এক সারা জীবন মনে থাকার মতো একটা দিন।
উত্তর লন্ডনের শীতের এক সকাল। জুমার নামাজে যাচ্ছিলাম। খুতবা শোনার জন্য আগে আগে রওনা দিয়েছি। কিন্তু তখন কে জানত, যেতে যেতে এমন অবিস্মরণীয় এক ঘটনার মুখোমুখী হবো?
অল্প কিছুদিন হলো বিদেশ থেকে ফিরেছি। আমার দাদীমা’র বাসায় উঠেছি। শৈশব থেকেই এ বাড়িতে রোমাঞ্চের কোনো কমতি ছিল না। রাত কাটানো যে কী মজার ছিল! কেবল একটাই ‘বিপত্তি’। ওখানে রাত কাটানো মানে ফজরের সময় ঘুমানো যাবে না। কোনো ছাড় নেই! অবশ্য ভালো দিকও ছিল। অত ভোরে ঘুম থেকে ওঠায় দাদীমা আমাদের এত্ত এত্ত চকোলেট দিতেন।
যেদিনের ঘটনা বলব সেদিন ১১ই মার্চ। বাইরে তখনো আলো ফোটেনি। দাদীমা আর আমি মিলে পাল্লা দিয়ে সবার ঘুম ভাঙাচ্ছি।
ওজু করতে হবে। কলের পানি হাড়-কাঁপানো ঠাণ্ডা। অন্ধকার হাতরে সিঁড়ি বেয়ে নিচে নামলাম গরম পানি ছাড়ার জন্য। না-হলে কনকনে ঠাণ্ডায় হাত-পা জমে যাবে। উপর থেকে দাদীমা ডাক পাড়লেন, “বাছা, গিজার কাজ করছে না।” কাল নাকি কলের মিস্ত্রী আসেনি। অগত্যা বরফঠাণ্ডা পানিতেই ওজু করতে হলো।
নামাজ পড়ার সময় মনে হলো শরীরে যেন ভূমিকম্প হচ্ছে। অশীতিপর বৃদ্ধের মতো এক একজন ঠকঠক করে কাঁপছি। নামাজ শেষ হতেই সবাই বিছানায় ভৌ দৌঁড়। তুলতুলে বিছানায় নরম কম্বলের নিচে গুটিসুটি মেরে আবার ঘুম।
আমার অবশ্য ফজরের পর বাইরে বের হওয়ার অভ্যাস। কিন্তু বাইরে তুমুল তুষারপাত দেখে বের হওয়ার সাহস হলো না। বিছানায় উঠে জুবুথুবু হয়ে দাদীমা’কে জড়িয়ে ধরলাম। নিমিষেই হারিয়ে গেলাম স্বপ্নরাজ্যে।
ঘুম ভেঙে দেখি ঘড়িতে বাজে ১১টা ১০। জুমার দেরি হয়ে যাচ্ছে! পড়িমরি করে করে বিছানা ছেড়ে উঠে বসলাম। সাদা রঙের তোব আর টুপি পরে ঘর থেকে বের হয়ে গেলাম।
বাসের ভিতর গাদাগাদি ভীড়। পেছনের দিকে একটা সিট খালি। পেছনে বলেই হয়তো কেউ বসেনি। বসেই কুরআন খুললাম। সূরা কাহ্ফের অংশটুকু বুকমার্ক করা ছিল। পড়া শুরু করলাম।
কয়েক স্টপেজ পরে বাসে থুরথুরে এক বৃদ্ধ মহিলা উঠলেন। খেয়াল করলাম তাঁর হাতে বেশ কয়েকটা শপিং ব্যাগ। এত মানুষের ভীড়ে কষ্ট করে সামনে এগোচ্ছিলেন। তাঁর জন্য মায়া হলো। আমার সিট ছেড়ে দিয়ে তাঁকে বসার অনুরোধ করলাম।
এটুকু আসতেই বেশ হাঁপিয়ে উঠেছিলেন। কোনো রকমে বললেন, “মেনি মেনি থ্যাঙ্কস।”
“আপনি তো আমার মায়ের মতো। আমার ইশারার চেয়ে আপনার অধিকার অনেক বেশি।” কথাটা একটা আরবি বাক্যের সরাসরি বাংলা অনুবাদ। বলার পর মনে হলো বাংলায় কথাগুলো কি অদ্ভুত শোনাচ্ছে। এদেশে তো এরকম কথা কেউ বলে না। মনে হলো শব্দগুলো তাঁর মনে গভীর ছাপ ফেলেছে। হাসিতে মমতা ঝরে পড়ছে। বড় বড় চোখে তাকিয়ে রইলেন। ফর্সা কুঁচকানো চেহারায় ছড়িয়ে পড়ছিল লালচে আভা।
“তোমার হাতে কী? কুরান?” তার মুখে এক চিলতে হাসি।
কিছুটা অপ্রস্তুত হয়ে গেলাম। “হ্যাঁ!”
