জীবনে এমন অনেক সময় আসে যখন হতাশা, বিষণ্ণতা কিংবা দুশ্চিন্তায় বুক হাঁসফাঁস করে, এমন অনেক কষ্ট আসে মনে হয় যেন তীক্ষ্ণ ছুরি দিয়ে বারবার চিরে দিচ্ছে হৃদপিণ্ডটা কেউ। হয়তো নির্দোষ হয়েও আপনি কোনো বড় শাস্তি পেয়েছেন; হয়তো সবাই আপনার থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে আর একাকীত্ব আপনাকে গ্রাস করেছে; হয়ত জালিমের জুলুম আপনার দিকে ধেয়ে আসছে, কিন্তু পালাবার কোনো পথ নেই; কিংবা পরিস্থিতির শিকার হয়ে এমন ভুল সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছেন যা আপনাকে কুরে কুরে খাচ্ছে। বড় অসহায় লাগে সে সময়, বড় ভঙ্গুর সে মুহূর্তগুলো। জীবন যেন তখন থমকে দাঁড়ায়।
এ সময়গুলোতে তাওয়াক্কুলের স্তর ভয়াবহ রকমের নিচে নেমে যায়। শয়তান ওয়াসওয়াসার সুবর্ণ সুযোগ পেয়ে বসে। ফলে সহজেই এ সময় মানুষ পাপে জড়িয়ে যায়- অন্তত মনটাকে অন্যদিকে ফেরানোর জন্য হলেও। কিন্তু পাপ করার পর আরও বেশি হতাশাবোধ কাজ করে। সমস্যা কমে না। কিছুদিন নিস্তেজ থেকে তাওবা করে তাওয়াক্কুল করে অনেকে আল্লাহর পথে ফিরে আসে। অনেকে ধাক্কা খেয়ে আল্লাহকেই ভুলে যায় আস্তে আস্তে। আর দ্বীনহীন হলে আত্মহত্যা করে বসাও অস্বাভাবিক নয়।
এরকম ভঙ্গুর অসহায় মুহূর্তগুলো আমাদের জীবনের অংশ। নানা বিপদ, প্রতিকূলতায় আমরা আরও শক্ত, আরও অভিজ্ঞ হয়ে উঠি জীবন সম্পর্কে। আমরা কেউই স্বয়ংসম্পূর্ণ নই, কারো কারো ঘাটতিগুলো হয়ত একটু বেশিই। আল্লাহ আমাদের মঙ্গলের জন্য এসব বিপদ দান করেন- হয়তো তিনি চান এতে আমরা কিছু প্রশিক্ষণ পাই হাতে-কলমে, কিংবা চান যেন আমাদের কিছু পাপ কমে যায় বা সবরের সাওয়াব পেয়ে আমাদের মর্যাদার স্তর যেন উন্নীত হয়। তিনি বলেন
“আমি কাউকে তার সাধ্যাতীত কষ্ট দেই না…” [সূরা আল-মুমিনূন (২৩): ৬২]
ইবন আল-জাওযী বলেছেন,
“কষ্টের রাতগুলো দাঁতে দাঁত চেপে সহ্য করে যাও। যদি সবরের দৃষ্টিতে কষ্টের রাত্রিগুলোর দিকে তাকাও, তবে পুরষ্কারের প্রভাতকে তুমি কাছেই দেখতে পাবে। মর্যাদার উচ্চাসন তো কেবলমাত্র কষ্টের মধ্য দিয়ে যাওয়ার দ্বারাই অর্জন করা সম্ভব।”[১]
