পর্ব ০১ | পর্ব ০২ | পর্ব ০৩ | পর্ব ০৪
ক্লাসে নতুন একজন স্যার এসেছেন। নাম- মফিজুর রহমান। হ্যাংলা-পাতলা গড়ন, বাতাস আসলেই যেন ঢলে পড়বেন এমন অবস্থা শরীরের। ভদ্রলোকের চেহারার চেয়ে চোখ দুটি অস্বাভাবিক রকম বড়। দেখলেই মনে হয় যেন বড় বড় সাইজের দুটি জলপাই কেউ খোদাই করে বসিয়ে দিয়েছে।
ভদ্রলোক খুবই ভালো মানুষ। উনার সমস্যা একটিই- ক্লাসে উনি যতটা না বায়োলজি পড়ান, তারচেয়ে বেশি দর্শন চর্চা করেন। ধর্ম কোথা থেকে আসলো, ঠিক কবে থেকে মানুষ ধার্মিক হওয়া শুরু করলো, ‘ধর্ম আদতে কী’ আর, ‘কী নয়’ তার গল্প করেন।
আজকে উনার চতুর্থ ক্লাস। পড়াবেন Analytical techniques & bio-informatics। চতুর্থ সেমিস্টারে এটা পড়ানো হয়।
স্যার এসে প্রথমে বললেন, ‘Good morning, guys….’
সবাই সমস্বরে বললো, ‘Good morning, sir…’
এরপর স্যার জিজ্ঞেস করলেন, ‘সবাই কেমন আছো?’
স্যারের আরো একটি ভালো দিক হলো উনি ক্লাসে এলে এভাবেই সবার কুশলাদি জিজ্ঞেস করেন। সাধারণত হায়ার লেভেলে যেটা সব শিক্ষক করেন না। তাঁরা রোবটের মতো ক্লাসে আসেন,যন্ত্রের মতো করে লেকচারটা পড়িয়ে বেরিয়ে যান। সেদিক থেকে মফিজুর রহমান নামের এই ভদ্রলোক অনেকটা অন্যরকম।
আবারো সবাই সমস্বরে উত্তর দিলো। কিন্তু গোলমাল বাঁধলো এক জায়গায়। শিক্ষার্থীদের মধ্যে কয়েকজন উত্তর দিয়েছে এভাবে- ‘আলহামমমমদুলিল্লাহ ভালো।’
স্যার কপালের ভাঁজ একটু দীর্ঘ করে বললেন,- ‘আলহামদুলিল্লাহ ভালো বলেছো কে কে?’
অদ্ভুত প্রশ্ন। সবাই থতমত খেলো। একটু আগেই বলেছি স্যার একটু অন্যরকম। প্রাইমারি লেভেলের টিচারদের মতো ক্লাসে এসে বিকট চিৎকার করে Good Morning বলেন, সবাই কেমন আছে জানতে চান। এখন ‘আলহামদুলিল্লাহ’ বলার জন্য কি প্রাইমারি লেভেলের শিক্ষকদের মতো বেত দিয়ে পিটাবেন নাকি?
সাজিদের তখন তার প্রাইমারি স্কুলের শিক্ষক বাবুল চন্দ্র দাশের কথা মনে পড়ে গেলো। এই লোকটা ক্লাসে কেউ দুটোর বেশি হাঁচি দিলেই বেত দিয়ে আচ্ছামতন পিটাতেন। উনার কথা হলো- ‘হাঁচির সর্বোচ্চ পরিমাণ হবে দু’টি। দু’টির বেশি হাঁচি দেওয়া মানে ইচ্ছে করেই বেয়াদবি করা।’ যাহোক, বাবুল চন্দ্রের পাঠ তো কবেই চুকেছে, এবার মফিজ চন্দ্রের হাতেই না গণপিটুনি খাওয়া লাগে!
