কিছু ইসলামবিরোধী লেখকের অভিযোগ হচ্ছে—কা’বা ছিলো আরব মূর্তিপূজকদের মন্দির। মুহাম্মাদ (ﷺ) তাদের মন্দির থেকে তাদের উচ্ছেদ করে এক আল্লাহর উপাসনা ও হাজ্জ শুরু করেন।
হজের বিধানের ব্যাপারে নাস্তিক-মুক্তমনা এবং বিশেষত খ্রিষ্টান মিশনারিদের অভিযোগ হচ্ছে : হজের রীতিগুলো মোটেও ইবরাহীম (আ.) এর সাথে কিংবা একত্ববাদের সাথে সম্পর্কিত নয়; বরং এগুলো প্রাচীন আরবের পৌত্তলিক মূর্তিপূজারিদের থেকে ধার করা। এখন আমরা অভিযোগগুলো বিশ্লেষণ ও খণ্ডন করার চেষ্টা করবো ইন শা আল্লাহ।
খ্রিষ্টান মিশনারি ও নাস্তিক মুক্তমনাচক্র ইসলামের কেন্দ্রভূমি কা’বাকে নিয়ে বিভিন্ন অভিযোগের ডালি খুলেছে। বিশ্লেষণ করে দেখা যাক সেগুলোর আদৌ কোনো যৌক্তিকতা আছে কি না।
সেকুলারদের মতে, আমরা দুনিয়াতে এসেছি মা-বাবার sexual desire পূরণের মাধ্যমে। এবং বৃদ্ধকালে যাতে তাদের দেখাশুনা করতে পারি, সে জন্যে। পুরোটাই তাঁদের নিজস্ব ফায়দা পাবার জন্যে। তাই তাদের কাছে মা-বাবার খেদমত গুরুত্বহীন। কিন্তু মুসলিম এক্ষেত্রে সম্পূর্ণ ভিন্ন। স্বয়ং আল্লাহ তা’আলা তাকে হুকুম দিয়েছেন যে, তাঁদের খেদমত করতেই হবে।
পশ্চিমা সাহিত্যের প্রাচীনতম নিদর্শন বলে ধারণা করা হয় মহাকাব্য "ইলিয়াড"কে। তবে এর কাহিনী বর্ণনা করা এই লেখার উদ্দেশ্য নয়। "ইলিয়াড" এর মাধ্যমে কীভাবে আজকের নিরীশ্বরবাদী সেক্যুলার চিন্তাকাঠামোকে ব্যাখ্যা করা যায়, এ নিয়েই আজকের আলোচনা।