তাই এসব দুর্বল মুহূর্তগুলোর ব্যাপারে আমাদের আগে থেকেই কিছু প্রস্তুতি, কিছু সমাধান জানা থাকা জরুরি যেন হতাশা আমাদের ওপর ভর করে কোনো ক্ষতি টেনে না আনে। এসব পরিস্থিতিতে কিছু সাধারণ পদক্ষেপ নিয়ে আল্লাহর ওপর তাওয়াক্কুল অনেকগুণ বাড়িয়ে ফেলা যায়; এমনকি এসব অসহায় মুহূর্তকে আমরা আল্লাহর নৈকট্যলাভের এক মোক্ষম সুযোগ বানিয়ে নিতে পারি।
১। তাৎক্ষণিকভাবে দ্বীনী কোনো সঙ্গ খুঁজে বের করুন। হতাশা ভর করতে শুরু করলে দ্বীনদার কোনো কাছের ব্যক্তির সাথে কিছু সময় কাটান; আপনার সমস্যা ও সেটার সমাধান নিয়ে আলাপ করুন। সূরা আল-আসরে আল্লাহ মু’মিনদের একে অপরকে সবর ও সত্যের উপদেশ দিতে বলেছেন। এটা এমন এক পদক্ষেপ যার মাধ্যমে মনে সাহস আসে, সবর করার শক্তি পাওয়া যায়। তাওয়াক্কুলের স্তর বেড়ে যায়।
যদি সেরকম কাওকে না পান, তবে অন্তত ইউটিউব থেকে সবর ও তাকওয়া রিলেটেড শর্ট রিমাইন্ডারগুলো দেখুন। যেগুলো ভালো লাগে, বুকমার্ক করে রাখুন। পরবর্তীতে বিপদে পড়লে সেগুলো আবার কাজে দিবে। বিপদ নিয়ে নিজে নিজেই চিন্তা করার চেয়ে বাইরের কারো উপদেশ পাওয়ার মাধ্যমে মন সহজে হালকা হয়। আমার প্রিয় কিছু ভিডিও।
এসময়গুলোতে ফেবু বা ইউটিউবে অহেতুক ব্রাউজ করা, মুভি দেখা বা গান শোনা কোনো সমাধান আনে না। বরং পাপের আরও পথ শয়তানের দ্বারা উন্মুক্ত করে।
২। সালাত আদায়, কোরআন তিলাওয়াত ও আযকার পাঠ করুন। মন একটু নরম হয়ে এলে ওযু করে দু’রাকআত সালাতে আল্লাহর কাছে চোখের জলে কাকুতি জানান, নিজের অসহায়ত্ব তুলে ধরুন। আল্লাহ তো আল-ওয়াদুদ, তাঁর থেকে আপনাকে বেশি ভালোবাসতে এই দুনিয়ায় কেউ পারবে না। চেষ্টা করুন তাহাজ্জুদে নিয়মিত হতে। আল্লাহ বলেন,
“তোমরা সবর ও সলাতের মাধ্যমে সাহায্য প্রার্থনা করো, আর তা আল্লাহভীরু ব্যক্তিবর্গ ছাড়া অন্য সকলের কাছে নিশ্চিতভাবে কঠিন।” [সূরাহ আল-বাকারা (২): ৪৫]
এরপর কয়েক পাতা আল-কোরআন থেকে তিলাওয়াত করুন, কিংবা সাবটাইটেলসহ তিলাওয়াতের ভিডিও দেখুন। অনেকে এসময় নাশিদ শুনতে যান, তবে সেটা করার চেয়ে সাবটাইটেলসহ তিলাওয়াত শোনা হাজারগুণে ভালো। কিছু তিলাওয়াতের লিংক।
তিলাওয়াত শেষে দুর্দশাগ্রস্তের আযকারগুলো অর্থসহ বুঝে বুঝে পাঠ করুন। আপনার মোবাইলে গ্রীনটেকের হিসনুল মুসলিমীন এপ ইন্সটল করে নিতে পারেন। সুন্দর সুন্দর অনেক আযকার হাতের কাছে সব সময় থাকবে। নতুন নতুন আযকার নিয়মিত মুখস্থ করার চেষ্টা করুন।
৩। বেশি বেশি ইস্তিগফার করুন। আল্লাহ বলেন,