ক্লাসের সর্বমোট সাতজন দাঁড়ালো। এরা সবাই ‘আলহামদুলিল্লাহ্ ভালো’ বলেছে। এরা হচ্ছে- রাকিব, আদনান, জুনায়েদ, সাকিব, মরিয়ম, রিতা এবং সাজিদ। স্যার সবার চেহারাটা একটু ভালোমতো পরখ করে নিলেন। এরপর ফিক করে হেসে দিয়ে বললেন, ‘বসো।’
সবাই বসলো। আজকে আর মনে হয় এ্যাকাডেমিক পড়াশুনা হবে না। দর্শনের তাত্ত্বিক আলাপ হবে।
ঠিক তাই হলো। মফিজুর রহমান স্যার আদনানকে দাঁড় করালেন। বললেন, ‘তুমিও বলেছিলে সেটা, না?’
– ‘জ্বি স্যার।’ আদনান উত্তর দিলো।
স্যার বললেন, ‘আলহামদুলিল্লাহ্’র অর্থ কি জানো?’
আদনান মনে হয় একটু ভয় পাচ্ছে। সে ঢোক গিলতে গিলতে বললো, ‘জ্বি স্যার, আলহামদুলিল্লাহ্ অর্থ হলো- সকল প্রশংসা কেবলই আল্লাহর।’
স্যার বললেন, ‘সকল প্রশংসা কেবলই আল্লাহর।’
স্যার এই বাক্যটি দু’বার উচ্চারণ করলেন। এরপর আদনানের দিকে তাকিয়ে বললেন, ‘বসো।’
আদনান বসলো। এবার স্যার রিতাকে দাঁড় করালেন। স্যার রিতার কাছে জিজ্ঞেস করলেন, ‘আচ্ছা, পৃথিবীতে চুরি-ডাকাতি আছে?’
রিতা বললো, ‘আছে।’
– ‘খুন-খারাবি, রাহাজানি, ধর্ষণ?’
– ‘জ্বি, আছে।’
– ‘কথা দিয়ে কথা না রাখা, মানুষকে ঠকানো, লোভ-লালসা এসব?’
– ‘জ্বি, আছে।’
– ‘এগুলো কি প্রশংসাযোগ্য?’
– ‘না।’
– ‘তাহলে মানুষ একটি ভালো কাজ করার পর তার সব প্রশংসা যদি আল্লাহর হয়, মানুষ যখন চুরি-ডাকাতি করে, লোক ঠকায়, খুন-খারাবি করে, ধর্ষণ করে, তখন সব মন্দের ক্রেডিট আল্লাহকে দেওয়া হয় না কেনো? উনি প্রশংসার ভাগ পাবেন, কিন্তু দুর্নামের ভাগ নিবেন না, তা কেমন হয়ে গেলো না?’
রিতা মাথা নিচু করে চুপ করে আছে। স্যার বললেন, ‘এখানেই ধর্মের ভেল্কিবাজি। ঈশ্বর সব ভালোটা বুঝেন, কিন্তু মন্দটা থেকে নিজেকে গুটিয়ে নিয়েছেন। আদতে ঈশ্বর বলে কেউ নেই। যদি থাকতেন, তাহলে তিনি এরকম একচোখা হতেন না। বান্দার ভালো কাজের ক্রেডিটটা নিজে নিয়ে নিবেন, কিন্তু বান্দার মন্দ কাজের বেলায় বলবেন- ‘উঁহু, ওইটা থেকে আমি পবিত্র। ওইটা তোমার ভাগ।”
স্যারের কথা শুনে ক্লাসে যে ক’জন নাস্তিক আছে, তারা হাততালি দেওয়া শুরু করলো। সাজিদের পাশে যে নাস্তিকটা বসেছে, সে তো বলেই বসলো, ‘মফিজ স্যার হলেন আমাদের বাংলার প্লেটো।’
স্যার বলেই যাচ্ছেন ধর্ম আর স্রষ্টার অসারতা নিয়ে।
এবার সাজিদ দাঁড়ালো। স্যারের কথার মাঝে সে বললো, ‘স্যার, সৃষ্টিকর্তা একচোখা নন। তিনি মানুষের ভালো কাজের ক্রেডিট নেন না। তিনি ততটুকুই নেন, যতটুকু তিনি পাবেন। ঈশ্বর আছেন।’
স্যার সাজিদের দিকে একটু ভালোমতো তাকালেন। বললেন, ‘শিওর?’
