মাদ (ﷺ) তাদের মন্দির থেকে তাদের উচ্ছেদ করে এক আল্লাহর উপাসনা ও হাজ্জ শুরু করেন।
হজের বিধানের ব্যাপারে নাস্তিক-মুক্তমনা এবং বিশেষত খ্রিষ্টান মিশনারিদের অভিযোগ হচ্ছে : হজের রীতিগুলো মোটেও ইবরাহীম (আ.) এর সাথে কিংবা একত্ববাদের সাথে সম্পর্কিত নয়; বরং এগুলো প্রাচীন আরবের পৌত্তলিক মূর্তিপূজারিদের থেকে ধার করা। এখন আমরা অভিযোগগুলো বিশ্লেষণ ও খণ্ডন করার চেষ্টা করবো ইন শা আল্লাহ।