“হে আমার বান্দারা! তোমরা যারা নিজেদের প্রতি অবিচার করেছো, আল্লাহর অনুগ্রহ হতে নিরাশ হয়ো না; আল্লাহ সমুদয় পাপ ক্ষমা করে দিবেন। তিনি তো ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।” [সূরাহ আয-যুমার (৩৯): ৫৩]
ইবন তাইমিয়া (র) বলেছেন,
“আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা হলো সবচেয়ে বড় হাসানাতগুলোর একটি এবং এর ব্যাপ্তি এত বেশি যে, যখনই কেউ নিজের ইবাদাহ, কথায় ও কাজে ত্রুটি খুঁজে পায় অথবা তার রিযকে স্বল্পতা পায় কিংবা হৃদয় থাকে অশান্ত, তার উচিত তৎক্ষণাৎ ইস্তিগফারে ব্যাপৃত হওয়া।”[২]
৪। পাপ থেকে দূরে থাকুন। পাপের অসংখ্য ভয়াবহ কুপ্রভাব রয়েছে। পাপের কুপ্রভাব সম্পর্কে জানতে পড়ুনঃ পাপের অশুভ পরিণতি।
৫। আপনার তাৎক্ষণিক চিন্তাগুলো লিখে রাখুন। প্রত্যেক মানুষের মনে দুটি সত্ত্বার বাস। একটি তাকে অনুপ্রেরণা দেয়, সাহস যোগায়, পজিটিভ চিন্তার পথ খুলে দেয়। অপরটি সবসময় হতাশা যোগায়, দুশ্চিন্তার আগুনকে বাড়িয়ে তোলে, নিজের মাঝে ইনফিরিয়রিটি কমপ্লেক্স তৈরি করে। হতাশার মুহূর্তগুলোতে দ্বিতীয় সত্ত্বাটি আমাদের পেয়ে বসে। তখন পজিটিভ চিন্তার পথ বন্ধ হয়ে যায়।
এজন্য ডায়রি বা নোটবুকে আপনার সমস্যা বিশদভাবে লিখুন। হতাশার দৃষ্টি থেকে না দেখে পজিটিভ দৃষ্টিতে দেখুন। মনে করুন যেন আপনি আপনাকে উপদেশ দিচ্ছেন, সমস্যার সমাধান বাতলে দিচ্ছেন। আপনি কল্পনাও করতে পারবেন না আপনি নিজেই নিজেকে কতটা পথ বাতলে দিতে পারেন, সাহস যোগাতে পারেন এভাবে। এমনকি পরবর্তী কোনো বিপদে এ লেখাগুলো আপনাকে সাহস যোগাবে। ডিজিটাল যুগে ওয়ার্ডপ্রেস, বেটার ডায়রির মতো সাইটে/এপে একাউন্ট খুলে অনলি মি করেও লিখতে পারেন। এতে করে কাগুজে নোটবুকের সীমাবদ্ধতাগুলো থাকবে না আর।
৬। নিজেকে ব্যস্ত রাখুন। হতাশা-দুশ্চিন্তার সময়গুলোতে নেগেটিভ চিন্তাভাবনা আমাদের মাথায় ঘুরপাক খায়, সহ্যের বাইরে গেলে মুভি-গান এসবের মাধ্যমে অনেকে মনকে ডাইভার্ট রাখতে চায়। কিন্তু তা হিতে বিপরীত হয়ে দাঁড়ায়।
