একমানুষ স্বভাবতই গল্প শুনতে পছন্দ করে, বিশেষ করে জীবনের গল্প। আর মানুষের জীবনে বহু গল্পই থাকে। তবে সব গল্পের গুরুত্ব সমান হয় না। এই যেমন প্রথম উপহার পাওয়ার গল্প, প্রথম স্কুলে যাওয়ার গল্প, প্রথম মসজিদে যাওয়ার গল্প, প্রথম সিয়াম পালনের গল্প, বেড়াতে যাওয়ার গল্প, বিয়ের গল্প ইত্যাদি। আর এগুলো আমাদের কাছে একেকরকম গুরুত্ব পায়। তবে জীবনের সেরা গল্প সেটিই হয় যেখানে নিজেকে সত্যিকার মানুষের চরিত্রে খুঁজে পাওয়া যায়। আর সত্যিকার মানুষ সে-ই যে তার সৃষ্টিকর্তার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে কোনরকম কার্পণ্যবোধ করে না।
আজকে যে গল্পটি বলবো সেটি আমার জীবনে ঘটে যাওয়া কিছু ঘটনা নিয়েই। আর তা হলো আমার প্রত্যাবর্তনের গল্প। প্রত্যাবর্তন শব্দটি শুনতেই যেন আমাদের মধ্যে এক প্রকার প্রাপ্তি কাজ করে। যেমন সন্তান তার মাকে হারিয়ে আবার খুঁজে পাওয়া, পথিক তার পথ ভুলে গিয়ে আবার সঠিক পথের সন্ধান পাওয়া, কোন নেতার নির্বাসন শেষে স্বদেশে প্রত্যাবর্তন করা ইত্যাদি। আর এই খুঁজে পাওয়া কিংবা ফিরে পাওয়াটা যদি হয় আদর্শ কিংবা অস্তিত্বের তাহলে প্রাপ্তিটাও হয়ে উঠে অফুরন্ত। যেখানে প্রত্যাবর্তন মানে কেউ তার রব্বের দিকে ফিরে আসা। আর তেমনি একটি ফিরে আসার গল্প নিয়ে এই লেখা (ইনশা আল্লাহ্)।
দুইতখন সবে মাত্র বুঝতে শুরু করেছি। ক্লাস ওয়ান কিংবা টু’তে পড়ি। বাবা দেশের বাইরে থাকাতে দাদা ও চাচাদের সাথে আমি আর আমার ছোট বোন প্রায়ই শুক্রবারে মসজিদে যাওয়ার আবদার করতাম। তারা কখনো আমাকে নিয়ে যেতেন, আবার কখনো আমাদের দু’জনকেই নিয়ে যেতেন।
এদিকে সকাল বেলায় মক্তবে যাওয়া ছিলো বাধ্যতামূলক। তাই ফাঁকি দেওয়ার কোন সুযোগ ছিলো না। এছাড়া মক্তবের হুজুর দাদাকে খুব ভয় পেতাম। তাই কান ধরে উঠা-বসা করার ভয়ে প্রায় সময়ই মক্তবে যেতে যেতে (হাঁটতে হাঁটতে) ফজর নামাজ আদায় করতাম।
উপরের ঘটনা দু’টি লক্ষ্য করলে দেখা যাবে ফিতরাত, পরিবেশ আর ওস্তাদের ভয়েই তা ঘটেছে। কারণ তখনও আমি নিজেকে বুঝতে শিখিনি, আমার লক্ষ্য জানতাম না, এমনকি ভালো-মন্দটাও ঠিকমত বুঝতাম না। কিন্তু তবুও কিছু ভালো কাজের আগ্রহ ফিতরাত থেকেই পেয়েছিলাম, আর কিছু ভালো কাজ পরিবেশ থেকেই শিখে নিয়েছিলাম।