কুরআনের পাতায় শাহাদা আঙুল রেখে বন্ধ করে দিলাম। প্রশ্নটা শুনে তাঁর ব্যাপারে আরও আগ্রহী হলাম।
“জানো, আমার অনেক দিনের ইচ্ছা কুরানের অনুবাদ পড়ব। জীবনে অনেক মুসলিমকে দেখেছি। তাদের আচার-ব্যবহার ভালো। বিনম্র।”
“আপনার কাছ থেকে এমনটা শুনে বেশ ভালো লাগছে।”
পরের স্টেশনে তাঁর পাশের যাত্রী নেমে গেল। আমি তাঁর পাশের সিটে যেয়ে বসলাম।
তাঁকে নিয়ে একের পর এক প্রশ্ন মনে উঁকিঝুঁকি দিচ্ছিল। কিন্তু তিনি যেন ঠিক করেছেন তিনি নিজেই তাঁর কাহিনি বলবেন। মনোযোগী শ্রোতার মতো শুনতে লাগলাম।
চামড়ায় ভাঁজপড়া হাতগুলো মুখের উপর ধরে রেখে বললেন, “আজকের পত্রিকায় দেখেছো জাপানে কী হয়েছে? ভূমিকম্প! সুনামি?! কী ভয়ংকর। ঈশ্বর যেন আমাদের উপর চরম বিরক্ত। আমরা সবকিছু নিয়ে তালগোল পাকিয়ে ফেলেছি।”
তাঁর বলার ভঙ্গিতে ইতালিয়ান ধাঁচ। ক্যাথলিক নাকি?
বছরের পর বছর ধরে চোখের সামনে ঘটে যাওয়া নৈতিক অধঃপতনের বিভিন্ন ঘটনাগুলোর আলাপচারিতায় সময় বয়ে যাচ্ছিল। এই আলোচনায় আমি ছিলাম মুগ্ধ শ্রোতা। মনে হচ্ছিল কথা বলছি বয়স্ক এক সঙ্গীর সঙ্গে। গভীর অন্তর্দৃষ্টি দিয়ে তিনি একে একে আমার মনের কৌতূহলগুলোকে মেটাচ্ছেন।
কাঁপা হাসিতে জানালেন তাঁর বয়স এখন ৮১। শুনে তো আমি থ! ইনি তো আমার দাদীর চেয়েও বয়স্ক। এত প্রবীণ কোনো জীবন্ত মানুষের সঙ্গে এর আগে কখনো কথা বলিনি।
“আপনি সময় কাটান কী করে?”