এর চেয়ে এমন কিছু কাজ করুন যা প্রোডাক্টিভ, অনৈসলামিক নয় এবং ইন্সট্যান্ট গ্র্যাটিফিকেশন পাওয়া যায়। যেমন, অনেকে কোরআন মুখস্থ করে। আবার কেউ কেউ ক্যালিগ্রাফির মধ্যে নিজেকে ব্যস্ত রাখে যেন মনোযোগ সবটুকু ওদিকেই যায়। এভাবে ২-৩ ঘন্টা শেষে যখন একটা সুন্দর অর্জন চলে আসে, তখন একটা মানসিক তৃপ্তিও আসে মনে। অর্থাৎ, নিজেকে একটা কোকুনে ঢেকে ফেলুন আশেপাশের পরিবেশ থেকে মনকে আলাদা করে ফেলার জন্য।
৭। বেশি বেশি সাদাকাহ করুন। রাসূল (সাঃ) বলেছেন,
“…সাদাকা পাপকে মুছে দেয়, যেমন পানি আগুনকে নিভিয়ে দেয়।” [সুনান আত-তিরমিযি, হাদিস নং ২৬১৬, শাইখ আলবানী কর্তৃক সহীহ হিসেবে যাচাইকৃত, সাহীহ আল-জামি’, হাদিস নং ৫১৩৬]
৮। অপরকে সাহায্য করুন। রাসূল (সাঃ) বলেন,
“যে ব্যক্তি কোনো মুমিনের পার্থিব কষ্টসমূহ থেকে কোনো কষ্ট দূর করবে কিয়ামতের কষ্টসমূহ থেকে আল্লাহ তার একটি কষ্ট দূর করবেন। যে ব্যক্তি কোনো অভাবীকে দুনিয়াতে ছাড় দেবে, আল্লাহ তা‘আলা তাকে দুনিয়া ও আখিরাতে ছাড় দেবেন। যে ব্যক্তি কোনো মুমিনের দোষ গোপন রাখবে, আল্লাহ তা‘আলা দুনিয়া ও আখিরাতে তার দোষ গোপন রাখবেন। আর আল্লাহ তা‘আলা বান্দার সাহায্য করেন যতক্ষণ সে তার ভাইয়ের সাহায্য করে। আর যে কেউ ইলম অর্জনের কোনো পথ দেখাবে, আল্লাহ তাকে এর কারণে জান্নাতের দিকে একটি পথ সুগম করে দিবেন…” [সহীহ বুখারী, হাদিস নং, ৭০২৮]
এর আরেকটি সুবিধা হলো, এর মাধ্যমে আমরা অনুভব করতে পারি যে, “আলহামদুলিল্লাহ্, আল্লাহ আমাকে এই ভাইয়ের মতো কষ্ট অন্তত দেননি, বরং তাকে সাহায্য করার শক্তি দিয়ে আমাকে তিনি অনুগ্রহ করেছেন।”
৯। অন্যের সাথে নিজেকে তুলনা থেকে বিরত থাকুন। এমনও অনেক সময় আসতে পারে আপনার মতোই কাছের কেউ একজন অনেক সচ্ছন্দ জীবন-যাপন করছে, আল্লাহর অনেক নিয়ামাত উপভোগ করছে। কখনো ভুলেও এটা মনে আসতে দিবেন না যে, “আল্লাহ তাকে দিচ্ছে, আমাকেও নিয়ামতগুলো দিলে কী হতো!” হ্যাঁ, মানুষ তো আমরা। প্রকৃতিগতভাবে মন খারাপ হতে পারে। তাই বলে আল্লাহকে আক্ষেপ করে কিছু বলতে যাবেন না ভুলেও। আইয়্যুব (আঃ) এর কথা, বিপদের সময় তাঁর বিনয়ের কথা বার বার স্মরণ করুন।
প্রকৃত সবরকারী তো সে-ই যে চরম বিপদেও পজিটিভিটি খুঁজে নিতে পারে, আলহামদুলিল্লাহ বলতে পারে। খুব খারাপ লাগলে মন খারাপের সময়গুলোতে ওই ব্যক্তিকে বুঝতে না দিয়ে তার থেকে কিছুটা দূরত্ব অবলম্বন করুন। মন ভালো হয়ে এলে আবার সম্পর্ক আগের থেকে গভীর করার চেষ্টা করুন। তার জন্য বেশি বেশি দু’আ করুন।