কিন্তু বয়স আর পারিপার্শ্বিকতার পরিবর্তনের সাথে সাথে আমিও যেন পরিবর্তন হতে শুরু করলাম। মক্তবের কুরআন পড়াই যেন হয়ে গেল ধর্মীয় বড় অর্জন, আর সাপ্তাহিক জুমু’আর সালাত এবং মাঝেমধ্যে মাগরিবের সালাত আদায় করাই যেন হয়ে গেল আমার মুসলিম পরিচয়ের জন্য যথেষ্ট। তবে আমার লেখাপড়া, খেলাধুলা, টিভি দেখা, গান শুনা এগুলো কিন্তু ঠিকঠাকই চলতো। এই যেমন বিটিভির সাপ্তাহিক সিনেমা, রাত ৯ টার বিশেষ নাটক, এফএম রেডিওর পাগলামি ইত্যাদি সবই ছিল রুটিন মাফিক। অভিভাবকরাও এসবের সুযোগ দিতেন নির্দিষ্ট পরিমাণ লেখাপড়া কমপ্লিট করার বিনিময়ে। এছাড়া ছুটির দিনের সারাবেলা মাঠেঘাটে খেলাধুলা করেই চলে যেত। তার উপর পরীক্ষা আর পরীক্ষার ফলাফলের একটা ঝামেলা তো থাকতোই। একবার তো পরীক্ষার ফলাফল ঘোষণার পূর্বে আব্বার ভয়ে কাকার শ্বশুরবাড়িতেই বেড়াতে চলে গেছিলাম। কারণ আমার স্কুলে আমার কম্পিটিটর যে ছিল সে ছিল মেয়ে। তাই মনে হয় বাবা তার ছেলেকে ঐ মেয়ের কাছে হেরে যাওয়া দেখতে চায়নি। তবে আল্লাহ্ আমাকে ঐ কম্পিটিশনে হারায় নি।
এভাবেই চলছিল আমার মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক জীবনের বেশ লম্বা একটি সময়। যেখানে আর যাই করো না কেন, লেখাপড়াই মুখ্য। অর্থাৎ তুমি লেখাপড়া করতে গিয়ে গান শুনতে পারো, গান গাইতে পারো, সিনেমা দেখতে পারো, সালাত ছাড়তে পারো, সিয়াম ভাঙতে পারো কোন সমস্যা নেই। তবে লেখাপড়া ঠিক চাই। কিন্তু ইসলাম থেকে এতো কিছু কাটছাঁট করে কি আর সত্যিকারের জ্ঞানী হওয়া যায়? বর্তমান ছাত্রদের চলাফেরা আর কলেজ-ভার্সিটির হলগুলোর অবস্থা দেখলেই এই প্রশ্নের উত্তর পেয়ে যাবো নিশ্চিত।
তিনএবার আসি আমার প্রত্যাবর্তনের গল্পে। এইচএসসি পরীক্ষা শেষে কোচিং করতে ঢাকা আসলাম। যদিও আমি আগে থেকেই ঢাকা শহরকে তেমন পছন্দ করতাম না তবুও এক্ষেত্রে আসতে একপ্রকার বাধ্যই ছিলাম। শুরুতে সবই আগের মতো চলছিল, কিন্তু হঠাৎ খুব অসুস্থ হয়ে গেলাম। আর এই অসুস্থতা প্রায় দেড় মাস স্থায়ী ছিল। এতে আমার চেয়ে আমার বাবা-মা, চাচা-মামারাই মনে হয় বেশি চিন্তিত ছিল। যাক একটা সময় পর আল্লাহ্ সুস্থ করেন। আর তখন থেকেই হয়তো মৃত্যুর কথা একটু বেশি মাথায় থাকতো।
এদিকে এই লম্বা ছুটিতে কোচিং এর বারোটা বেজে গেছে, আর আমিও আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছি। সব মিলিয়ে ঢাকা ছেড়ে বাড়ি যাওয়ার অপেক্ষা করছি। আবার ভর্তি পরীক্ষা শেষ না করেও যেতে পারছি না। এদিকে বাবা-মা বসে আছে ছেলে কোথাও চান্স পাবে এ আশা নিয়ে। সব মিলিয়ে একটি ক্রিটিকাল সিচুয়েশন