“বইয়ের দোকানগুলোতে।” বুঝলাম উনি বেশ পড়াশোনা করেন। “ক্যাথলিক গির্জাগুলো সব হারিয়ে ফেলেছে। শুধু মুসলিমরাই তাদের শিক্ষা আর নৈতিকতা ধরে রেখেছে।”
মনের ভেতর আনন্দের প্রজাপতি ওড়া শুরু করল। তাঁর কথাগুলো শুনে এত ভালো লাগছিল! শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করার আগে আল্লাহ কি তাহলে এই বৃদ্ধাকে রক্ষা করবেন? মনের ভেতর দাওয়া দেওয়ার প্রেরণা জেগে উঠল।
মুসলিমদের নিয়ে নানা প্রশস্তি গাইলেন। সবখানে আজ ‘স্রষ্টা-বিরোধী’ জোয়ার। এমন সময়েও মুসলিমরা তাদের ধর্মীয় শিক্ষা আঁকড়ে ধরে আছে এটা তাঁর মনে খুব দাগ কেটেছে।
“তোমার সাথে দেখা হয়ে খুব ভালো লাগছে।” পুরু কাঁচের পেছনে তাঁর চোখ ধীরে ধীরে সজল হয়ে উঠছিল। চোখমুখ থেকে আন্তরিকতার আভা ঠিকরে বেরোচ্ছে।
সামনেই নামতে হবে। খুব করে চাচ্ছিলাম কথা বলার মোড়টাকে কোনোভাবে আল্লাহর দিকে ফেরানো যায় কি না। আকীদাহ ক্লাসে শেখা যা মনে আসছিল, তাই গড়গড় করে বলা শুরু করলাম:
“ইসলাম আসলেই সুন্দর ধর্ম। এখানে মানুষের দিকনির্দেশনার জন্য কিছুই বাদ নেই। ইসলামে সবচে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে আল্লাহর উপাসনা করা। তাঁকে জানা।
“তিনি শুধু সৃষ্টি করেই আমাদের ছেড়ে দেননি। দিশা দেওয়ার জন্য নবি মুহাম্মাদকে গাইড হিসেবে পাঠিয়েছেন। তাঁর উপর আল্লাহর শান্তি ও অনুগ্রহ বর্ষিত হোক।
“মহাশূন্য আর পৃথিবীর সবকিছু তাঁর প্রশংসা করে। তাঁর কোনো অংশীদার নেই।” বলে একটু থামলাম। চিন্তা করছি এরপর কী বলা যায়। তিনি বোধহয় ঠিকমতো শুনতে পাচ্ছিলেন না। আমার দিকে আরও চেপে এলেন। চশমাটা জায়গামতো বসিয়ে আড়চোখে আমার দিকে তাকিয়ে রইলেন। আমি বলে চললাম:
“আসলে এই দুনিয়া তো একটা সফর। একসময় এই সফর শেষ করে মানুষ তার প্রভুর কাছে পৌঁছায়। যারা তাঁর কাছে পৌঁছার পথ জানে না বা জানার চেষ্টা করে না, তারা নিতান্ত হতভাগা।”
আবারও কিছুক্ষণের নিস্তব্ধতা। একেকটা স্টেশনে বাস থামছে। মানুষজন নামছে। উঠছে। ভীড়বাট্টা তেমন কমছে না। বেশ কিছুক্ষণ জানালা দিয়ে বাইরে তাকিয়ে রইলেন। কী ভাবছেন উনি?
“আমি খুব সুখী।” মৌনতায় ছেদ টানলেন তিনি। খেয়াল করলাম, তাঁর চোখের জল উপচে উঠেছে। গাল বেয়ে নেমে গেল এক ফোঁটা। আমার হাতে হাত রেখে বললেন,
“জানো, আমার বয়স যখন ৭৯, তখন আমি কোমায় ছিলাম। ডাক্তাররা বলেছেন, আমি নাকি খুব লাকি যে বেঁচে আছি। তোমার সাথে দেখা হওয়ায় আমার সত্যিই খুব ভালো লাগছে। এই সময়টার দেখা হবে বলেই তিনি আমাকে বাঁচিয়ে রেখেছেন। গত বছর ইউকেতে নাকি হাজার পাঁচেক লোক মুসলিম হয়েছে?”
কৌতূহল না প্রশ্ন ঠিক বুঝলাম না।
“আমার কুরআন পড়ার খুব ইচ্ছে। তুমি কি আমাকে একটা দিতে পারবে? আমি টাকা দিয়ে দেব।” বলেই তিনি ব্যাগে হাত দিলেন টাকা বের করার জন্য।
“না, না, লাগবে না। আমি টাকা নেব না। দিলে আমারই ভালো লাগবে।”
“আমার ঠিকানা লিখে দিচ্ছি।” ব্যাগ থেকে কাগজ বের করে ঠিকানা লিখে দিলেন। “এই ঠিকানায় পাঠিয়ে দিয়ো।”
“কোনো চিন্তা করবেন না। আমি নিজেই দিয়ে আসব।”
“ভালো কথা, একটু বড় অক্ষরে ছাপা দিয়ো। বুঝোই তো, এখন আর আগের মতো দেখতে পাই না।” ঠোঁটে হাসি ঝুলিয়ে কলমটা ব্যাগে রেখে দিলেন।
কিছু চিন্তা মাথায় খটর খটর করছিল। উনার যা বয়স; কুরআন তাকে দেওয়ার আগেই যদি মারা যান? কিংবা শাহাদাহ বলার আগে?