১০। নিজের যত্ন নিন। হতাশা-কষ্ট সবচেয়ে বড় যে ক্ষতিটা করে তা হলো চিরাচরিত লাইফস্টাইলকে এলোমেলো করে দিয়ে নতুন নতুন সমস্যা, প্রেশার তৈরি করে। পাঁচ ওয়াক্ত সালাত যেন কোনোক্রমেই বাদ না যায় এদিকে সজাগ দৃষ্টি রাখুন। প্রতিদিন কোরআন তিলাওয়াত নিশ্চিত করুন, অন্তত এক ওয়াক্ত সালাত শেষে একটু বসে থেকে মুসহাফ বা মোবাইল থেকে তিলাওয়াত করুন, ভাবানুবাদ পড়ুন।
আপনার শরীরের যত্ন নিন। অসুস্থতা ভর করলে মনের জোর আরও কমে যায়। নিয়মিত এক্সারসাইজ করুন, এনার্জি বুস্ট আপ হবে, মানসিক জোর পাবেন। পারলে সপ্তাহে অন্তত দু’দিন ফজরের পর নদীর ধারে বা ঝিলের পাশে জগিং বা মর্নিং ওয়াকে বের হোন (নারীদের ক্ষেত্রে যথাযথ পর্দা বজায় রেখে ঘরে বা বাইরে যেভাবে সম্ভব)। শারীরিক সুস্থতার সাথে মানসিক সুস্থতা ওতপ্রোতভাবে জড়িত।
সর্বোপরি, তাওয়াক্কুল করুন, খুব বেশি আল্লাহর ওপর ভরসা করুন। বিশ্বাস রাখুন, আল্লাহ মিরাকেল ঘটানোর ক্ষমতা রাখেন। তাঁর হাতে নিজেকে এমনভাবে সঁপে দেওয়ার চেষ্টা করুন, যেমনটা মৃতদেহ তার গোসলকারীর হাতে নিজেকে সঁপে দেয়। আর নিজে ভুল করে বসলে খুব বেশি নিজের ওপর আক্ষেপ করতে যাবেন না। ভুল থেকে শিক্ষা নিন। কেউই স্বয়ংসম্পূর্ণ নয়, একমাত্র আল্লাহ তা’আলা ছাড়া।
আল্লাহ বলেন,
“যে আল্লাহকে ভয় করে, তিনি তার জন্য উত্তরণের পথ তৈরী করে দেন। এবং তিনি তাকে এমন উৎস থেকে রিযক দিবেন যা সে কল্পনাও করতে পারবে না। আর যে আল্লাহর ওপর তাওয়াক্কুল করে আল্লাহ তার জন্য যথেষ্ট। আল্লাহ তাঁর উদ্দেশ্য পূর্ণ করবেনই। নিশ্চয় আল্লাহ প্রত্যেক জিনিসের জন্য একটি সময়সীমা নির্ধারণ করে দিয়েছেন।” [সূরা ত্বলাক (৬৫): ২-৩]
গ্রন্থ ও তথ্যসূত্র:
[১] আল-লাতা’ইফ ফিল-ওয়া’ইজ
[২] মাজমূ আল ফাতাওয়া, খন্ড ১১, পৃ. ৬৯৮
মুসলিম মিডিয়া ব্লগের কার্যক্রম অব্যাহত রাখা সহ তা সামনের দিকে এগিয়ে নিতে আপনার সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিন। ব্লগ পরিচালনায় প্রতি মাসের খরচ বহনে আপনার সাহায্য আমাদের একান্ত কাম্য। বিস্তারিত জানতে এখানে ভিজিট করুন।
নিচে মন্তব্যের ঘরে আপনাদের মতামত জানান। ভালো লাগবে আপনাদের অভিপ্রায়গুলো জানতে পারলে। আর লেখা সম্পর্কিত কোন জিজ্ঞাসার উত্তর পেতে অবশ্যই "ওয়ার্ডপ্রেস থেকে কমেন্ট করুন"।