চলছিল। যাক বুয়েট-মেডিকেল-ঢাবির ভর্তি পরীক্ষায় যথাযথ ব্যর্থতার সাথে এবার বাড়ি যাওয়ার পালা। অসুস্থতার কারণে আমার এ ব্যর্থতাকে সবাই স্বাভাবিকভাবে নিলেও আমার আব্বা তা সহজে নিতে পারছিলেন না। তাই বাড়িতে এসেও সময়টা একটু কঠিনই যাচ্ছিল। এদিকে তিন-চারটা ভর্তি পরীক্ষা এখনও বাকি ছিল। তাই আবার একটু একটু প্রস্তুতি নিতে শুরু করলাম, আর আল্লাহর কাছে চাইতে থাকলাম। অবশেষে দুটিতে ভর্তি হওয়ার যোগ্যতা অর্জন করে ফেললাম। সাথে সাথে আমার রব্বের দয়াটাও খুব অনুভব করলাম।
কোচিং এর কয়েক মাসে ঘটে যাওয়া বেশ কিছু ঘটনা পেরিয়ে যখন আমি ভার্সিটিতে যাচ্ছিলাম, তখন ভাবছিলাম আমার জন্য আল্লাহর পরিকল্পনা কতোই না চমৎকার। যে আমি অসুস্থ হয়ে বেঁচে থাকার আশা ছেড়ে দিয়েছিলাম, সে আমিই আজ ভার্সিটিতে পড়তে যাচ্ছি। অর্থাৎ এই অসুস্থতাই তখন আমার জীবন নিয়ে আমাকে নতুনভাবে ভাবতে শিখিয়েছে।
ভার্সিটিতে এসেই যে বড় ভাইয়ের সাথে মেসে উঠেছিলাম তার প্রতি আমি অনেক কৃতজ্ঞ। কারণ উনার সাথে থেকেই ফজর নামাজটা সময়মত আদায় করার অভ্যাস হয়েছিল। তবে তখনও অনেক কিছু বাকি ছিল। এই যেমন গান শুনা, দাড়ি না রাখা, প্যান্টটা প্রায়ই টাখনুর নিচে ঝুলে থাকা ইত্যাদি সবই আগের মতো চলছিল। তবে পরিবর্তনের ছোঁয়াটা এখান থেকেই শুরু হয়েছিল, জীবনের গতিপথ পরিবর্তনের সিদ্ধান্তটা তখনই নেয়া হয়। আর আমার প্রতিপালক হয়তো এমনটাই চেয়েছিলেন।
অতঃপর ২-৩ মাস যেতে না যেতেই সবাই মেস চেঞ্জ করার সিদ্ধান্ত নিলো, আর আমিও চলে গেলাম এক বড় ভাইয়ের সাথে নতুন আরেক মেসে। ওখানে গিয়েও ভালো কিছু বড় ভাই পেয়ে যাই। তবে দ্বীনী অবস্থার তেমন বড় কোন পরিবর্তন আসেনি। প্রায় ৬-৭ মাস পর আবার মেস পরিবর্তন করার সিদ্ধান্ত নেই। তবে এবার ক্লাসমেটদের সাথে উঠবো বলে ঠিক করেছি। আর নতুন মেসে আসতেই পেয়েছিলাম একজন ভালো বন্ধু। যে কিনা আমার দিক পরিবর্তনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। আর এটাও ছিলো আমার প্রতি আমার রব্বের বিশেষ করুণা।
দিন যত যাচ্ছিলো, নিজের চিন্তা-ভাবনার পরিবর্তনও যেন ততোই দ্রুত হচ্ছিলো। নিজের মধ্যে লুকায়িত অসংগতিগুলো ধরা পড়ছিলো, পেছনে ফেলে আসা বিভিন্ন ভুল আর অন্যায়গুলোও চোখে ভাসছিল। ভাবতে থাকলাম যদি এতগুলো পাপকে পাপ মনে না করেই আমার মৃত্যুটা হয়ে যেতো, আর আমি যদি বেঁচে থাকার এই সুযোগটা না-ই পেতাম তাহলে তো আল্লাহর শাস্তি থেকে রক্ষা পাওয়ার মতো কোন সম্বলই আমার থাকতো না! তখন এই উপলব্ধিগুলোই ছিলো আমার প্রতি আমার রব্ব এর বিশেষ দয়া। আর এগুলো নিয়েই আমি ছুটে চলছিলাম শিকড়ের সন্ধানে।
