আল্লাহ কি আসলেই মক্কায় পুজিত ৩৬০ দেবতার একজন ছিলেন?

একঅনলাইন জগতে এই কথাটা  প্রায়ই শোনা যায়। মুসলিমদের দিকে চট করে অভিযোগের আঙুল তুলে বলা হয় – “তোমরা তো আল্লাহর উপাসনা করো। কিন্তু তোমরা কি জানো যে মক্কার পৌত্তলিকরাও আল্লাহর উপাসনা করতো? কা’বায় ৩৬০টা দেবতার মূর্ত...

ইসরা ও মিরাজের সত্যতা: মাসজিদুল আকসার অস্তিত্ব নিয়ে প্রশ্ন

নাস্তিক ও খ্রিষ্টান মিশনারিদের বক্তব্য—ইসরা ও মিরাজের রাতে মুহাম্মাদ (ﷺ) এর মক্কা থেকে আল-আকসা মাসজিদ ভ্রমণ আদৌ সম্ভব নয়, কারণ সেখানে তখন কোনো মাসজিদ ছিলো না।

ফিরআউনের সময়ে আসলেই কি কোনো হামান ছিলো?

খ্রিষ্টান মিশনারি ও নাস্তিক মুক্তমনাদের দাবি—কুরআনের হামান সংক্রান্ত বিবরণে ভুল আছে। কারণ, বাইবেলে মূসা (আ.) এর ঘটনায় হামান নামে ফিরআউনের কোনো সহচরের বিবরণ নেই।

ইসলাম কি ছোঁয়াচে রোগের অস্তিত্ব অস্বীকার করে?

ইসলামবিরোধীরা দাবি করে যে, রোগ সংক্রমণ সম্পর্কে নবী মুহাম্মাদ (ﷺ) এর হাদীসের বক্তব্য বৈজ্ঞানিকভাবে ভুল। ‘ছোঁয়াচে রোগ’ তো তাদের অন্তরে, যা তারা তাদের অপ্রপচারের দ্বারা মানুষের ভেতর ছড়ানোর চেষ্টা করে।

কা’বা: মূর্তিপূজকদের মন্দির, নাকি ইবরাহীম (আ.) এর নির্মাণ করা ইবাদাতখানা?

কিছু ইসলামবিরোধী লেখকের অভিযোগ হচ্ছে—কা’বা ছিলো আরব মূর্তিপূজকদের মন্দির। মুহাম্মাদ (ﷺ) তাদের মন্দির থেকে তাদের উচ্ছেদ করে এক আল্লাহর উপাসনা ও হাজ্জ শুরু করেন।

হাজ্জের রীতিগুলো কি আসলেই আরব পৌত্তলিকদের (Pagans) থেকে নেয়া?

হজের বিধানের ব্যাপারে নাস্তিক-মুক্তমনা এবং বিশেষত খ্রিষ্টান মিশনারিদের অভিযোগ হচ্ছে : হজের রীতিগুলো মোটেও ইবরাহীম (আ.) এর সাথে কিংবা একত্ববাদের সাথে সম্পর্কিত নয়; বরং এগুলো প্রাচীন আরবের পৌত্তলিক মূর্তিপূজারিদের থেকে ধার করা। এখন আমরা অভিযোগগুলো বিশ্লেষণ ও খণ্ডন করার চেষ্টা করবো ইন শা আল্লাহ।

কা’বা ঘরের ব্যাপারে ইসলামবিরোধীদের অভিযোগসমূহ ও তাদের খণ্ডন

খ্রিষ্টান মিশনারি ও নাস্তিক মুক্তমনাচক্র ইসলামের কেন্দ্রভূমি কা’বাকে নিয়ে বিভিন্ন অভিযোগের ডালি খুলেছে। বিশ্লেষণ করে দেখা যাক সেগুলোর আদৌ কোনো যৌক্তিকতা আছে কি না।

কুরবানির জন্য কাকে নেওয়া হয়েছিলো—ইসমাঈল (আ.) নাকি ইসহাক (আ.)?

আজ চারদিক থেকে নানাভাবে মুসলিমদের বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করা হচ্ছে। কখনো বলা হচ্ছে: ‘‘তোমরা যে বিশ্বাস কর ইবরাহীম (‘আলাইহিসসালাম) তাঁর ছেলে ইসমাঈল (‘আলাইহিসসালাম)-কে কুরবানি করতে চেয়েছিলেন, আসলে এটি একটি মিথ্যা কথা।’’ এ বিষয়টা নিয়ে এই লেখা।

তিনটি ঘটনা এবং একটি সত্যের সাক্ষ্য

নাস্তিক-মুক্তমনা ও খ্রিষ্টান মিশনারিরা কুরআন, হাদীস, সীরাহ এসব সূত্র থেকেই বিভিন্ন ঘটনা বিচ্ছিন্নভাবে উদ্ধৃত করে প্রমাণ করার চেষ্টা করে যে — মুহাম্মাদ (ﷺ) কোনো নবী ছিলেন না। যে সূত্রগুলো (হাদীস ও সীরাত গ্রন্থ) ব্যবহার করে তারা মুহাম্মাদের (ﷺ) নবুয়তকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে চায়, সে সূত্রগুলো থেকেই কিছু ঘটনা উল্লেখ করা হচ্ছে।