“আচ্ছা তাহলে তুই মেনে নিয়েছিস যে কুর’আনের ভ্রূণবিদ্যা সঠিক। কিন্তু তোর বক্তব্য হলো, মুহাম্মাদ ﷺ এসব বিবরণ গ্রীকদের থেকে নকল করেছেন। তাই তো?” সামিরা উত্তর দিলো, “হুম! হতে পারে!”
"এখন আমি তাদেরকে আমার নিদর্শনাবলী প্রদর্শন করাবো পৃথিবীর দিগন্তে এবং তাদের নিজেদের মধ্যে; ফলে তাদের কাছে ফুটে উঠবে যে, এ কুরআন সত্য।" [সূরা ফুসসিলাত (৪১):৫৩]
ডেভিড হিউম ছিলেন একজন Empiricist, অর্থাৎ অভিজ্ঞতাবাদী। তাঁর মত অনুযায়ী, যা কিছু সংজ্ঞা অনুযায়ী সত্য নয়, বা ইন্দ্রিয় দিয়ে অনুভব করা যায় না, তা অবশ্যই মিথ্যা। এই কারণেই ঈশ্বরের অস্তিত্বের আইডিয়াও মিথ্যা।
"এই আয়াতে আল্লাহ তা’আলা আমাদের একটি সাধারণ উদাহরণ দিয়ে বুঝিয়েছেন যে, তিনি মানুষকে কত সামান্য জিনিস দিয়ে তৈরী করেছেন এবং তিনি তাকে পুনরায় তৈরী করতেও সক্ষম। তুমি এখান থেকে বৈজ্ঞানিক ভুল ধরেছো, তাই আমি এটাকে বৈজ্ঞানিকভাবে ব্যাখ্যা করলাম।"
আল্লাহ যদি মানুষকে ঘুমন্ত অবস্থায় পার্শ্ব পরিবর্তন না করাতেন? এই জিনিসটি যদি মানুষের ঐচ্ছিক হতো? মানুষ যদি একপাশ হয়ে অনেকক্ষণ শুয়ে থাকে তাহলে তার ওই পাশের কোষগুলো নষ্ট হয়ে যাবে!
স্যার, তাকদির তথা ভাগ্যটাও ঠিক এরকম। আপনি যেমন আমাদের মেধা, যোগ্যতা, ক্ষমতা সম্পর্কে ভালো ধারণা রাখেন, স্রষ্টাও তেমনি তাঁর সৃষ্টি সম্পর্কে ধারণা রাখেন। আপনার ধারণা মাঝে মাঝে ভুল হতে পারে, কিন্তু স্রষ্টার ধারণায় কোনো ভুল নেই।
সত্য ধর্ম আর বিশুদ্ধ বিজ্ঞান, এর যে কোনো একটির অনুপস্থিতিতেই ধর্ম ও বিজ্ঞানের সংঘর্ষ অনিবার্য। কিন্তু আমাদের সভ্যতার ইতিহাস ও উদাহরণ এমন নয়। বরং এখানে ধর্মের শৌর্যেই বিজ্ঞান বিকশিত হয়েছে।
আমেরিকাতে গভার্নমেন্টের সমালোচনা করা গেলেও ডারউইনিজমের সমালোচনা করা যায় না, ঠিক যেমন আমাদের দেশে ডারউইনিজমের সমালোচনা করা গেলেও গভার্নমেন্টের সমালোচনা করা যায় না।