একটা সময় নিজের মধ্যে একটা বড় পরিবর্তন চলে আসলো। এই যেমন মোবাইল ভর্তি কুরআন তিলাওয়াত আর শাইখদের লেকচার, প্যান্টটা টাখনুর উপর তুলে ফেলা, কথাবার্তায় অনেকটা শালীনতা চলে আসা ইত্যাদি সব মিলিয়ে ছোটখাটো একটা রেভ্যুলেশন ধরা যায়। তবে গুরুত্বপূর্ণ কিছু একটা তখনও বাকি ছিল মনে হচ্ছিল, আবার এটা তেমন সহজও মনে হচ্ছিলো না। কিন্তু এটা যে করতেই হবে। এ নিয়ে নিজের ভেতরে একপ্রকার যুদ্ধই চলছিল। হঠাৎ একদিন মুয়াজ্জিন সাহেবের একটি কঠিন কথায় সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেললাম আমি আজ থেকেই দাড়ি রেখে দিবো। শুরু হলো যুদ্ধ। প্রথম যখন মা’কে বলছিলাম আমার সিদ্ধান্তের কথা মা তেমন উৎসাহ না দিলেও মানা করেনি। কিন্তু পরিবারের অন্যরাই ছিল যত সমস্যার কারণ, বিশেষ করে আমার আব্বা। অতঃপর প্রথম মাসে বাড়িতে যেতেই সবাই একটু আন্দাজ করতে শুরু করলেও নিশ্চিত হতে পারলো না। কারণ তখনও দাড়ি তেমন লম্বা হয়নি। কিন্তু দ্বিতীয়বার যখন বাড়িতে গেলাম তখন সবাই নিশ্চিত। আর তখনই শুরু করলো নানা সন্দেহ আর দুশ্চিন্তা। যেমনটা আামাদের সমাজের প্রতিটা তরুণ মুসলিম ফেইস করে চলছে। তবে এক্ষেত্রে আল্লাহ আমাকে খুব দৃঢ়তা দিয়েছিলেন। আর এ দৃঢ়তা নিয়েই এখন পর্যন্ত পথ চলা। আলহামদুলিল্লাহ।
এদিকে দাড়ি রাখার পর চারপাশটা দ্রুত পরিবর্তন হতে শুরু করলো। এই যেমন খারাপ বন্ধুগুলো দূরে সরে যেতে থাকলো, ভালো কিছু দ্বিনি ভাই আল্লাহ্ মিলিয়ে দিলেন, ক্লাসের মেয়েগুলোর সাথেও কথাবার্তা অফ হয়ে গেল। অর্থাৎ আমার রব্বের দিকে প্রত্যাবর্তন করা আরেকটু সহজ হয়ে গেল। তারপরও দু-একটা বিষয় থেকে গেল। যেগুলো ছেড়ে দিতে তেমন একটা সময় লাগেনি। এই যেমন বন্ধুর সাথে মসজিদে যেতে যেতে সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলা ল্যাপটপে থাকা কিছু বাংলা নাটক ডিলিট করে দেয়া, ফেইসবুক থেকে সব ফিমেইল আইডি আনফ্রেন্ড করে দেয়া, ভার্সিটির ট্যুর নামক ছেলে-মেয়ের জাহেলিয়াত থেকে নিজেকে বিরত রাখা ইত্যাদি। আর এভাবেই শুরু হলো অন্ধকার থেকে আলোতে যাওয়ার যাত্রা। যা কিনা আমার রব্বের নিকট পৌঁছানোর আগ পর্যন্ত চলতেই থাকবে (ইনশা আল্লাহ)।
