ধরুন কাল থেকে সপ্তাহব্যাপী বিশেষ "ট্রাফিক আইন সপ্তাহ" শুরু হলো। এই সপ্তাহের জন্য মোড়ে মোড়ে পুলিশ থাকবে । দুই কারণে।
প্রথমত, আপনি যদি ঠিক মতো গাড়ি চালান, সুযোগ থাকা সত্ত্বেও অপ্রয়োজনে ওভারটেক না করেন, স্টিকার ব...
কিছু ইসলামবিরোধী লেখকের অভিযোগ হচ্ছে—কা’বা ছিলো আরব মূর্তিপূজকদের মন্দির। মুহাম্মাদ (ﷺ) তাদের মন্দির থেকে তাদের উচ্ছেদ করে এক আল্লাহর উপাসনা ও হাজ্জ শুরু করেন।
আল্লাহ্ আমাদের পাপ মুক্তির এবং নতুন করে নবজাতকের মতো নিষ্পাপ হিসেবে জীবন শুরু করার বিশাল এক সুযোগ দেন হাজ্জের মাধ্যমে। তাই ফিরে এসে সচেষ্ট থাকা উচিৎ নিজের জীবনকে ইসলামের দিকে ধাবিত করার, হাজ্জের অভিজ্ঞতা ও উপলব্ধিগুলো মনে রেখে সেই অনুযায়ী মানুষের সাথে ব্যবহার করার।
এত দিন হাজ্জ সঠিক উপায়ে পালন করে গুনাহ মুক্তির আকাঙ্ক্ষায়, আল্লাহ্কে খুশি করার এক নির্দিষ্ট লক্ষ্যে আমাদের সবার মন এতটাই কেন্দ্রীভূত ছিলো যে, আজ হঠাৎ করে নিজেদের লক্ষ্যহীন ও অসম্ভব হালকা মনে হচ্ছে। যদিও হাজ্জ শেষ হবার পর আসল উদ্দেশ্য শুরু হয় জীবনে, তা হলো আল্লাহ্র ইচ্ছায় হাজ্জ হতে প্রাপ্ত শিক্ষা কাজে লাগিয়ে জীবনে পজিটিভ পরিবর্তন আনা। কারণ কবুল হাজ্জের অন্যতম লক্ষণ হলো জীবনযাত্রায় ও ইবাদাতে পরিবর্তন আসা।
তাশরিকের দিনে হাজীগণের ব্যস্ততা কম থাকে। দশ যিলহাজ্জ যারা তওয়াফ ও সা’ঈ করেছেন, সারাদিন তাঁরা মিনাতে অবস্থান করেন। সূর্য ঢলে পড়ার পর তিনটি জামারাতে পাথর মারেন।
ত্যাগের মহিমায় অনন্য যিলহাজ্জ মাসের দশ তারিখ, সারা বছরে আল্লাহ্র নিকট সর্বাধিক পছন্দের দিন। কারণ এ দিনে আল্লাহ্কে সন্তুষ্ট করার অভিপ্রায়ে সারা পৃথিবীর কোটি কোটি মানুষ কুরবানি করেন। এ দিন একই সাথে ত্যাগ স্বীকারের, শুকরানা আদায়ের ও উৎসব উদযাপনের দিন।
আরাফাতের দিনের সবচেয়ে বড় ইবাদাত হলো আল্লাহ্র দরবারে কাকুতি মিনতি করে কান্নাকাটি করে দু'আ করা, একান্ত অন্তঃকরণে ক্ষমা ভিক্ষা চাওয়া। এই সময়ে কোনো ফরয/নির্দিষ্ট ইবাদাত/সালাত রাখা হয়নি। আমাদের জীবনের সকল চাওয়া, বাসনা তাঁর নিকট ব্যক্ত করার জন্য আরাফাতের দিনের মতো শ্রেষ্ঠ সময় আর কী হতে পারে!!
হাজ্জের আগের শেষ জুমু'আর জামাতে বরাবর অভাবনীয় ভিড় হয়। সকাল আটটা- নটার ভেতর মসজিদে প্রবেশ করতে না পারলে হয়তো রাস্তায় গরম পিচের ওপর সালাত পড়তে হবে। তাই আমরা বেশ সকালের দিকে মাসজিদে পৌঁছে গেলাম, অত সকালেও চারদিক মানুষে সয়লাব হয়ে ছিলো।
যিলহাজ্জ মাস হিজরি সনের সমাপনী মাস। এ মাসেই পবিত্র হাজ্জব্রত পালন করতে হয়। হাজ্জের মূল কার্যাবলী শুরু হয় যিলহাজ্জের আট তারিখ থেকে, শেষ হয় যিলহাজ্জ মাসের ১২/১৩ তারিখ। এরপর নিজ দেশে ফেরত যাবার আগে সকলকে বিদায়ী তওয়াফ করে নিতে হয়। রাসুল ﷺ তাঁর সমগ্র জীবনে মাত্র একবার হাজ্জ করার সুযোগ পেয়েছিলেন।
মক্কায় দু’দিন থেকে একদিন খুব ভোরে আমরা বাসে করে মদীনা রওনা হলাম। রাতের অন্ধকারেও বেশ বোঝা গেলো যে, মক্কার মতো রুক্ষ নয় মদীনা। বরং কোথায় যেন কিছুটা লালিত্য রয়েছে।