“ধারেকাছে মশসজিদটা কোথায়? রিজেন্ট পার্কের এখানে শুনেছি একটা বড় মশজিদ আছে।”
আমি তাঁর কথার ধারা ঠিক বুঝতে পারছিলাম না। কিন্তু এটুকু বুঝেছিলাম যে এখনই সুযোগ। এর সদ্ব্যবহার করতে না-পারলে সারাজীবন আফসোস করতে হবে। মন বলল তিনি শাহাদাহ নিতে চাচ্ছেন। হয়তো ভাবছেন ব্যাপটিজমের মতো জটিল কোনো বিষয় এটা। নির্দিষ্ট কোনো জায়গায় নির্দিষ্ট কোনোভাবে এটা করতে হয়। সুযোগটা নিয়েই নিলাম …
“চাচী, আল্লাহ এক—এই সাক্ষ্য দিলেই আপনি মুসলিম হিসেবে আল্লাহর সাথে সাক্ষাত করতে পারবেন। আর কিছু লাগবে না।”
তাঁর চোখমুখ দীপ্ত হয়ে উঠল।
“আমি যা বলব, সেটা রিপিট করুন। আশহাদু … ।”
“আশ্শ্-হাডু…”
ধীরে ধীরে তিনি আরবিতে পুরো শাহাদাহ পড়লেন। পড়তে উনাকে বেশ বেগ পেতে হয়েছে। পড়ার মাঝখানে আটকে যেতে বার কয়েক ফিক করে হাসলাম আমরা। তবে প্রতিটা অক্ষর উচ্চারণে উনি বেশ দৃঢ় ছিলেন। তিনি যেহেতু ক্যাথলিক ধর্মের ছিলেন, তাই মনে হলো এর সাথে এই লাইনটা যোগ করলে ভালো হবে। ‘যিশু আল্লাহর নবি। আল্লাহর কোনো সন্তান থাকতে পারে না।’
কী মনে করে তিনি এই কথাটা বলতে গিয়ে থেমে গেলেন। চোখ নামিয়ে ফেললেন। আমি দেখতে পাচ্ছিলাম তাঁর মুখের হাসি ফিকে হয়ে যাচ্ছে। চামড়ার ভাঁজগুলো ফিরে আসছে। বুকের ভেতরটা মোচড় দিয়ে উঠল। বড় একটা দীর্ঘশ্বাস বের হলো: বোধহয় আর হলো না।
বৃদ্ধা কয়েকবার জোরে জোরে নিঃশ্বাস ফেললেন। মনে হচ্ছে যেন আবার প্রাণ ফিরে পাচ্ছেন। “কী… কী সুন্দর কথা!” কথা বলতে তাঁর জড়িয়ে যাচ্ছিল। পুনরায় তাঁর মুখের ঐশী হাসি ফিরে আসছিল। সব শক্তি জড়ো করলেন। সিটে নড়চেড়ে বসলেন।
“হ্যাঁ। যিশু ঈশ্বরের নবি। অবশ্যই। আমার সারা জীবন আমি আসলে এমনটাই ভাবতাম। কিন্তু, কিন্তু … আজকে আমার খুব ভালো লাগছে।” তার মুখে দীপ্তি। ভাঁজ পড়া গাল বেয়ে চোখের জল আবার গড়িয়ে পড়তে লাগল। আমার সারা শরীরে শিহরণ। প্রতিটা রোমকূপ প্রচণ্ড রোমাঞ্চে দাঁড়িয়ে গেল।
তিনি বললেন, “আমাকে ওটা লিখে দাও তো।”
“কোনটা?”
“শাহাদা। আমরা এই মাত্র যেটা বললাম। খুব সুন্দর।”
মনের আনন্দে ঝটপট লিখে দিলাম।
“আমার এক ছেলে আছে। ও মুসলিম না। বয়স ৪৩। তুমি ওর সাথে একটু কথা বলবে?”