– ‘জ্বি।’
– ‘তাহলে মানুষের মন্দ কাজের জন্য কে দায়ী?’
– ‘মানুষই দায়ী।’ সাজিদ বললো।
– ‘ভালো কাজের জন্য?’
– ‘তাও মানুষ।’
স্যার এবার চিৎকার করে বললেন, ‘এক্সাক্টলি, এটাই বলতে চাচ্ছি। ভালো/মন্দ এসব মানুষেরই কাজ। সো, এর সব ক্রেডিটই মানুষের। এখানে স্রষ্টার কোনো হাত নেই। সো, তিনি এখান থেকে না প্রশংসা পেতে পারেন, না তিরস্কার। সোজা কথায়, স্রষ্টা বলতে কেউই নেই।’
ক্লাসে পিনপতন নিরবতা। সাজিদ বললো, ‘মানুষের ভালো কাজের জন্য স্রষ্টা অবশ্যই প্রশংসা পাবেন। কারণ, মানুষকে স্রষ্টা ভালো কাজ করার জন্য দুটি হাত দিয়েছেন, ভালো জিনিস দেখার জন্য দুটি চোখ দিয়েছেন, চিন্তা করার জন্য মস্তিষ্ক দিয়েছেন, দুটি পা দিয়েছেন। এসবকিছুই স্রষ্টার দান। তাই ভালো কাজের জন্য তিনি অবশ্যই প্রশংসা পাবেন।’
স্যার বললেন, ‘এইগুলো দিয়ে তো মানুষ খারাপ কাজও করে, তখন?’
– ‘এর দায় স্রষ্টার নয়।’
– ‘হা হা হা হা। তুমি খুব মজার মানুষ দেখছি। হা হা হা হা।’
সাজিদ বললো, ‘স্যার, স্রষ্টা মানুষকে একটি স্বাধীন ইচ্ছাশক্তি দিয়েছেন। এটা দিয়ে সে নিজেই নিজের কাজ ঠিক করে নেয়। সে কি ভালো করবে, না মন্দ।’
স্যার তিরস্কারের সুরে বললেন, ‘ধর্মীয় কিতাবাদির কথা বাদ দাও, ম্যান। কাম টু দ্য পয়েন্ট এন্ড বি লজিক্যাল।’
সাজিদ বললো, ‘স্যার, আমি কি উদাহরণ দিয়ে বোঝাতে পারি ব্যাপারটা?’
– ‘অবশ্যই।’ স্যার বললেন।
সাজিদ বলতে শুরু করলো-
‘ধরুন, খুব গভীর সাগরে একটি জাহাজ ডুবে গেলো। ধরুন, সেটা বার্মুডা ট্রায়াঙ্গল। এখন কোনো ডুবুরিই সেখানে ডুব দিয়ে জাহাজের মানুষগুলোকে উদ্ধার করতে পারছে না। বার্মুডা ট্রায়াঙ্গলে তো নয়ই। এই মুহূর্তে ধরুন সেখানে আপনার আবির্ভাব ঘটলো। আপনি সবাইকে বললেন, ‘আমি এমন একটি যন্ত্র বানিয়ে দিতে পারি, যেটা গায়ে লাগিয়ে যে কোনো মানুষ খুব সহজেই ডুবে যাওয়া জাহাজের মানুষগুলোকে উদ্ধার করতে পারবে। ডুবুরির কোনোরকম ক্ষতি হবে না।’
স্যার বললেন, ‘হুম, তো?’