চারতবে এই পথচলায় শয়তান নানা কুটচাল নিয়ে সামনে হাজির হয়। এই যেমন প্রশাসনের ভয়, সমাজের সন্দেহ, পরীক্ষার ভাইভাতে অপ্রাসঙ্গিক প্রশ্ন ইত্যাদি। কিন্তু আল্লাহ্ তার বান্দাকে এসব থেকে খুব সুক্ষ্মভাবেই হিফাযত করতে সক্ষম। তাই এতে শয়তানের কাছে নিজেকে পরাজিত না ভেবে আল্লাহর কাছেই আশ্রয় চাওয়া প্রয়োজন। একবার তো এক শিক্ষক ক্লাসে সরাসরি বলেই দিলেন- এ ট্যুরে যারা যাবে না তাকে সামনের ল্যাব ভাইভাতে ফেল মার্কস দেয়া হবে। এতে অনেকেই রাজি হয়ে গেছিলো, কিন্তু আমরা দুই-একজন যে অনড় তা স্যার বুঝতে পারলেন এবং শেষ পর্যন্ত হাল ছেড়ে দিলেন। এমনকি আমি ভাইভাতে প্লাস মার্কসই পেয়ে গেলাম। কি আশ্চর্যকর পরিকল্পনা! আসলে আল্লাহ্ যা চান তাই হয়।
এরই মধ্যে আল্লাহ্ তা’আলা ইসলাম নিয়ে পড়াশোনার আগ্রহটা আগের চেয়ে বাড়িয়ে দিলেন। তাই বিভিন্ন শাইখদের লেকচার আর বই হয়ে উঠলো প্রিয় সঙ্গী। পাশাপাশি বেশ কিছু দ্বীনী হালাকায় অংশগ্রহণেরও সুযোগ পাই। এভাবেই ইসলামের জ্ঞানসমুদ্র থেকে কিছু মুক্তো নিজের জন্য কুড়াতে শুরু করি। আর এগুলো নিয়েই আজকের পথচলা। জানি একদিন এই পথ চলা থেমে যাবে, আর কোন সুযোগও পাবোনা। কিন্তু আমিহীন দুনিয়াটা হয়তো আগের মতোই রয়ে যাবে। সেদিন শুধু একটাই চাওয়া- আমার রব্ব যেন আমাকে তার রহমত থেকে নিরাশ না করেন। কারণ আমিতো তাঁরই দয়া প্রত্যাশী।
সবশেষে এতটুকুই বলবো- এ বিশাল লেখা আমাকে জানান দেয়া কিংবা বড় মনে করানোর জন্য নয়। কারণ শত কোটি মুসলিমের মধ্যে আমার অবস্থান কতোটা নিচে তা হয়তো আমি এবং আমার প্রতিপালকই ভালো জানেন। তবুও আল্লাহর দয়া ও ক্ষমার বিশালতার দিকে তাকিয়ে পরকালীন মুক্তির আশা রাখি। তবে আমার এই গল্প যেন আপনাকেও আপনার রব্বের দিকে প্রত্যাবর্তন করতে উৎসাহ প্রদান করে এ কামনাই করি। কারণ তাঁর দিকে ফিরে আসা মানুষগুলো কখনোই নিরাশ হয় না, দিন শেষে এই লোকগুলোর মুখেই হাসি থাকে।
আল্লাহ্ আামাদের জন্য সহজ করুন। (আমিন)
মুসলিম মিডিয়া ব্লগের কার্যক্রম অব্যাহত রাখা সহ তা সামনের দিকে এগিয়ে নিতে আপনার সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিন। ব্লগ পরিচালনায় প্রতি মাসের খরচ বহনে আপনার সাহায্য আমাদের একান্ত কাম্য। বিস্তারিত জানতে এখানে ভিজিট করুন।
নিচে মন্তব্যের ঘরে আপনাদের মতামত জানান। ভালো লাগবে আপনাদের অভিপ্রায়গুলো জানতে পারলে। আর লেখা সম্পর্কিত কোন জিজ্ঞাসার উত্তর পেতে অবশ্যই "ওয়ার্ডপ্রেস থেকে কমেন্ট করুন"।