কিছু ইসলামবিরোধী লেখকের অভিযোগ হচ্ছে—কা’বা ছিলো আরব মূর্তিপূজকদের মন্দির। মুহাম্মাদ (ﷺ) তাদের মন্দির থেকে তাদের উচ্ছেদ করে এক আল্লাহর উপাসনা ও হাজ্জ শুরু করেন।
সত্যি কথা বলতে কি, আমি খুব সাবধানতার মনোভাব নিয়ে মাসজিদে এসেছি, পাছে কোনো বিদআতি বা শির্কি কিছু করে ফেলি। আমি কার কবর যিয়ারত করতে যাচ্ছিলাম, তাঁর বিশেষত্ব আমার মাথায় তখনো ঠিকমতো কাজ করছিলো না। কিন্তু ধীরে ধীরে যখন উনার কবরের দিকে এগোতে লাগলাম, নিজেও জানি না কখন হঠাৎ করে আমার সমগ্র হৃদয় প্রচণ্ড আবেগে আলোড়িত হয়ে উঠলো।
মদিনা হলো ইসলাম সম্পর্কে জ্ঞান অর্জনের শ্রেষ্ঠ স্থান। মহানবী ﷺ এর শহরে আসাটা যেন আমাদের জন্য ছিলো এক শিক্ষা সফর। ইসলামের অনন্য সৌন্দর্যের সাথে আমরা এখানে নতুন করে পরিচিত হয়েছি।
এ মাসজিদের আকার আকৃতি, রাজকীয়তা, পরিচ্ছন্নতা, কারুকার্য নিয়ে বহু বাক্য রচনা করা যাবে। কিন্তু মাসজিদে নববীর মূল মাহাত্ম্যর পাশে এসব বিশেষণ যেন ম্রিয়মাণ হয়ে পড়ে।
মক্কায় দু’দিন থেকে একদিন খুব ভোরে আমরা বাসে করে মদীনা রওনা হলাম। রাতের অন্ধকারেও বেশ বোঝা গেলো যে, মক্কার মতো রুক্ষ নয় মদীনা। বরং কোথায় যেন কিছুটা লালিত্য রয়েছে।