– ‘ধরুন, আপনি যন্ত্রটি তৎক্ষণাৎ বানালেন এবং একজন ডুবুরি সেই যন্ত্র গায়ে লাগিয়ে সাগরে নেমে পড়লো ডুবে যাওয়া মানুষগুলোকে উদ্ধার করতে।’
ক্লাসে তখন একদম পিনপতন নিরবতা। সবাই মুগ্ধ শ্রোতা। কারো চোখের পলকই যেনো পড়ছে না।
সাজিদ বলে যেতে লাগলো-
‘ধরুন, ডুবুরিটা ডুব দিয়ে ডুবে যাওয়া জাহাজে চলে গেলো। সেখানে গিয়ে সে দেখলো মানুষগুলো হাঁসফাস করছে। সে একে একে সবাইকে একটি করে অক্সিজেনের সিলিন্ডার দিয়ে দিলো। এবং তাদের একজন একজন করে উদ্ধার করতে লাগলো।’
স্যার বললেন, ‘হুম।’
– ‘ধরুন, সব যাত্রীকে উদ্ধার করা শেষ। বাকি আছে মাত্র একজন। ডুবুরিটা যখন শেষ লোকটাকে উদ্ধার করতে গেলো, তখন ডুবুরিটা দেখলো এই লোকটাকে সে আগে থেকেই চিনে।’
এতটুকু বলে সাজিদ স্যারের কাছে প্রশ্ন করলো, ‘স্যার, এরকম কি হতে পারে না?’
স্যার বললেন, ‘অবশ্যই হতে পারে। লোকটা ডুবুরির আত্মীয় বা পরিচিত হয়ে যেতেই পারে। অস্বাভাবিক কিছু নয়।’
সাজিদ বললো, ‘জ্বি। ডুবুরিটা লোকটাকে চিনতে পারলো। সে দেখলো, এটা হচ্ছে তার চরম শত্রু। এই লোকের সাথে তার দীর্ঘদিনের বিরোধ চলছে। এরকম হতে পারে না, স্যার?’
– ‘হ্যাঁ, হতে পারে।’
সাজিদ বললো, ‘ধরুন, ডুবুরির মধ্যে ব্যক্তিগত হিংসাবোধ জেগে উঠলো। সে শত্রুতাবশত ঠিক করলো যে এই লোকটাকে সে বাঁচাবে না। কারণ, লোকটা তার দীর্ঘদিনের শত্রু। সে একটা চরম সুযোগ পেলো এবং প্রতিশোধপরায়ণ হয়ে উঠলো। ধরুন, ডুবুরি ওই লোকটাকে অক্সিজেনের সিলিন্ডার তো দিলোই না, উল্টো উঠে আসার সময় লোকটাকে পেটে একটা জোরে লাথি দিয়ে আসলো।’
ক্লাসে তখনও পিনপতন নিরবতা। সবাই সাজিদের দিকে একদৃষ্টে তাকিয়ে আছে।
স্যার বললেন, ‘তো, তাতে কী প্রমান হয়, সাজিদ?’
সাজিদ স্যারের দিকে ফিরলো। ফিরে বললো, ‘Let me finish my beloved sir….’
– ‘Okay, you are permitted to carry on.’ স্যার বললেন।
সাজিদ এবার স্যারকে প্রশ্ন করলো, ‘স্যার, বলুন তো, এই যে এতগুলো ডুবে যাওয়া লোককে ডুবুরিটা উদ্ধার করে আনলো, এর জন্য আপনি কি কোন ক্রেডিট পাবেন?’
স্যার বললেন, ‘অবশ্যই আমি ক্রেডিট পাবো। কারণ, আমি যদি ওই বিশেষ যন্ত্রটি না বানিয়ে দিতাম, তাহলে তো এই লোকগুলোর কেউই বাঁচতো না।’
সাজিদ বললো, ‘একদম ঠিক স্যার। আপনি অবশ্যই এর জন্য ক্রেডিট পাবেন। কিন্তু আমার পরবর্তী প্রশ্ন হচ্ছে, ডুবুরিটা সবাইকে উদ্ধার করলেও একজন লোককে সে শত্রুতাবশত উদ্ধার না করে মৃত্যুকূপে ফেলে রেখে এসেছে। আসার সময় তার পেটে একটি জোরে লাথিও দিয়ে এসেছে। ঠিক?’