আমি কিছুই বলতে পারছিলাম না। এমন একটা অভিজ্ঞতার জন্য মোটেও প্রস্তুত ছিলাম না। শুধু মাথা নাড়লাম।
আমার হাত ধরে বললেন, “আমি ফিলোমেনা।”
“ইসমাইল।”
“সুন্দর নাম।”
“আমি আপনার সাথে নিয়মিত যোগাযোগ রাখব। আপনার ছেলের সাথেও কথা বলব।”
আমার নেমে আসার জায়গা চলে এসেছে। বেল বাজালাম। পিঠে ভারী ব্যাগটা ঝুলিয়ে নিলাম। “আসি।”
বৃদ্ধার মুখে হাসি। কিছুটা আশ্চর্য, কিছুটা আনন্দ। তবে অনেক বেশি স্বস্তি।
দুই সেদিন জুমা শেষে বন্ধুদেরকে পুরো ঘটনা খুলে বলেছি।
ফিলোমেনা—ইতালীয় মুসলিম। আমরা বন্ধুরা নিয়মিত তাঁর বাড়িতে বেড়াতে যেতাম। বড় হরফের কুরআন পাওয়া খুব কঠিন ছিল। তবে জোগাড় করতে পেরেছিলাম।
এই সময়ে ইসলামকে ঘিরে চারিদিক নেতিবাচক প্রোপাগান্ডায় সয়লাব। যে-কারণে অনেক সময় আমরা সাদাসিধা অনেক বিষয় এড়িয়ে যাই। আসলে প্রতিটা মানুষের মাঝেই তো একটা স্বাভাবিক তাড়না থাকে। মানুষের বয়স, সংস্কৃতি বা জাত যা-ই হোক না কেন, স্রষ্টার ছায়া পাওয়া, তাঁকে খুঁজে পাওয়ার তীব্র আকাঙ্ক্ষা সবার মনেই প্রবল।
আমাদের প্রতিদিনের জীবনে এমন কত শত ফিলোমেনারা চলে যান তাঁদের প্রভুকে খুঁজতে খুঁজতে। অথচ এদের কজনকে আমরা দাওয়াহ দেই? ইসলাম নিয়ে, আল্লাহকে নিয়ে যে কটা কথা আমরা জানি, সেগুলো কি আমরা বলি? আল্লাহর কাছে তো একদিন এ ব্যাপারেও জবাবদিহি করতে হবে। আমরা আমাদের সামর্থ্যের সদ্ব্যবহার করছি?
একজন মুসলিমের সবচেয়ে দামি উপহার ঈমান। এমন উপহার অন্যের সাথে শেয়ার না করে কীভাবে তাঁর মুখোমুখী হবেন?
আমাদের নবি সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছিলেন, আমরা কোনো ছোট কাজকেও যেন অবজ্ঞা না করি। হোক না সামান্য হাসি।
সেদিন যদি ‘সামান্য’ সিট শেয়ার না-করতাম তাহলে কি অমন অবিস্মরণীয় অভিজ্ঞতা হতো কোনোদিন?
উৎস: Islam21C (মূল আর্টিকেল লিংক)
অনুবাদ: তাওসিফ রিয়ান মঞ্জুর, মুসলিম মিডিয়া প্রতিনিধি
সম্পাদনা: মাসুদ শরিফ, মুসলিম মিডিয়া প্রতিনিধি
অনুবাদ কপিরাইট © মুসলিম মিডিয়া
মুসলিম মিডিয়া ব্লগের কার্যক্রম অব্যাহত রাখা সহ তা সামনের দিকে এগিয়ে নিতে আপনার সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিন। ব্লগ পরিচালনায় প্রতি মাসের খরচ বহনে আপনার সাহায্য আমাদের একান্ত কাম্য। বিস্তারিত জানতে এখানে ভিজিট করুন।
নিচে মন্তব্যের ঘরে আপনাদের মতামত জানান। ভালো লাগবে আপনাদের অভিপ্রায়গুলো জানতে পারলে। আর লেখা সম্পর্কিত কোন জিজ্ঞাসার উত্তর পেতে অবশ্যই "ওয়ার্ডপ্রেস থেকে কমেন্ট করুন"।