আমি মদিনাতে পড়াশুনা করেছি। তাই তারা আমাকে বললো “আমাদের স্কুলে এসে ইসলামিক স্টাডিজ পড়িয়ে যান”। আপনার যদি শিক্ষক হিসেবে পড়ানোর অভিজ্ঞতা না থাকে তাহলে কা...
সুমাইয়া বাবা-মা'র একমাত্র মেয়ে। ছোটবেলা থেকেই তার মধ্যে কিছু এক্সট্রা-অর্ডিনারি গুণ রয়েছে। তাই বাবা-মা'ও তাকে একটু বেশি আদর করে এবং তার চাওয়া-পাওয়ার ক...
আল্লাহ্ আমাদের পাপ মুক্তির এবং নতুন করে নবজাতকের মতো নিষ্পাপ হিসেবে জীবন শুরু করার বিশাল এক সুযোগ দেন হাজ্জের মাধ্যমে। তাই ফিরে এসে সচেষ্ট থাকা উচিৎ নিজের জীবনকে ইসলামের দিকে ধাবিত করার, হাজ্জের অভিজ্ঞতা ও উপলব্ধিগুলো মনে রেখে সেই অনুযায়ী মানুষের সাথে ব্যবহার করার।
একটা শান্তির গল্প বলি। কয়েকদিন আগে আমার মা স্বপ্নে তাঁর ছোট মামাকে দেখেছিলেন। দেখেছিলেন যে, তিনি হাস্যোজ্জ্বল, শান্তির ছাপ তাঁর সুন্দর অবয়বে স্পষ্ট। বললেন, "নিশ্চয় মামা কবরে অনেক শান্তিতে আছেন, কী সুন্দর দেখাচ্ছিলো তাঁকে।"
আমি মনে মনে ভাবলাম, "মাশাআল্লাহ্, কেন থাকবেন না? যিনি এইরকম একটা সন্তান পৃথিবীতে রেখে গেছেন, তাঁর কি সম্পদের কোনো কমতি থাকতে পারে?"
ঐ সন্তানটি হলেন তিনিই, যার বাড়িতে গত ডিসেম্বরের বরিশাল সফরে থেকেছিলাম। আমার আল-আমিন মামার বাড়ি।
এত দিন হাজ্জ সঠিক উপায়ে পালন করে গুনাহ মুক্তির আকাঙ্ক্ষায়, আল্লাহ্কে খুশি করার এক নির্দিষ্ট লক্ষ্যে আমাদের সবার মন এতটাই কেন্দ্রীভূত ছিলো যে, আজ হঠাৎ করে নিজেদের লক্ষ্যহীন ও অসম্ভব হালকা মনে হচ্ছে। যদিও হাজ্জ শেষ হবার পর আসল উদ্দেশ্য শুরু হয় জীবনে, তা হলো আল্লাহ্র ইচ্ছায় হাজ্জ হতে প্রাপ্ত শিক্ষা কাজে লাগিয়ে জীবনে পজিটিভ পরিবর্তন আনা। কারণ কবুল হাজ্জের অন্যতম লক্ষণ হলো জীবনযাত্রায় ও ইবাদাতে পরিবর্তন আসা।
তাশরিকের দিনে হাজীগণের ব্যস্ততা কম থাকে। দশ যিলহাজ্জ যারা তওয়াফ ও সা’ঈ করেছেন, সারাদিন তাঁরা মিনাতে অবস্থান করেন। সূর্য ঢলে পড়ার পর তিনটি জামারাতে পাথর মারেন।
ত্যাগের মহিমায় অনন্য যিলহাজ্জ মাসের দশ তারিখ, সারা বছরে আল্লাহ্র নিকট সর্বাধিক পছন্দের দিন। কারণ এ দিনে আল্লাহ্কে সন্তুষ্ট করার অভিপ্রায়ে সারা পৃথিবীর কোটি কোটি মানুষ কুরবানি করেন। এ দিন একই সাথে ত্যাগ স্বীকারের, শুকরানা আদায়ের ও উৎসব উদযাপনের দিন।
ভার্সিটি মানেই একটি নতুন জগৎ, যেখানে থাকে অনেক রঙিন স্বপ্ন আর অফুরন্ত স্বাধীনতা। আর এ বিশ্বাস সামনে রেখেই প্রত্যেকের ভার্সিটি লাইফ শুরু হয়। যেমনটি হয়েছিলো আমারও। কিন্তু পথিমধ্যে নানান ঘটনা পরিক্রমায় এক একজনের জীবন মোড় নেয় এক এক দিকে। আর এমনি কিছু লাইফ স্টাইলকে বাস্তবতার আঙ্গিকে তুলে ধরতে এই লিখা।
আরাফাত থেকে প্রায় ছয় কিলোমিটার এবং মক্কা থেকে প্রায় চৌদ্দ কিলোমিটার দূরে, ১২.২৫ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে, মাশআরুল হারামের পাদদেশে মুযদালিফা অবস্থিত। সেখানে আমরা আজ খোলা আকাশের নিচে রাত কাটাবো। জীবনে কখনো এভাবে রাত্রি যাপনের কথা চিন্তা করিনি।
আরাফাতের দিনের সবচেয়ে বড় ইবাদাত হলো আল্লাহ্র দরবারে কাকুতি মিনতি করে কান্নাকাটি করে দু'আ করা, একান্ত অন্তঃকরণে ক্ষমা ভিক্ষা চাওয়া। এই সময়ে কোনো ফরয/নির্দিষ্ট ইবাদাত/সালাত রাখা হয়নি। আমাদের জীবনের সকল চাওয়া, বাসনা তাঁর নিকট ব্যক্ত করার জন্য আরাফাতের দিনের মতো শ্রেষ্ঠ সময় আর কী হতে পারে!!