আলিশা বললো, ‘তোমাদের ধর্ম যদি পরিচ্ছন্নতা এবং পবিত্রতা সাপোর্ট করতোই, তাহলে কি উটের প্রস্রাব খেতে বলতো? যেটাকে সবাই নোংরা জিনিস মনে করে, সেটা মোহাম্মদ কাউকে কীভাবে খেতে বললো?’
আজকে আমরা এমন একটা বিষয় নিয়ে কথা বলব, যেটার মাঝে আমরা হয়তো এতটাই আকণ্ঠ নিমজ্জিত আছি যে, আল্লাহ্র দৃষ্টিতে এটার ভয়াবহতার ব্যাপারে সচেতনই নই। সেটা হলো রিবা (সুদ)
সানিন বললো, “মোহাম্মাদ তো বলেছেই যে, কালোজিরা মৃত্যু ব্যতীত সকল রোগের ঔষধ। তোর নানার যেহেতু ক্যান্সার এবং সাথে হার্টের রোগ, কালোজিরা খেলে তো আর কোনো চিকিৎসার দরকার হয় না।”
প্রাচী বললো, “সূরা নাহলের ৭৮ নম্বর আয়াতে তো শেষে হৃৎপিণ্ড আছে। তুমি তো সেটাকে অন্তর বলে কাটিয়ে গেলে! যদিও শ্রবণশক্তির পরে দৃষ্টিশক্তি হয়। কিন্তু দৃষ্টিশক্তির পরে তো আর হৃৎপিণ্ড হয় না! তাই না?”
সামিরা বললো, “কোনো এলাকায় ১০০০ এর মধ্যে ২০০ লোক প্লেগে আক্রান্ত। বাকি ৮০০ লোককে মোহাম্মদের আদেশ অনুযায়ী এলাকা ত্যাগ করতে না দেয়া হলে তারাও প্লেগে আক্রান্ত হবে।”
অনেকেই ভালো উদ্দেশ্যে বারসিসার কাহিনী শেয়ার করেন। আমার সবসময়ই কাহিনীটা শুনলে মনে খটকা লাগতো। এ ব্যাপারে নির্ভরযোগ্য ফাতোয়া ওয়েবসাইট ইসলামওয়েবে প্রশ্ন করেছিলাম।
কিছু ডেইস্ট এবং এগনোস্টিক বিশ্বাস করে- সৃষ্টির সাথে স্রষ্টা আল্লাহ্র আর কোনো কমিউনিকেশন নেই! কিন্তু আল্লাহ্ তাঁর সৃষ্টির সাথে বিভিন্নভাবে কমিউনিকেইট করেন।
আল্লাহ্ আমাদের পাপ মুক্তির এবং নতুন করে নবজাতকের মতো নিষ্পাপ হিসেবে জীবন শুরু করার বিশাল এক সুযোগ দেন হাজ্জের মাধ্যমে। তাই ফিরে এসে সচেষ্ট থাকা উচিৎ নিজের জীবনকে ইসলামের দিকে ধাবিত করার, হাজ্জের অভিজ্ঞতা ও উপলব্ধিগুলো মনে রেখে সেই অনুযায়ী মানুষের সাথে ব্যবহার করার।