লাইফ ইন জাহাঙ্গীরনগর: পর্ব ০১ – হল লাইফ

এই লেখায় স্মৃতিচারণের চেয়ে বেশি থাকবে আমার কিছু মূল্যায়ন ও মন্তব্য। এগুলো লেখাটাই মূল উদ্দেশ্য, স্মৃতিচারণটা কেবল ছুতো।

আমার ভার্সিটি লাইফ: একটু ভিন্ন চোখে দেখা

ভার্সিটি মানেই একটি নতুন জগৎ, যেখানে থাকে অনেক রঙিন স্বপ্ন আর অফুরন্ত স্বাধীনতা। আর এ বিশ্বাস সামনে রেখেই প্রত্যেকের ভার্সিটি লাইফ শুরু হয়। যেমনটি হয়েছিলো আমারও। কিন্তু পথিমধ্যে নানান ঘটনা পরিক্রমায় এক একজনের জীবন মোড় নেয় এক এক দিকে। আর এমনি কিছু লাইফ স্টাইলকে বাস্তবতার আঙ্গিকে তুলে ধরতে এই লিখা।

বিশ্ববিদ্যালয়ের জাহিলিয়াত

একটা ইন্ট্রেস্টিং বিষয় হচ্ছে প্রত্যেক নবীই মেষ পালন করতেন কিংবা ছাগল চরাতেন। কারণ মানবজাতির আচরণ অনেকটা ছাগল ভেড়ার মতো। এদেরকে এক পালে ঐক্যবদ্ধ রাখা খুবই কষ্টসাধ্য কাজ। আমরা যারা এই আধুনিক যুগে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ি কিংবা কোনো সহশিক্ষার অঙ্গনে যাতায়াত রয়েছে, তাদের সবারই অভিজ্ঞতা আছে মানুষের এই ছাগলপ্রবণতা অনুভব করার।

এক অনিশ্চিত দুরাশা

বিশ্ববিদ্যালয়ের এই তারুণ্যের গন্ডিতে খেই হারিয়ে ফেলে অনেকেই এমন হয়। কিন্তু কয়েক বছর পর বাস্তব জীবনের তিক্ত অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হবার পর নাকি আস্তে আস্তে সব ঠিক হয়ে যায়। আবার নাকি পুরনো ধর্মপরায়ণতা ফিরে আসে। সংসারের যাঁতাকলে পিষ্ট হয়ে দুনিয়াবি দায়িত্ববোধটা ফিরে আসলেও হারানো ধর্মপরায়ণতা ফিরে আসে কি?