– ‘হুম।’
– ‘এখন স্যার, ডুবুরির এহেন অন্যায়ের জন্য কি আপনি দায়ী হবেন? ডুবুরির এই অন্যায়ের ভাগটা কি সমানভাবে আপনিও ভাগ করে নেবেন?’
স্যার বললেন, ‘অবশ্যই না। ওর দোষের ভাগ আমি কেন নেবো? আমি তো তাকে এরকম অন্যায় কাজ করতে বলিনি। সেটা সে নিজে করেছে। সুতরাং এর পুরো দায় তার।’
সাজিদ এবার হাসলো। হেসে সে বললো, ‘স্যার, ঠিক একইভাবে আল্লাহ তা’আলা মানুষকে সৃষ্টি করেছেন ভালো কাজ করার জন্য। আপনি যেরকম ডুবুরিকে একটা বিশেষ যন্ত্র বানিয়ে দিয়েছেন, সেরকম সৃষ্টিকর্তাও মানুষকে অনুগ্রহ করে হাত, পা, চোখ, নাক, কান, মুখ, মস্তিষ্ক এসব দিয়ে দিয়েছেন। সাথে দিয়েছেন একটি স্বাধীন ইচ্ছাশক্তি। এখন এসব ব্যবহার করে সে যদি কোনো ভালো কাজ করে, তার ক্রেডিট স্রষ্টাও পাবেন, যেরকম বিশেষ যন্ত্রটি বানিয়ে আপনি ক্রেডিট পাচ্ছেন। আবার, সে যদি এগুলো ব্যবহার করে কোনো খারাপ কাজ করে, গর্হিত কাজ করে, তাহলে এর দায়ভার স্রষ্টা নেবেন না। যেরকম, ডুবুরির ওই অন্যায়ের দায় আপনার উপর বর্তায় না। আমি কি বোঝাতে পেরেছি, স্যার?’
ক্লাসে এতক্ষণ ধরে পিনপতন নিরবতা বিরাজ করছিলো। এবার ক্লসের সকল আস্তিকেরা মিলে একসাথে জোরে জোরে হাততালি দেওয়া শুরু করলো।
স্যারের জবাবের আশায় সাজিদ স্যারের দিকে তাকিয়ে আছে। স্যার বললেন, ‘হুম। আই গট দ্য পয়েন্ট।’ এই বলে স্যার সেদিনের মতো ক্লাস শেষ করে চলে যান।
(এটি ‘সাজিদ’ সিরিজের ৩য় পর্ব। সাজিদ একটি কাল্পনিক চরিত্র। এই চরিত্রটি কাল্পনিক নানান ঘটনাপ্রবাহের মাধ্যমে নাস্তিক তথা ইসলাম ধর্মবিদ্বেষীদের যুক্তিগুলোকে দর্শন, যুক্তি, বিজ্ঞান আর বাস্তবতার আলোকে খণ্ডন করে)
মুসলিম মিডিয়া ব্লগের কার্যক্রম অব্যাহত রাখা সহ তা সামনের দিকে এগিয়ে নিতে আপনার সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিন। ব্লগ পরিচালনায় প্রতি মাসের খরচ বহনে আপনার সাহায্য আমাদের একান্ত কাম্য। বিস্তারিত জানতে এখানে ভিজিট করুন।
নিচে মন্তব্যের ঘরে আপনাদের মতামত জানান। ভালো লাগবে আপনাদের অভিপ্রায়গুলো জানতে পারলে। আর লেখা সম্পর্কিত কোন জিজ্ঞাসার উত্তর পেতে অবশ্যই "ওয়ার্ডপ্রেস থেকে কমেন্ট করুন"।